বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হলে কি খাওয়া উচিত বিস্তারিত সকল তথ্য জেনে নিন
বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হলে কি খাওয়া উচিত এই বিষয়টি নিয়ে প্রত্যেকটি মা-বাবা খুবই চিন্তিত থাকে। শিশুরা বাবা-মায়ের চোখের মনি। আর একটি শিশুকে ভালো রাখতে মা-বাবার দুশ্চিন্তার কোন শেষ থাকে না। আর আপনি যদি আপনার শিশুকে নিয়ে চিন্তিত থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেল পোস্টটি আপনার জন্য।
বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হলে কি খাওয়া উচিত এই বিষয়টি সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন অনেকেই। গ্যাস নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বিরল। ছোট বড় সকলেরই গ্যাসের সমস্যা হয়ে থাকে।যদিও হোক না সে বাচ্চা শিশু। কিন্তু আপনার শিশুর গ্যাসের সমস্যা হয়ে থাকলে কি করা উচিত এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে হলে আজকের আর্টিকেল পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে নিবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হলে কি খাওয়া উচিত বিস্তারিত সকল তথ্য জেনে নিন
- বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হলে কি খাওয়া উচিত
- বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হয়েছে কিভাবে বুঝবেন
- বাচ্চাদের পেটের গ্যাস হলে কখন ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত
- ছোট বাচ্চাদের পেটে গ্যাস কেন হয়
- ছয় মাসের কম বয়সী শিশুদের গ্যাস হলে কি করনীয়
- ৬ মাসের কম বয়সী শিশুর গ্যাস হয়েছে কিভাবে বুঝবেন
- শিশুর মা গ্যাস্ট্রিকের খাবার খেলে কি শিশুর গ্যাস হয়
- শিশু মায়ের বুকের দুধ খেলে কি গ্যাস হয়
- শিশুদের গ্যাস্ট্রিকের খাবার হিসেবে উল্লেখিত খাবার কোনগুলো
- আমার শেষ মতামত
বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হলে কি খাওয়া উচিত
বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হলে কি খাওয়া উচিত এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে সম্পূর্ণ আর্টিকেল পোস্টে। বাচ্চাদের খাবার সম্পর্কে সতর্ক না থাকলে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে যাবে। কারণ বাচ্চারা নিজেরা নিজের খেয়াল করতে পারে না। যে কারণে মা-বাবাকে বাচ্চাদের প্রতি অধিক যত্নবান হতে হয়। ছোট বাচ্চাকে কখন কোন খাবার কি পরিমানে খাওয়ানো উচিত এবং খাবার কিভাবে খাওয়ালে স্বাস্থ্যসম্মত হবে এইসব বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে।
বাচ্চাদের এমন কিছু খাবার আছে যে খাবারগুলো খাওয়ালে পেটের গ্যাস এর তীব্রতা বৃদ্ধি পাবে এবং বাচ্চার জন্য মারাত্মক ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই বাচ্চাকে কোন খাবারগুলো খাওয়ালে গ্যাস হবে না, বাচ্চা সুস্থ থাকবে সে সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো চলুন তাহলে এবার জেনে নিন বাচ্চাদের কোন খাবারগুলো খাওয়াবেন এবং কোন খাবারগুলো খাওয়াবেন না-
- যে খাবার খেয়ে পেট ব্যথা করবে সে সকল খাবার খাওয়াবেন না।
- বাচ্চাকে কোন প্রকার চকলেট আইসক্রিম খেতে দেওয়া যাবে না।
- বাচ্চার খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফল ও শাকসবজি রাখতে হবে।
- বাচ্চাদের ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খাওয়ানো যাবে না।
- বাচ্চাদের এমন খাবার দিন যেগুলো সহজে হজম হবে।
- বাচ্চাকে অতিরিক্ত মসলা, ঝাল যুক্ত, শক্ত খাবার দিবেন না।
বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হয়েছে কিভাবে বুঝবেন
বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হলে কি খাওয়া উচিত শুধু এই বিষয়টি জানলে হবে না। এটাও জানা দরকার যে, বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হয়েছে কিভাবে বুঝবেন। তাই বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হয়েছে কিভাবে বুঝবেন এই বিষয়টি সম্পর্কে এবার আলোচনা করব। অনেকে আছে যারা হয়তো বুঝতে পারে না যে, বাচ্চার গ্যাস হয়েছে অথচ বাচ্চা অসস্থিতে ভুগছে। যদি আপনার বাচ্চার গ্যাসের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে বেশ কিছু লক্ষণ উপলব্ধি করতে পারবেন। যেমন-
১। ঢেকর তোলা
২। অস্থিরতাবোধ
৩। পেট ফুলে যাওয়া
৪। বায়ু ত্যাগ
৫। তলপেট শক্ত হওয়া
৬। খাবারে অনীহা
৭। বমি হওয়া বা বমি বমি ভাব হওয়া
৮। পেট ব্যথা
১। ঢেকুর তোলাঃ যে সকল ছোট বাচ্চাদের গ্যাসের সমস্যা হয়ে থাকে। তারা অনবরত ঢেকুর তুলতে থাকে। তবে এই সমস্যাটি ছয় মাস কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রেও হয়ে থাকে। আবার ছয় মাসের অধিক বয়সের বাচ্চাদেরও গ্যাস হলে ঢেকুর ওঠে।
২। অস্থিরতাবোধঃ যখন বাচ্চাদের গ্যাস হয়ে থাকে। তখন বাচ্চারা কোন অবস্থাতে আরাম পায় না। অতিরিক্ত অস্থিরতা বোধ তাদের মধ্যে কাজ করে। যে কারণে সব সময় বাচ্চা অস্বস্তিতে ভুগে থাকে।কোন কিছুতেই বাচ্চা যেন শান্ত হয়ে থাকে না।
৩। পেট ফুলে যাওয়াঃ বাচ্চার যদি গ্যাসের সমস্যা হয়। তখন দেখা যাবে যে বাচ্চার পেট ফোলা শুরু করেছে। অতিরিক্ত হয়ে গেলে পেট অতিরিক্ত ফুলে যাবে। আপনি বুঝতে পারবেন যে, বাচ্চার পেট স্বাভাবিক রয়েছে নাকি বাচ্চা গ্যাস বা এসিডিটির কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
৪। বায়ু ত্যাগঃ বাচ্চার শরীরে গ্যাসের প্রবণতা দেখা দিলে দেখা যাবে যে, আপনার বাচ্চা ঘন ঘন বায়ু ত্যাগ করছে। আপনি খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন যে আপনার বাচ্চা অন্যান্য দিনের তুলনায় বায়ু ত্যাগ তুলনামূলকভাবে বেশি করছে।
৫। তলপেট শক্ত হওয়াঃ গ্যাসের লক্ষণ হিসেবে তলপেট শক্ত হওয়া খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। বড়দের ক্ষেত্রেও গ্যাসের কারণে তলপেট শক্ত হয়ে যায়। আর গ্যাসের কারণে বাচ্চাদের পেট ফোলার সাথে সাথে পেট শক্ত হয়ে যায়।
৬। খাবারে অনীহাঃ বাচ্চাদের পেটে যখন গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয় তখন বাচ্চারা কোন কিছু খেতে চায় না, খেতে অনিহা প্রসন করে। বাচ্চাদের জোর করে খাবার দেওয়ার কারনে বাচ্চাদের গা গোলাতে শুরু করে।
৭। বমি হওয়া বা বমি বমি ভাব হাওয়াঃ বাচ্চা এবং বড়রা সবার ক্ষেত্রেই গ্যাসের প্রকোপ যখন বৃদ্ধি পায়। তখন বমি বমি ভাব হয়। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে বমি হয়েও যায়। আবার কোন কোন সময় দেখা যায় যে বারবার বমি হচ্ছে।
৮। পেট ব্যথাঃ একজন মানুষের বিভিন্ন কারণে পেট ব্যাথা হতে পারে। তবে গ্যাসের কারণে পেটের ব্যাথা হয়ে থাকে। কিছু কিছু সময় গ্যাসের কারণে পেটের ব্যাথা এতটা বেশি হয় যে একজন রোগীর ক্ষেত্রে সেটা সহ্য করা অসম্ভব হয়ে যায়। এমনকি এই গ্যাসের প্রখরতা অতিরিক্ত মাত্রায় বৃদ্ধি পেলে একজন গ্যাসে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই পেটে ব্যথা তুচ্ছ মনে না করে পেটের ব্যাথা স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক যেটাই হোক না কেন চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
বাচ্চাদের পেটের গ্যাস হলে কখন ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত
বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হলে কি খাওয়া উচিত বিস্তারিত সকল তথ্য জানার পাশাপাশি অনেকে এটা জানার চেষ্টা করে যে বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হলে কখন ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। পেটে ব্যাথা কে কখনোই তুচ্ছ মনে না করাই উত্তম। পেটে ব্যাথা হলে খুবই গুরুত্ব সহকারে সেটি পর্যবেক্ষণ করতে হবে। কি কারণে পেটে ব্যথা হচ্ছে সেই বিষয়টি জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তো সেই ক্ষেত্রে নিজে নিজে তো আর পেটের ব্যাথা নির্ণয় করা সম্ভব নয়। যে কারণে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
তাই আপনি গ্যাসের যাবতীয় লক্ষণ গুলো যখনই পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন এবং নির্ণয় করতে পারবেন তখনই চেষ্টা করবেন যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে। কারণ গ্যাসের মাত্রা অতিরিক্ত হয়ে গেলে সেটি আপনার বাচ্চার জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। আশা করছি, বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
ছোট বাচ্চাদের পেটে গ্যাস কেন হয়
ছোট বাচ্চাদের পেটে সাধারণত গ্যাস হওয়ার কারণ হলো হজমে ব্যাঘাত। যখন খাবার সহজে হজম না হয় তখনই গ্যাসের সমস্যার সৃষ্টি হয়। ছয় মাস বয়সের শিশুর বা ছয় মাসের অধিক বয়সী শিশুদের যেহেতু মায়ের বুকের দুধ ছাড়া বাড়তি খাবার দেওয়া হয়। তাই খাবারের মধ্যে গ্যাসের তীব্রতা রয়েছে এরকম খাবার বর্জন না করলে ছোট বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হয়ে থাকে। তাই ছোট বাচ্চাদের খাবারের প্রতি সতর্কতা অবলম্বন না করলে গ্যাসের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
ছয় মাসের কম বয়সী শিশুদের গ্যাস হলে কি করনীয়
ছয় মাসের কম বয়সী শিশুদের গ্যাস হলে যা করবেন তাহলো প্রথমে আপনি দেখবেন যে আপনার শিশুর গ্যাসের লক্ষণ গুলো রয়েছে কিনা যেমন- পেট ফুলে ওঠা, বমি, খাবারের অনিহা, শিশুর অনর্বত কান্না করা, এরকম লক্ষণগুলো যদি দেখা যায় তাহলে বাচ্চাকে অতি দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খাওয়াতে হবে। চেষ্টা করবেন বাচ্চা যখন অনেক কান্না করবে তখন মায়ের দুধ পান না করানোর।
কারণ বাচ্চা কান্নার সময় খাবার মুখে দিলে ওই খাবারের সঙ্গে যে বাহিরের বাতাস পেটের ভিতর প্রবেশ করে এ থেকেও গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই সতর্ক থাকবেন বাচ্চা কান্নার সময় মায়ের বুকের দুধও খাওয়াবেন না।
ছয় মাসের কম বয়সী শিশুর গ্যাস হয়েছে কিভাবে বুঝবেন
বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হলে কি খাওয়া উচিত বিষয়টি জেনেছেন এবার জেনে নিন ছয় মাসের কম বয়সী শিশুর গ্যাস হয়েছে কিভাবে বুঝবেন। ছয় মাস কম বয়সী শিশু খুবই ছোট। এই সকল বাচ্চার গ্যাস হলে বাচ্চারা তো বলতে পারবে না। এর জন্য আপনাকে খেয়াল করতে হবে যে, বাচ্চা অনব্রত কান্না করছে কিনা। কারণ অন্যান্য দিনের তুলনায় যদি বাচ্চা অতিরিক্ত মাত্রায় কান্না করে, খেতে না চায়, পেট ফুলে ওঠে তাহলে আপনাকে বুঝে নিতে হবে যে বাচ্চার গ্যাস হয়েছে।
এবং তার জন্য আপনাকে স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা চিকিৎসকের নিকট যাওয়া উত্তম এবং বাচ্চার জন্য সঠিক চিকিৎসা প্রদান করা জরুরী।
শিশুর মা গ্যাস্ট্রিকের খাবার খেলে কি শিশুর গ্যাস হয়
আপনার বাচ্চার বয়স যদি ছয় মাসের কম হয়ে থাকে তাহলে তো আপনার বাচ্চাকে বাড়তি খাবার দেওয়া যাবে না। যে কারণে মায়ের দুধ পান করা ওই বাচ্চার জন্য খুবই জরুরী। সেই ক্ষেত্রে আপনার জানার দরকার যে, বাচ্চার মা যদি গ্যাস্টিকের খাবার খায় তাহলে শিশুর গ্যাস হয় কিনা। কারণ ছয় মাসের কম বয়সী শিশুরা মায়ের বুকের দুধ পান করে থাকে এবং দুধ পান করার মাধ্যমে সকল পুষ্টি আহরণ করে থাকে।
