OrdinaryITPostAd

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় কি বিস্তারিত বিষয় সম্পর্কে জেনে নিন

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন অনেকেই। প্রতিটি মানুষই চাই নিজের সৌন্দর্য সবার শীর্ষে থাকুক। তাই আপনি যদি নিজের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেল পোস্টটি আপনার জন্য।

একজন মানুষের ভালো চরিত্র হতে গেলে যেমন চারিত্রিক গুণাবলী ভালো হওয়া উচিত। ঠিক তেমনিভাবে সৌন্দর্যের অধিকারী হতে গেলে ফর্সা রঙের গুণাবলী থাকা আবশ্যক। তাই আপনি যদি অধীক সৌন্দর্যের অধিকারী হতে চান। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ পড়ে নিবেন। কারণ এই আর্টিকেল পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি সৌন্দর্য সম্পন্ন ভাবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় কি বিস্তারিত বিষয় সম্পর্কে জেনে নিন

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায়

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানা প্রয়োজনীয়। গায়ের রং ফর্সা হোক ও উজ্জ্বল হোক এই প্রত্যাশা কেনা করে। বাজারে বিভিন্ন প্রকারের ফর্সা হওয়া ক্রিম পাওয়া গেলেও সেগুলোতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু ঘরোয়া বেশ কিছু উপায় রয়েছে যেগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী এবং পরিমাণ মতো ব্যবহার করলে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় না। সেক্ষেত্রে ত্বকের ধরন অনুযায়ী প্রাকৃতিক উপাদান সঠিকভাবে বেছে নেওয়া উত্তম।

অতএব, আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী সঠিক উপাদান নির্বাচন করতে সক্ষম হলে আপনার ত্বকে কোন ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে না। আর সেই জন্য আপনাকে জানা দরকার যে প্রাকৃতিক কোন ঘরোয়া উপায়গুলো অবলম্বন করলে ফর্সা হওয়া যায়। চলুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক কোন কোন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়া যায়। ফর্সা হওয়ার প্রাকৃতিক উপাদান গুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো-

১। কমলার খোসা

২। গুঁড়ো দুধ

৩। লেবু

৪। চন্দন

৫। টমেটো

৬। চালের গুঁড়ো

৭। শসা

৮। পাকা কলা

৯। কাঁচা হলুদ

১০। আলুর রস

১। কমলার খোসাঃ প্রায় অধিকাংশ মানুষেই কমলার খোসার ব্যবহার জানেনা। কমলা খাবার পর কমলার খোসা অব্যবহৃত মনে করে ফেলে দেয়। কিন্তু আপনার এই অব্যবহৃত কমলার খোসায় হতে পারে ফর্সা হওয়ার জন্য মূল্যবান ঘরোয়া উপায়। কমলার খোসা দিয়ে যদি আপনার ত্বক ফর্সা করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে যা করতে তাহলো কমলার খোসার গুড়ো অথবা কমলার খোসার পেস্ট এক চামচ নিতে হবে। 

এর সাথে এক টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে ভালো করে পেস্ট বানাতে হবে। এবার এই পেস্ট মুখে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর ধুয়ে ফেলতে হবে। এইভাবে কমলার খোসায় আপনার ফর্সা হওয়ার লক্ষ্যে পৌঁছে দেবে।  

২। গুঁড়ো দুধঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় এর মধ্যে উল্লেখিত গুঁড়ো দুধ। অনেকে হয়তো জানেন না যে গুঁড়ো দুধ দিয়ে ফর্সা হওয়া যায়। চলুন তাহলে এবার জেনে নেই গুঁড়ো দুধ কিভাবে ব্যবহার করার মাধ্যমে ফর্সা হওয়া যায়। তো এর জন্য প্রথমে আপনাকে যা করতে হবে তা হলো-এক টেবিল চা চামচ গুঁড়ো দুধ নিতে হবে।  এর সাথে এক টেবিল চা চামচ বাদাম তেল এবং এক টেবিল-চামচ লেবুর রস ভালোভাবে মিশাতে হবে। 

