OrdinaryITPostAd

সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিন

সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না এই বিষয়টি জানা অত্যন্ত জরুরি। কেননা প্রত্যেকটি মানুষেরই কম বেশি গ্যাস রয়েছে। কারো কারো আবার তীব্র ও মারাত্মক গ্যাসের সমস্যা রয়েছে। তাই কথা না বাড়িয়ে চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক সকাল বেলা কি খেলে গ্যাস হবে না। 

সকালে সবারই নাস্তা করার অভ্যাস রয়েছে। কিন্তু এই নাস্তার টেবিলে আমরা এমন কিছু খাবার রাখি যে খাবারগুলো খাওয়ার ফলে গ্যাসের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। আবার এমন কিছু খাবার রয়েছে যে খাবারগুলো সকালে খাওয়ার ফলে গ্যাস হবে না। এজন্য আপনাকে জানা দরকার যে গ্যাস দূর করতে সকালে কি খাবার খাওয়া উচিত। আর আজকের এই আর্টিকেল পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না 

সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না

সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই আর্টিকেল পোস্টে। খাবার একজন মানুষের জন্য অপরিহার্য। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে খাবার গ্রহণ করা জরুরী। কিন্তু খাবার হতে হবে স্বাস্থ্যসম্মত। যদি খাবারই স্বাস্থ্যসম্মত না হয় তাহলে শরীর সুস্থ কিভাবে থাকবে। তাই গ্যাস প্রতিরোধ করতে সকালে এমন কিছু খাবার খেতে হবে যে সকল খাবার খাওয়ার ফলে গ্যাস হবে না। যেমন-

১। হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এমন খাবার খাওয়া।

২।গ্যাস বৃদ্ধি করবে এমন খাবার না খাওয়া।

৩। ভাজাপোড়া খাবার না খাওয়া।

৪। পানি বেশি করে পান করা।

১। হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এমন খাবার খাওয়াঃ একজন মানুষের সকালের নাস্তা দিয়েই দিনের শুরু হয়।কেউ কেউ সকালে হালকা খাবার দিয়ে সকালের নাস্তা সেরে নেয়। আবার কেউ কেউ পেট ভরে খেয়ে ফেলে। আবার কেউ রয়েছে যারা সকালেই এক কাপ চা দিয়ে দিনের শুরুটা করে। সে যাই হোক আপনি পেট পুরে খান কিংবা হালকা খাবার খান যেটাই করেন না কেন খাবারটা হতে হবে এমন যে সকল খাবারে হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে।

যাতে কোনভাবে গ্যাসের তীব্রতা বৃদ্ধি না পাই। কারণ হজম থেকে গ্যাস বা পেট ফাঁপা সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে। তাই সকালে এমন খাবার খাওয়া উচিত যে সকল খাবারে পেপেইন নামক খাদ্য উপাদান রয়েছে।  যা খাবার অতি দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে থাকে।  

২। গ্যাস বৃদ্ধি করবে এমন খাবার না খাওয়াঃ হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে এমন খাবার খাওয়ার পাশাপাশি সতর্ক থাকতে হবে যে গ্যাস বৃদ্ধি করবে এমন খাবার যেন সকালের নাস্তায় না থাকে। তাই সকালের নাস্তা মুখের স্বাদে করলে হবে না। চেষ্টা করতে হবে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা। এবং গ্যাসের বন্ধু এমন খাবার পরিহার করার। অর্থাৎ সকালে খালি পেটে ক্যাফেনযুক্ত খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে যেমন চা বা কফি।

৩। ভাজাপোড়া খাবার না খাওয়াঃ অনেকেই আছে যারা সকালের নাস্তায় পরোটা খেয়ে থাকে। কিন্তু পরোটা একটি ভাজাপোড়া খাবার এতে তেল ও ঘি এর ব্যবহার রয়েছে। যা আপনার শরীরে গ্যাস অম্বল ও পেট ফাঁপা সমস্যার সৃষ্টি করে থাকে। অর্থাৎ সকালে ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলায় উত্তম। এছাড়া সকালে খালি পেটে কাঁচা পেঁয়াজ, শসা, কনফ্লেক্স, বাঁধাকপি ও ফুলকপির তরকারি, টেস্টি বা কেক, দুধের তৈরি কোন খাবার না খাওয়াই ভালো   

৪। পানি বেশি করে পান করাঃ মানব শরীরের হজম প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করতে পানি খুবই কার্যকরী। একজন মানুষের অধিকাংশ রোগ বালাই প্রতিরোধ করে পানি। কারণ শরীরের খারাপ কোলেস্টের দূর করে পানি। এছাড়াও গ্যাসের তীব্রতা কমায় আবার শরীর মন দুটোই সতেজ রাখে। এক কথায় বলতে গেলে পানি বেশি করে পান করা উচিত যাতে গ্যাস নিয়ন্ত্রণে থাকে। 

