OrdinaryITPostAd

কোন কোন খাবারে এলার্জি আছে তার তালিকা দেখে খাবার খান সুস্থ থাকুন

কোন কোন খাবারে এলার্জি আছে তার তালিকা জানতে আপনি যদি আগ্রহী হয়ে থাকেন। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল পোস্টটি থাকছে আপনার জন্য। এলার্জিজনিত খাবার খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই আজকের এই আর্টিকেল পোস্টটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

নিজেকে সুস্থ রাখতে খাবারের প্রতি সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ একজন মানুষকে সঠিক মাত্রায় সঠিক খাবারই পারে সুস্থ রাখতে। তাই কোন খাবারে এলার্জি রয়েছে আর কোন খাবারে এলার্জি নেই এই বিষয়টি জানতে পুরো আর্টিকেল পোস্টটি পড়ে নিবেন। আজকের আর্টিকেল পোস্টটি পড়লে আপনার খাবারের প্রতি সচেতনতা বাড়বে এবং সঠিক খাবার খেতে সক্ষম হবেন। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ কোন কোন খাবারে এলার্জি আছে তার তালিকা 

কোন কোন খাবারে এলার্জি আছে

কোন কোন খাবারে এলার্জি আছে তার তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই আর্টিকেল পোস্টে। একজন মানুষের জন্য যেমন খাবার গ্রহণ করার গুরুত্ব অপরিহার্য।ঠিক তেমনিভাবে খাবারের প্রতি সচেতনতা অবলম্বন করাও প্রয়োজনীয়। কথায় বলে সুস্বাস্থ্য মানুষের অমূল্য সম্পদ।  তাই স্বাস্থ্যকে রক্ষা করার দায়িত্ব আপনার। সুস্বাস্থ্য কামনা করা প্রত্যেকটি মানুষেরই কাম্য। তাই একজন মানুষ হিসেবে আপনাকে জানতে হবে কোন খাবারগুলো এলার্জি জনিত। 

যদি এলার্জিজনিত খাবার সম্পর্কে ধারণা না থেকে থাকে। তাহলে তো ওই খাবার খাওয়ার কারণে নানা রকম সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এবার জেনে নেওয়া যাক কোন খাবার গুলোর মধ্যে এলার্জি রয়েছে। এলার্জিজনিত ৫ টি খাবারের তালিকা নিম্নরূপ করা হলো-

১। সামুদ্রিক মাছ

২। স্যালিসাইলেট জাতীয় সবজি

৩। শক্ত খোল জাতীয় মাছ

৪। প্রাণিজ প্রোটিন

৫। ট্রিনাটস

১। সামুদ্রিক মাছঃ বিশেষজ্ঞদের মতে সামুদ্রিক মাছে এলার্জি রয়েছে। এমন কিছু সামুদ্রিক মাছ রয়েছে- যেগুলো খেলে এলার্জির প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। এমন কি আপনার স্কিনে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তবে হ্যাঁ সবার যে সামুদ্রিক মাছে এলার্জি হবে এমনটা নয়। যাদের মাছে এলার্জি রয়েছে সাধারণত তারা যে সকল মাছগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকবে সেই মাছগুলো হলো- চিংড়ি, ইলিশ, টুনা, ম্যাক্রোল, স্যালমন ইত্যাদি। 

২। স্যালিসাইলেট জাতীয় সবজিঃ  স্যালিসাইলেট জাতীয় সবজি যেমন-পুঁইশাক, বেগুন, মিষ্টি কুমড়া খেলে এলার্জি সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে বা এলার্জির প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া বেশ কিছু সবজি রয়েছে যেগুলোতে এলার্জি হতে পারে। তবে সবার ক্ষেত্রে হবে না। যেমন-লাউ, লাউ এর শাক, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি কুমড়ার শাক, কচু শাক, লাল শাক, গাজর, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, সিম, পালং শাক, পেঁপে, মিষ্টি আলু, কলা ইত্যাদি।