মা যে সকল খাবার খাই এবং ওই খাবারের পুষ্টিগুণ যেরকম বাচ্চা সেরকম পুষ্টিগুণ পেয়ে থাকে। তাই পরিশেষে এটাই বলা যায় যে, মা যদি গ্যাস্টিকের খাবার খেয়ে থাকে তাহলে শিশু গ্যাস্ট্রিকে আক্রান্ত হয়।তাই শিশুর গ্যাস নিয়ন্ত্রণ করতেও শিশুর মাকে গ্যাস জনিত খাবার বর্জন করতে হবে।
শিশু মায়ের বুকের দুধ খেলে কি গ্যাস হয়
বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হলে কি খাওয়া উচিত বিষয়টি জানার পাশাপাশি শিশু মায়ের বুকের দুধ খেলে কি গ্যাস হয়। স্বাস্থ্যবিধ এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মায়ের বুকের দুধ পান করার মাধ্যমে শিশু সকল পুষ্টি পেয়ে থাকে। ঠিক তেমনি ভাবে মা যদি গ্যাস্ট্রিক জনিত খাবার খেয়ে থাকে। তাহলে ওই মায়ের বুকের দুধ পান করলে শিশু গ্যাস এ আক্রান্ত হয়ে থাকবে। এই কারণে যে সকল দুগ্ধ দানকারী মায়েরা রয়েছেন তাদেরকে সতর্ক হতে হবে।
এবং এমন খাবার বর্জন করুন যেগুলো গ্যাস বৃদ্ধি করে এবং এমন খাবার গ্রহণ করুন যেগুলো দ্বারা গ্যাস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।পরিশেষে এটাই প্রমাণিত যে, শিশুর মা গ্যাস্টিকজনিত খাবার খেয়ে থাকলে শিশুর মায়ের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। এবং তা থেকে বাচ্চাও গ্যাসে প্রবাহিত হবে এই বিষয়টি নিঃসন্দেহে বলা যায়। আরো বিশেষ কিছু অসুবিধা রয়েছে যেমন অতিরিক্ত দুধ পান করা এবং বাচ্চার মায়ের যদি হরমোন জনিত কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলেও বাচ্চার গ্যাস হয়।
শিশুদের গ্যাস্টিকের খাবার হিসেবে উল্লেখিত খাবার কোনগুলো
শিশুদের গ্যাস্ট্রিকের খাবার হিসেবে উল্লেখিত খাবার গুলো হল অতিরিক্ত শক্ত খাবার। যেগুলো বাচ্চার হজম করতে সমস্যা হয়। আর যখন বাচ্চার হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। তখন বাচ্চার পেটে গ্যাসে পরিণত হয়। এছাড়াও অতিরিক্ত মাত্রায় শিশুকে জোরপূর্বক ভাবে খাওয়ালেও গ্যাসের প্রক্রিয়া ঘটতে পারে। আবার আপনার শিশুকে শক্ত ফলমূল খাওয়াবেন না। কারণ শক্ত ফলমূল হজম করতে বাচ্চার সমস্যা হয়।
এজন্য শক্ত ফলমূল গুলো টুকরো করে বা জুস বানিয়ে খাওয়ানো উচিত। এতে খাবার হজম তাড়াতাড়ি হবে। এছাড়া আরো উল্লেখযোগ্য যে খাবারে অতিরিক্ত তেল বা মসলা ব্যবহার করা যাবে না। এর পাশাপাশি চেষ্টা করতে হবে বাচ্চাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করানোর। কারণ পানির কোন বিকল্প নেই।
আমার শেষ মতামত
আজকের এই আর্টিকেল পোস্টের মধ্যে আলোচনা করা হয়েছে বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হলে কি খাওয়া উচিত। আশা করছি বাচ্চাদের গ্যাস সম্পর্কিত সকল তথ্য বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন এবং আপনি যদি এই আর্টিকেল পোস্টটি পড়ে থাকেন তাহলে উপকৃত হবেন। আর এখন পর্যন্ত যদি আর্টিকেল পোস্টটি পড়া না হয়ে থাকে তাহলে এই আর্টিকেল পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ পড়ে নিবেন।
নিয়মিতভাবে আমাদের ডিজিটাল মার্কেটিং আইটি এই ওয়েবসাইটটিতে আপডেট তথ্যমূলক আর্টিকেল পোস্ট পাবলিশ করা হয়ে থাকে। তাই এরকম আরো আপডেট তথ্যমূলক আর্টিকেল পোস্ট পেতে আমাদের ডিজিটাল মার্কেটিং আইটি ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। সবশেষে বলবো আজকের আর্টিকেল পোস্টটি আপনার কেমন লেগেছে মন্তব্য করে জানাবেন এবং আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে ধৈর্য সহকারে আর্টিকেল পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ডিজিটাল মার্কেটিং আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্টে রিভিউ করা হয়।
comment url