অতিরিক্ত গ্যাস হলে কি করনীয় 

সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না এই বিষয়টি জানার পাশাপাশি জেনে নিন অতিরিক্ত গ্যাস হলে কি করনীয়। কম বেশি সবারই গ্যাস হয়ে থাকে। কিন্তু কারো কারো ক্ষেত্রে গ্যাসের মাত্রা দ্বিগুণ। একজন মানুষকে সুস্থ রাখতে সতর্কতার কোন বিকল্প নেই। অধিকাংশ রোগ বালাই দূর করে সতর্কতা। তাই অতিরিক্ত গ্যাস হলে প্রথম করণীয় উপায় হিসেবে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। খাদ্য সর্তকতার মূলে রয়েছে।

এমন খাবার আহার করুন যে সকল খাবার হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে। গ্যাসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে। আর এমন খাবার বর্জন করুন যে সকল খাবার গ্যাসের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে এবং আপনি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। গ্যাস সকলের হয়ে থাকলেও সাধারণত গ্যাস এমন একটি সমস্যা যে এই গ্যাসের অতিরিক্ত মাত্রা হওয়ার কারণে একজন মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই গ্যাস নিয়ন্ত্রণ করতে খাদ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা উচিত। 

আবার যখন অতিরিক্ত মাত্রায় গ্যাস হচ্ছে কিন্তু কোন ভাবে আপনার গ্যাসের তীব্রতা কমছে না এবং অনেক পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব বা বমি করছে এরকমটা দেখা দিলে অতি দ্রুত স্বাস্থ্য কেন্দ্র যান এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন। একজন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন এবং নিজের মধ্যে খাদ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করুন।   

কোন কোন সবজি খেলে গ্যাস হয় না

আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী বিশেষ করে গ্যাসের জন্য খুবই উপকারী একটি খাবার হল পেঁপে। পেঁপে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে। কারন পেঁপেতে রয়েছে পেপেইন নামক খাদ্য উপাদান। কাঁচা পেঁপে চিবিয়ে খাওয়ার পাশাপাশি আবার যদি আপনি মনে করেন যে কাঁচা পেঁপের তরকারি রান্না করে খাবেন তাহলেও সবজি হিসেবে খুব ভালো একটি খাবার। গ্যাসের জন্য লাউয়ের তরকারি খেতে পারেন।

কোন কোন ফল খেলে গ্যাস হয় না

সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না এই বিষয়টি জানার পাশাপাশি অনেকে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন যে কোন কোন ফল খেলে গ্যাস হয় না। দৈনিক একজন মানুষের একটি করে অন্তত মৌসুমী ফল খাওয়া উচিত। তাই প্রতিদিন অনেকেই হয়তো একের অধিক ফল খেয়ে থাকেন। কিন্তু কোন ফলগুলো শরীরের জন্য গ্যাসের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে সেটা হয়তো অনেকে জানে আবার অনেকেই জানেনা। তাহলে চলুন এবার জেনে নি কোন ফল গুলো গ্যাসের জন্য উপকারী-

  • পাকা পেঁপে
  • পাকা কলা
  • আপেল
  • তরমুজ
  • শসা
  • লেবু
  • কিসমিস ইত্যাদি

দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায়

আপনার যদি অত্যাধিক পেটে গ্যাস হয়ে থাকে। পেট ব্যথা করে, আপনি কোন কিছু খেয়ে স্বস্তি না পান, যাই খান না কেন তাতেই আপনার পেটে সমস্যা সৃষ্টি হয়। যেমন- হজম না হয়, পেট ফুলে ওঠে যাবতীয় এই সকল সমস্যা হলে আপনার প্রথমে করণীয় অতি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা। চিকিৎসকের কাছে যাওয়া সময়টুকুর আগ মুহূর্তে যদি সম্ভব হয়।

তাহলে বাড়িতে কিছু ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করা যেতে পারে। তবে সব সময় মনে রাখতে হবে যে গ্যাস এমন একটি ব্যাধি যার কারণে একজন মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই ঘরোয়া উপায়ে সীমাবদ্ধ না থেকে দীর্ঘস্থায়ী গ্যাস নির্মূল করার জন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে এবং খাদ্য সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। যে সকল খাবার হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে সে সকল খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

এবং পেটের জন্য উপকারী এমন কিছু খাবার রয়েছে যে খাবার গুলো আপনার হজম প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে সাহায্য করবে এবং আপনার শরীরে অতিরিক্ত গ্যাস বৃদ্ধিতে বাধা গ্রস্থ করবে। সে সকল খাবার গুলো অনুসরণ করুন। অতি দ্রুত পেটের ব্যথা বা গ্যাস কমানোর জন্য আপনি ইনজেকশন এর ব্যবহার করতে পারেন। তবে সেটা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এবং সেটা ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েই করা উচিত।      