মেশানো হয়ে গেলে এই প্যাকটি আপনার সমস্ত মুখমণ্ডল ও ত্বকে লাগাতে হবে এবং ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে আপনার ত্বকের রোদে পোড়া ভাব ও অন্যান্য কালচে ভাব দূর করে ত্বকে এনে দিবে উজ্জ্বলতা।  

৩। লেবুঃ লেবু সকলেই চিনে থাকবেন। লেবু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি ফল। লেবু খাওয়ার যেমন অনেক উপকারিতা রয়েছে। ঠিক তেমনি ভাবে লেবুর রস বাহ্যিকভাবে ব্যবহার করার ফলেও অনেক উপকারিতা পাওয়া সম্ভব। যেমন-পরিমাণ মতো লেবুর রস ও তার সাথে দুই টেবিল চামচ গরুর দুধ এবং কিছুটা বেসন মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে এবং সেই মিশ্রণ ত্বকে লাগাতে হবে। এরপর ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।  

৪। চন্দনঃ চন্দন কাঠের গুঁড়ো ত্বকের জন্য খুবই উপকারী একটি প্রাকৃতিক উপাদান। এই প্রাকৃতিক উপাদানটির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বক এর যাবতীয় সমস্যা দূর হয়। আপনি যদি ত্বক ফর্সা করতে চান তাহলে প্রতিদিন অন্তত একবার করে চন্দন গুড়োর সাথে দুধ মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করতে পারেন।তাহলে অল্প দিনের মধ্যে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন।  

৫। টমেটোঃ ত্বকের অবদান হিসেবে টমেটোর প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। যদি আপনার টমেটোতে এলার্জি না থাকে তাহলে টমেটো দিয়ে রূপচর্চা করতে পারেন। টমেটো দিয়ে ফর্সা হতে চাইলে আপনি প্রথমে যেটা করবেন সেটা হল টমেটো পেস্টের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিবেন।ভালোভাবে মেশানো হয়ে গেলে এই মিশ্রিত প্র্যাকটি আপনার ত্বকে ব্যবহার করবেন। এবং ১৫ মিনিট রাখার পর ধুয়ে ফেলবেন।  এতে আপনি ভালো ফলাফল দেখতে পাবেন। 

৬। চালের গুঁড়োঃ চাউলের গুঁড়ো দিয়ে ফেসপ্যাক বানানো যেতে পারে। তো এই ফেস প্যাকটি তৈরি করার জন্য দুই টেবিল চা চামচ চাউলের গুড়ো নিতে হবে এবং এই চাউলের গুড়োর সঙ্গে আধা চা চামচ মধু ও আধা কাপ চা এর লিকার নিতে হবে। এরপর সবগুলো উপাদান ভালো করে মেশাতে হবে। উপাদানগুলো ভালো করে মেশানো হয়ে গেলে মুখে লাগাতে হবে। 

৭। শসাঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় এর মধ্যে আরও একটি উপাদান চলে আসে সেটি হল শসা। আপনি চাইলে শসা ব্যবহার করে ফর্সা হতে পারেন এর জন্য আপনাকে শসার নির্যাস আর তার সাথে সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে মুখে লাগাতে হবে। ১৫ মিনিট রাখার পর সেটা ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। মনে রাখতে হবে এই প্যাকটি শুষ্ক ত্বকের জন্য উত্তম। যদি তৈলাক্ত ত্বক হয়ে থাকে তাহলে মধুর জায়গায় আপনি লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন।  

৮। পাকা কলাঃ পাকা কলার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। পাকা কলা রূপ চর্যায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এর জন্য পাকা কলার পেস্ট তৈরি করতে হবে। এরপর ওই পেস্ট মুখে লাগাতে হবে। পাকা কলার পেস্ট মুখে লাগানোর পরে ৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে এবং তারপরে ধুয়ে ফেলতে হবে। এইরকম ভাবে পাকা কলার ব্যবহার করে থাকলে মুখের ত্বকে থাকা সমস্ত কালো দাগ দূর হয়ে যাবে। এবং ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। 