৩। শক্ত খোল জাতীয় মাছঃ শক্ত খোল জাতীয় মাছের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হলো চিংড়ি, লবস্টার, কাঁকড়া ইত্যাদি মাছগুলোতে শক্ত খোল রয়েছে। এই সমস্ত মাছগুলো খেলে এলার্জির প্রবণতা তীব্র বৃদ্ধি পেতে পারে। 

৪। প্রাণিজ প্রোটিনঃ প্রাণীজ প্রোটিনের মধ্যে রয়েছে দুধ, ডিম, মাছ, মাংস ইত্যাদি থেকে এলার্জি হতে পারে।

৫। ট্রি নাটসঃ ট্রিনাটস এর মধ্যে রয়েছে- কাজু, পেস্তা, আমন্ড, আখরোট এই সমস্ত খাবারগুলো খাওয়ার মাধ্যমে এলার্জি হতে পারে। তাই নিজেকে এলার্জি মুক্ত রাখতে সচেতন হওয়াটা আবশ্যক। তাই কোন খাবারে এলার্জি হচ্ছে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।   

এলার্জি কত ধরনের

কোন কোন খাবারে এলার্জি আছে তার তালিকা জানার পাশাপাশি এবার জেনে নিন এলার্জি কত ধরনের। এলার্জির ধরন বিভিন্ন রকম। এক একটি মানুষের একেকটি কারণে এলার্জি হতে পারে কারো এলার্জি দুধে, আবার কারো বিভিন্ন শাকসবজিতে, আবার কারো এলার্জি হয়ে থাকে ধুলোবালিতে। আবার কিছু ফল রয়েছে যেগুলোতে এলার্জি হতে পারে। একজনের যে খাবারে এলার্জি হয়ে থাকে। অন্য আরেকজনের সেই একই খাবারে এলার্জি হবে তেমনটা নয়।

চলুন তাহলে এবার জেনে নেয়া যাক এলার্জি কত ধরনের হয়। এলার্জি কত ধরনের তা নিম্ন উল্লেখ করা হলো এলার্জি সাধারণত ৪ ধরনের হয়ে থাকে যেমন-

১। শ্বাস-প্রশ্বাসে এলার্জি

২। খাবারে এলার্জি

৩। ইনজেকশনে এলার্জি

৪। ত্বকে এলার্জি

১। শ্বাস প্রশ্বাসে এলার্জিঃ শ্বাস-প্রশ্বাসে এলার্জি বলতে সাধারণত নাক দিয়ে পানি পড়া, হাঁচি-কাশি, ত্বকের চুলকানি এগুলোকেই বলা হয়ে থাকে। এই বিষয়গুলো সাধারণত শ্বাস প্রশ্বাসে এলার্জির লক্ষণ। 

২। খাবারে এলার্জিঃ খাবার খাওয়া থেকেও এলার্জি হতে পারে। তাই এলার্জি জনিত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এমন কিছু খাবার রয়েছে যে খাবার গুলো খেলে এলার্জির প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। সাধারণত সে সকল খাবার গুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে কোন খাবার গুলো খেলে এলার্জি সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

৩। ইনজেকশনে এলার্জিঃ কোন কোন সময় দেখা যায় যে ইনজেকশন নিলে ইনজেকশনের চারপাশে ফুলে যায় ফুসকরির মত দেখা যায়। সেই জায়গাতে চুলকাতে থাকে। সাধারণত এটি হলো ইনজেকশনে এলার্জি।  

৪। ত্বকে এলার্জিঃ আমাদের ত্বকে যেসব এলার্জি দেখা যায় এগুলোকে ত্বকের সংস্পর্শে এলার্জি বলা হয়ে থাকে। সাধারণত ত্বকের এলার্জিতে যে সকল সমস্যা দেখা যায় সেগুলো হলো  ত্বকের উপরে চুলকানি, লাল র‍্যাশ  বের হওয়া এবংত্বক কোন কোন জায়গায় ফুলে যাওয়া। এইরকম লক্ষণ দেখা গেলে বোঝা যাবে যে ত্বকের এলার্জি হয়েছে।   