আদা কিভাবে খেলে গ্যাস হয় না

আদা খাবারের মসলা হিসেবে পরিচিত। তবে এই আদা ঠান্ডা জনিত কাশিতেও খুবই উপকারী। তবে অনেকেই হয়তো জানে না যে, আদা হজমের জন্য উপকারী একটি উপাদান। যা আপনার পেটে গ্যাস কমাতে সাহায্য করবে। তবে তার জন্য আপনাকে জানতে হবে আদা কিভাবে সেবন করতে হবে। চলুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক যে আদা কিভাবে খেলে গ্যাস হয় না। 

আদা পানি বা আদার নির্যাস গ্যাস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে। কারণ আদার নির্যাস বা আদা পানি খাদ্য হজম করতে সাহায্য করে। তাই খাবার ঘন্টা খানেক আগে যদি আদা খাওয়া যায় তাহলে খুবই উপকার মিলবে। এজন্য আপনাকে প্রথমে যা করতে হবে তাহলো আদা কুচি করে কেটে নিতে হবে। এরপর কিছুটা পানির মধ্যে আদার টুকরো দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। ফুটানো হয়ে গেলে ঐ আদা পানি ঠান্ডা করে নিতে হবে।

অর্থাৎ আদা পানি হালকা কুসুম গরম অবস্থায় খেয়ে নিতে হবে। এতে করে আপনার যদি পেট ফুলে থাকা বা পেট ফাঁকা সমস্যা থেকে থাকে তাহলেও সেরে যাবে। আদা গ্যাসের জন্য কতটা যে উপকারী এই বিষয়টি আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। যদি আপনি আদার সঠিক ব্যবহার করে থাকেন। আশা করছি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। 

পুদিনা পাতা খেলে কি গ্যাস ভালো হয় 

সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি এবার আলোচনা করব পুদিনা পাতা খেলে কি গ্যাস ভালো হয়। অনেকেই এই বিষয়টি জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আপনার প্রশ্নের উত্তরে আমি বলব যে হ্যাঁ পুদিনা পাতা খেলে গ্যাস ভালো হয়। পুদিনা পাতার ভেতরে উপস্থিত রয়েছে গ্যাস নির্মূল করার উপাদান। তাই আপনার যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়। 

তাহলে আপনি কয়েকটি পুদিনা পাতা নিয়ে গরম পানির মধ্যে ফুটিয়ে নিতে পারেন এবং এটি পানীয় হিসেবে পান করতে পারেন। আবার আপনি যদি চান তাহলে কয়েকটি পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। তাহলেও আপনি উপকৃত হবেন। 

গ্যাস দূর করতে জিরা পানি কতটা উপকারী

গ্যাস দূর করতে জিরা পানির কোন বিকল্প হতে পারে না। এটি আপনার খাদ্য হজমে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। জিরা আপনি বিভিন্নভাবে খেতে পারেন। তার মধ্যে মনে করেন আপনি কিছুটা জিরার গুঁড়ো পানিতে মিশিয়ে নিলেন তারপর সেটা পান করলেন এটাতে আপনি উপকার পাবেন। আবার যদি মনে করেন জিরা ভিজিয়ে রেখে ভেজানো জিরে পানি ছেকে খেয়ে নিলেন। আবার আপনি জিরা চিবিয়ে খেয়ে পানি খেয়ে নিলেন এতেও সমান উপকার পাবেন। 

গ্যাসের জন্য লবণ পানি উপকারী কিনা

আপনার যদি পেটে গ্যাস কিংবা পেট ফাঁপা সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আপনি লবণের ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য লবণ পানির সাথে যদি কিছুটা আদা মিশিয়ে নেন তাহলে আরও বেশি উপকার পাওয়া যাবে। অর্থাৎ আদা ও লবণ মিশ্রিত হালকা কুসুম গরম পানি গ্যাসের জন্য খুবই উপকারী।  

আমার শেষ মতামত 

সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই আর্টিকেল পোস্টে। আপনি যদি আজকের আর্টিকেল পোস্টটি পড়ে থাকেন তাহলে উপকৃত হবেন। তাই এখনও পর্যন্ত যদি আপনার এই আর্টিকেল পোস্টটি পড়া না হয়ে থাকে তাহলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ আর্টিকেল পোস্টটি পড়ে নিবেন। আমাদের ডিজিটাল মার্কেটিং আইটি এই ওয়েবসাইটটিতে নিয়মিতভাবে আপডেট তথ্যমূলক আর্টিকেল পোস্ট পাবলিশ করা হয়ে থাকে। 

এইরকম আরও আপডেট তথ্য মূলক আর্টিকেল পোস্ট পেতে নিয়মিতভাবে আমাদের ডিজিটাল মার্কেটিং আইটি ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। সবশেষে বলবো আজকের এই আর্টিকেল পোস্ট আপনার কেমন লেগেছে মন্তব্য করে জানাবেন এবং আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে ধৈর্য সহকারে এই আর্টিকেল পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল মার্কেটিং আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্টে রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