৯। কাঁচা হলুদঃ আদিকাল থেকে ত্বকের যত্নে কাঁচা হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে। কাঁচা হলুদ ব্যবহার করার ফলে মুখের ব্রণ এবং ব্রণের কালো দাগ দূর হয়। পাশাপাশি ত্বকের যাবতীয় কালচে দাগ দূর করে ত্বক করে ফর্সা। এর জন্য কাঁচা হলুদের সাথে আরো কয়েকটি উপাদান মিশালে আরও বেশি উপকার পাওয়া যায়। এক টেবিল চা চামচ কাঁচা হলুদের সাথে এক টেবিল চামচ বেসন, এক টেবিল চামচ দুধ ও এক থেকে দুই ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। 

কাঁচা হলুদের মিশ্রন তৈরি হয়ে গেলে মুখের ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে এবং তারপরে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। অপেক্ষা করা হয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলতে হবে।

১০। আলুর রসঃ আলুর রস ব্যবহারে ত্বক ফর্সা হয় কথাটি শুনতে অবাক লাগলেও সত্য। ত্বক ফর্সা করার জন্য আলুর নির্যাস বের করে নিতে হবে। এবং এই আলুর রস সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করা যাবে।  এর সঙ্গে অন্য কোন প্রাকৃতিক উপাদান না মেশালেও চলবে। তবে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা উচিত যে, উপরে উল্লেখিত ও আলোচিত প্রাকৃতিক উপাদান গুলি ব্যবহারে যদি কারো এলার্জির সমস্যা হয়। তাহলে সেই প্রাকৃতিক উপাদানটি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।  

ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় জানার পাশাপাশি এবার জেনে নিন ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় কি। বাহ্যিকভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া অনেক উপায় রয়েছে। ঠিক তেমনিভাবে ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার সমূহের মধ্যে দুধ ও কাঁচা হলুদ উল্লেখযোগ্য। ব্যাপকভাবে রূপচর্চার কাজে দুধ ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে। ভেতর থেকে ফর্সা হতে চাইলে প্রতিদিন নিয়ম করে উষ্ণ গরম দুধের মধ্যে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে পান করতে হবে।

যদি দুধের মধ্যে হলুদ গুঁড়ো অথবা হলুদ পেস্ট মিশিয়ে খেতে অসুবিধা মনে হয়। তাহলে হলুদ টুকরো করে কেটে নিয়ে দুধের মধ্যে ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর ফোটানো গরম দুধ উষ্ণ গরম অবস্থায় পান করতে হবে। 

কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় 

কালো থেকে ফর্সা হওয়ার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে চারকোল বা কার্বনের। রূপচর্চার কাজে আদিকাল থেকেই চারকোল এর ব্যবহার হয়ে আসছে। নারীদের তুলনায় পুরুষদের জন্য চারকলের ব্যবহার খুবই উত্তম। প্রতিদিন যদি ঘুমোতে যাওয়ার চারকোল মিশ্রিত ক্রিম ব্যবহার করা হয় তাহলে ত্বকের যাবতীয় বলিরেখা দূর হয়ে যাবে এবং কালো ত্বক ফর্সা হবে। চারকল এর ব্যবহার প্রতিদিন করা সম্ভব না হলে সপ্তাহে অন্তত একদিন এর ব্যবহার করতে হবে।  

স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়

স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করতে দুধের সঙ্গে কাঁচা হলুদ পেস্ট বা গুড়ো মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও বাহ্যিক ব্যবহার করার জন্য দুধ ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার করা যেতে পারে। এর জন্য ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ও এক টেবিল চা চামচ কাঁচা হলুদ পেস্ট নিয়ে তার সঙ্গে তিন টেবিল চা চামচ দুধ মেশাতে হবে। মেশানো হয়ে গেলে এই পেস্ট মুখে ভালোভাবে লাগাতে হবে এবং শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