এলার্জি বেশি হলে কি কি সমস্যা হয়

কোন কোন খাবারে এলার্জি আছে তার তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।  এবার আলোচনা করব এলার্জি বেশি হলে কি কি সমস্যা হয়। এলার্জি হওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। উপরোক্ত আলোচনার মধ্যে আলোচনা করা হয়েছে সাধারণত এলার্জি কত ধরনের এবং এলার্জির লক্ষণ গুলো কি। এলার্জি বেশি হলে কি সমস্যা হয় নিম্নে আলোচনা করা হলো- 

  • অতিরিক্ত হাঁচি
  • কাশি
  • পেট ব্যথা
  • শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়া
  • ত্বকের চুলকানি
  • চামড়া ফুলে যাওয়া 
  • ত্বক জ্বালাপোড়া ইত্যাদি। 

চুলকানির সময় কি খাওয়া যাবেনা

আপনার যদি ত্বকের চুলকানি হয়ে থাকে অর্থাৎ অতিরিক্ত ত্বক চুলকাতে থাকে। তাহলে এই সময় আপনাকে খাবারের প্রতি সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ এমন কিছু খাবার রয়েছে যে খাবার গুলো খেলে ত্বকের চুলকানি আরো বেড়ে যেতে পারে। সেই সকল খাবার খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। এলার্জির প্রবণতা সবথেকে বেশি যে খাবার গুলোতে সে সকল খাবার গুলো হলো- 

বেগুন, পুঁইশাক, কচু, ইলিশ,চিংড়ি,পাঙ্গাস মাছ, দুধ, হাঁসের ডিম, বাদাম,  ইত্যাদি। এককথায় যে খাবারগুলো খেলে চুলকানি প্রবণতা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে অর্থাৎ যে সকল খাবারে আপনার এলার্জি রয়েছে সে সকল খাবার খাওয়া যাবে না।    

মধু খেলে কি এলার্জি কমে

অনেকে আছে যারা মধু খেলে এলার্জি বাড়ে নাকি কমে এই বিষয়টি জানার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে।বিশেষজ্ঞদের মতে, মধু এলার্জির উপসর্গ কমাতে খুবই কার্যকরী। এক কথায় বলা যায় যে মধু খেলে এলার্জি কমে। মধুতে উপস্থিত ও কার্যকরী উপাদানের সাহায্যে এলার্জির উপসর্গ কম সংবেদনশীল হয়ে উঠতে পারে। 

শ্বাসকষ্ট রোগীর কোন খাবারে এলার্জি আছে

শ্বাসকষ্ট রোগীর জন্য ঠান্ডা জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়। কারণ ঠান্ডা শ্বাসকষ্টের শত্রু। শ্বাস কষ্টের কারণে ঠান্ডা জনিত কোন খাবার খাওয়া যাবেনা যেমন- ঠান্ডা দুধ, পনির, আইসক্রিম, দই ঠান্ডা শরবত।ঠান্ডা শরবত যদি লেবুর হয়ে থাকে তবুও সেটা খাওয়া যাবে না। অর্থাৎ ফ্রিজ থেকে বের করা কোন ঠান্ডা খাবার খেলেও শ্বাসকষ্ট রোগের এলার্জির সমস্যা হতে পারে। পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট রোগীর জন্য চিনা বাদাম ক্ষতিকারক। 

এছাড়াও শ্বাসকষ্ট রোগীর আরো যে সকল খাবারে এলার্জি থাকতে পারে যেমন সয়া অর্থাৎ যে সকল খাবারে অধিক প্রোটিন যুক্ত রয়েছে। ফ্রিজে রাখা আলুর কোন চিপস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। অধিক ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার যেমন- দুধ এবং অধিক ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনযুক্ত খাবার ডিম খাওয়া থেকেও বিরত থাকতে হবে শ্বাসকষ্ট রোগীকে। কারণ এই সকল খাবারগুলো শ্বাসকষ্টের প্রবণতা আরো বৃদ্ধি করে।  

কোন কোন ডালে এলার্জি রয়েছে

কোন কোন খাবারে এলার্জি আছে এই বিষয়টি জানার পাশাপাশি এবার জেনে নিন কোন কোন ডালে এলার্জি রয়েছে। এলার্জির প্রবণতা সবথেকে বেশি রয়েছে মসুরের ডালে। প্রতিদিন আমরা ডাল কমবেশি খেয়ে থাকি তাই জানার দরকার যে কোন ডাল অ্যালার্জিজনিত। তাই মূলত আলোচনা করা হলো যে কোন ডালে এলার্জি রয়েছে।  এলার্জিজনিত ডালের মধ্যে খেসারির ডাল ও মুগ ডাল উল্লেখযোগ্য। 

মাংসে এলার্জি কেন হয়

মাংস পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। মাংস প্রায় সবারই অতি প্রিয় একটি খাবার। আমরা প্রতিনিয়ত মাংস খেয়ে যাচ্ছি কিন্তু অনেকেই হয়তো জানি না যে, কোন মাংসে এলার্জি রয়েছে। এলার্জির সমস্যা মারাত্মক হলে মৃত্যু ঘটতে পারে। আর তাই এলার্জিজনিত খাবারের প্রতি বিশেষভাবে দৃষ্টিগোচর করা উচিত। অতএব আপনাকে জানতে হবে কোন মাংসে এলার্জি রয়েছে। এবং মাংসে কেন এলার্জি হয়।

সাধারণত মাংসে থাকা বিশেষ কিছু প্রোটিন রয়েছে। যে প্রোটিন গুলোর প্রতিক্রিয়া হিসেবে শরীরে এলার্জির লক্ষণ দেখা যায়। মাংস প্রাণিজ প্রোটিনযুক্ত খাবার। আর এই প্রাণীজ প্রোটিনযুক্ত খাবার শরীরের এলার্জি জন্য হুমকি স্বরূপ। সাধারণত গরুর মাংস, খাসির মাংস, মুরগির মাংসে এলার্জি হয়ে থাকে। 

অ্যালার্জি প্রতিকারের উপায়

এলার্জি প্রতিকারের উপায় হিসেবে আমি বলব যে,  প্রথমেই আপনার শরীরে কোন ধরনের এলার্জি হয়েছে সেটি আগে চিহ্নিত করুন। তারপরে সেই রকম খাদ্য তালিকা এবং সেরকম সচেতনতা অবলম্বন করুন। যদি খাবারে কোন এলার্জি হয়ে থাকে তাহলে খাবারের প্রতি সচেতনতা বোধ তৈরি করতে হবে।  অর্থাৎ যে ধরনের এলার্জি সেই ধরনের প্রতিকার বেছে নিতে হবে এবং সেই রকম সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। 

আমার শেষ মতামত

কোন কোন খাবারে এলার্জি আছে তার তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে আজকের আর্টিকেল পোস্টের আলোচনার মধ্যে। আশা করছি আর্টিকেল পোস্ট পড়ে আপনি উপকৃত হবেন। এখন পর্যন্ত যদি আর্টিকেল পোস্টটি আপনার পড়া না হয়ে থাকে। তাহলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ আর্টিকেল পোস্ট পড়ে নিবেন। আমাদের ডিজিটাল মার্কেটিং আইটি এই ওয়েবসাইটটিতে নিয়মিত ভাবে আপডেট তথ্য মূলক আর্টিকেল পোস্ট পাবলিশ করা হয়ে থাকে। 

তাই এইরকম আরো আপডেট তথ্যমূলক আর্টিকেল পোস্ট পেতে নিয়মিতভাবে আমাদের ডিজিটাল মার্কেটিং আইটি এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। এতক্ষণ পর্যন্ত আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আর্টিকেল পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সবশেষে বলব আজকের এই আর্টিকেল পোস্ট আপনার কেমন লেগেছে মন্তব্য করে জানাবেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল মার্কেটিং আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্টে রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