এবং নরম কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে পরিষ্কার করে ধোয়ার সময় গরম পানির ব্যবহার যেন না হয়ে থাকে। এবং অন্তত ১২ ঘণ্টা রোদে যাওয়া যাবেনা। এভাবে নিয়ম মেনে সঠিক ভাবে হলুদ দুধের ব্যবহার করতে পারলে আপনার ত্বক হয়ে উঠবে ফর্সা, কোমল ও দাগ হীন।  

কি খাবার খেলে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়া যায়

অনেকেই এই বিষয়টি জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন যে, কি খাবার খেলে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়া যায়।রূপচর্চার কাজে প্রাকৃতিক উপাদানের বাহ্যিক ব্যবহারের পাশাপাশি বেশ কিছু খাবার রয়েছে যেসকল খাবার গুলো খাওয়ার মাধ্যমে ভেতর থেকে রং ফর্সা করে ও ত্বক উজ্জ্বল হয়। চলুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক কি খাবার খেলে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়া যায়। প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার খাবার গুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

  • কলা
  • টমেটো
  • গাজর
  • পানি
  • গ্রিন টি
  • বাদাম
  • ফ্যাটি অ্যাসিড বা অমেগা -৩ সমৃদ্ধ মাছ
  • সবুজ শাকসবজি
  • ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার

ত্বক উজ্জ্বল রাখতে করণীয় কি

প্রত্যেকেরই উচিত ত্বক উজ্জ্বল রাখতে ত্বকের সঠিক পরিচর্যা করা ও ত্বকের প্রতি যত্নবান হওয়া। কারণ অবহেলা করে ত্বকের যত্ন না নিলে ত্বক ডেমেজ হয়ে যায়, ত্বকে বয়সের বলি রেখা দেখা যায়। ত্বকের উপরে যে সকল কালো ময়লা পড়ে সেগুলো নিয়মিতভাবে পরিষ্কার রাখতে হবে। সারাদিনের ব্যস্ততার শেষে অন্তত রাত্রে ঘুমোতে যাওয়ার পূর্বে মুখমন্ডল ও সমস্ত ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এবং বাইরে বের হওয়ার পূর্বে সান্সক্রিন ব্যবহার করে নিতে হবে। 

খেয়াল রাখতে হবে ত্বকে যেন কোনভাবে ময়লা না জমে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম এর প্রয়োজন রয়েছে।এবং তার সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত। আর তাছাড়া এমন কিছু খাবার খেতে হবে যে সকল খাবারগুলো ত্বকের জন্য উপকারী ও ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে থাকে। 

সকালে খালি পেটে কি খেলে ত্বক ফর্সা হয়

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এবার আলোচনা করব সকালে খালি পেটে কি খেলে ত্বক ফর্সা হয়। প্রত্যেকেই প্রতিদিন সকালবেলা কোন না কোন খাবার খেয়ে থাকে। কারণ জীবনধারণের জন্য খাবার গ্রহণ করা জরুরী। অপরদিকে প্রত্যেকটি মানুষেরই ফর্সা হওয়া একটি কাঙ্ক্ষিত চাওয়া। আর ফর্সা হওয়ার চাহিদা পূরণ করতে এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলি খুবই কার্যকরী ও প্রয়োজনীয়।

এবং সেই সকল খাবারগুলো সকালে খালি পেটে খেলেই এর কার্যকরী উপকারিতা গুলো পাওয়া যায়। সকালে খালি পেটে যে সকল খাবার খেলে ত্বক ফর্সা হয় সেগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো-

রসুনঃ রসুনের বিভিন্ন কার্যকরী ঔষধি গুনাগুন রয়েছে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে যদি এক কোয়া রসুন খাওয়া যায় তাহলে ত্বক উজ্জ্বল হবে ও পাশাপাশি আরো অনেক গুনাগুন ও উপকারিতা পাওয়া যাবে।   

সবুজ শাকসবজিঃ সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে। পাশাপাশি শরীরের খারাপ টক্সিন গুলো দূর করতে সবুজ শাকসবজির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। তাই প্রতিদিন সকালে যদি সবুজ শাকসবজি যেমন পালং শাক বা ব্রকলি সিদ্ধ করে খাওয়া যায় তাহলে শরীরে থাকা খারাপ টক্সিন বা অতিরিক্ত টক্সিন দূর হয়ে যাবে। সেই সাথে উজ্জল ও ফর্সা হবে।   

লেবু ও হালকা গরম পানিঃ ত্বক ফর্সা করতে লেবু ও হালকা গরম পানি খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও প্রতিদিন সকালে খালি পেটে লেবু ও উষ্ণ হালকা গরম পানি খাবার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সেরে যায়, ওজন নিয়ন্ত্রণ করে।   

আপেলঃ প্রতিদিন সকালে খাবারের তালিকায় যদি একটি আপেল দেখা যায় তাহলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। সকালে খালি পেটে একটি আপেল খাওয়ার ফলে শরীরের টক্সিন গুলো বের হয়ে যাবে এবং ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা করতে সাহায্য করবে।   

বাঁধাকপিঃ ত্বক ফর্সা করার খাবারের মধ্যে উল্লেখিত হলো বাঁধাকপি। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে বাঁধাকপি খাওয়ার ফলেও শরীরের খারাপ টক্সিন দূর হয় এবং ত্বক ফর্সা হয়।

কি ব্যবহার করলে ত্বক সুন্দর হয়

ত্বক সুন্দর করতে প্রাকৃতিকভাবে ঘরোয়া উপায় গুলো অনুসরণ করতে হবে পাশাপাশি নিয়মিত ভাবে ত্বক মানসম্মত এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া যে সকল ফেসওয়াশ রয়েছে সেগুলো দিয়ে মুখ মন্ডল পরিষ্কার করতে হবে। যে সকল প্রাকৃতিক উপাদান গুলো ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে সেই সকল প্রাকৃতিক উপাদানগুলো সঠিক ব্যবহার করতে হবে। যেমন- দুধ, লেবু, টক দই, চন্দন ইত্যাদি। সেই সাথে গরম পানির ভাব নেওয়া ও পরিমিত ঘুম জরুরি। 

ত্বক ফর্সা করতে ক্রিম নাকি ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত

ত্বক ফর্সা করতে ক্রিম নাকি ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত এই বিষয়টি জানার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন অনেকেই। ত্বক ফর্সা করতে দীর্ঘদিন যাবত ক্রিমের ব্যবহার করে থাকলে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। যার কারণে ত্বকের অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে। অপরদিকে ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো ব্যবহারের ফলে ত্বকে কোন প্রকারের ক্ষতি হয় না। অতএব ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো পরিমাণ মতো নিয়ম অনুযায়ী সঠিকভাবে দীর্ঘদিন যাবত ব্যবহার করা যেতে পারে।

আমার শেষ মতামত

আজকের এই আর্টিকেল পোষ্টের আলোচনার মধ্যে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এই আর্টিকেল পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি উপকৃত হবেন।তাই এখন পর্যন্ত যদি এই আর্টিকেল পোস্টটি পড়া না হয়ে থাকে তাহলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ আর্টিকেল পোস্ট পড়ে নিবেন। নিয়মিত ভাবে আমাদের ডিজিটাল মার্কেটিং আইটি এই ওয়েবসাইটটিতে আপডেট তথ্যমূলক আর্টিকেল পোস্ট পাবলিশ করা হয়ে থাকে। 

তাই নিয়মিত ভাবে এইরকম আরও আপডেট তথ্যমূলক আর্টিকেল পোস্ট পেতে আমাদের ডিজিটাল মার্কেটিং আইটি এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। সবশেষে বলবো আজকের এই আর্টিকেল পোস্টটি আপনার কেমন লেগেছে মন্তব্য করে জানাবেন এবং আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে ধৈর্য সহকারে এই আর্টিকেল পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল মার্কেটিং আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্টে রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