শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত ত্বকের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিস্তারিত জেনে নিন
আমাদের দেশে প্রতিবছরই শীতকাল আসে তাই শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে রাখুন। কারণ শীতের সময় প্রত্যেকটি মানুষের ত্বক শুষ্ক-খুষ্ক হয়ে ওঠে। আর তাই এই বিষয়টি সম্পর্কে অনেকেই জানার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে। তাই আপনাদের মুখে কি মাখা উচিত সেই সকল বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে সম্পূর্ণ এই আর্টিকেল পোস্টে।
শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত এই বিষয়টা নিয়ে আপনি কি খুবই চিন্তিত। কারণ শীতে আপনার ত্বক প্রচন্ড রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে। মুখের ত্বকে সাদা চামড়া উঠছে। আবার কোন কোন জায়গায় কালো হয়ে গেছে। এ সকল সমস্যার সমাধান গুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব আজকের আর্টিকেল পোস্টে। তাই মনোযোগ সহকারে আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেল পোস্টটি পড়তে হবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত ত্বকের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিস্তারিত জেনে নিন
- শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত ত্বকের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নিন
- শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় কি
- শীতে শুষ্ক ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় গুলো কি
- শীতকালে শিশুর ত্বকের যত্ন কিভাবে নিবেন
- শীতে মুখের তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন
- শীতে মুখের ত্বকে রুক্ষতা দূর করার উপায়
- শীতে ঠোঁটের যত্ন কিভাবে নিবেন
- ত্বক ভালো রাখতে কোন ফল গুলো খাওয়া উচিত
- ত্বক ভালো রাখতে কোন খাবারগুলো খাবেন
- শীতে রুক্ষ ও শুষ্ক ত্বকের জন্য কোন লোশন বেছে নিবেন
- মুখের ত্বকে কোন ক্রিম ব্যবহার করবেন
- পরিশেষে আমার মতামত
শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত ত্বকের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত এই প্রশ্নটির উত্তরে আমি বলব যে, আগে আপনি নিশ্চিন্ত হন যে আপনার মুখের ত্বক তৈলাক্ত, রুক্ষ নাকি শুষ্ক। এরপর আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আপনার জন্য কোন ক্রিম বা কেমন যত্ন পারফেক্ট হবে। কারণ বর্তমান সময়ে মার্কেটে বহু রকমের ক্রিম, লোশন, গ্লিসারিন পাওয়া যায়। তবে একেকটি ক্রিম ও লোশন এর গুনাগুন এক এক রকম। যেমন ধরুন আপনার ত্বক অনেক রুক্ষ ও শুষ্ক।
তাহলে আপনাকে এমন ধরনের লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করতে হবে যেটি আপনার ত্বককে পরিপূর্ণভাবে ময়েশ্চারাইজিং করবে। আপনার ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখবে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলবে। কিন্তু বাজারে আসল পণ্যের পাশাপাশি নকল পণ্যের আমদানি অনেক বেশি। ফলে আপনাকে বুঝতে হবে কোন প্রোডাক্টটি আসল। কারণ নকল প্রোডাক্ট হইতে আপনাকে সাবধান হতে হবে। নকল প্রোডাক্টে আপনার ত্বক হয়ে যেতে পারে আরো বেশি খারাপ।
আজকের আর্টিকেল পোস্টটিতে রুক্ষ ত্বকের উজ্জ্বলতা কিভাবে বৃদ্ধি করবেন, শুষ্ক ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় গুলো কিভাবে ব্যবহার করবেন, শীতকালে শিশুর ত্বকের যত্ন কিভাবে নেবেন, মুখের তৈলাক্ত দূর করার উপায় কি, ত্বকের রুক্ষতা দূর করবেন কিভাবে, ঠোঁটের যত্ন কিভাবে নিবেন, ত্বককে ভালো রাখতে কোন ফলগুলো খাওয়া উচিত, রুক্ষ শুষ্ক ত্বকের জন্য কোন লোশন বা ক্রিম বেছে নিবেন ইত্যাদি।
এই সকল বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আজকের আর্টিকেল পোস্টের বিষয়গুলো বিস্তারিত ভাবে জানতে মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেল পোস্টটি আপনাকে পড়তে হবে।
শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় কি
আপনার কি শীতে আপনার ত্বকের উজ্জ্বল নষ্ট হয়ে গেছে। তাহলে আপনি জেনে নিন শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত ত্বকের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ এই বিষয়টি সম্পর্কে আমরা আপনাদের মাঝে আলোচনা করতে চলেছি এই পোষ্টের মাধ্যমে। এবার জেনে নিন আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে। শীতে প্রায় সবার ত্বকই খসখসে রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। মরা সাদা চামড়া গুলো উঠে, শরীরে বিভিন্ন স্থান আবার ফেটে যায়।
যেমন কারো ঠোঁট ফেটে যায়, কারো গাল ফেটে যায়, গালের উপরের অংশে কালো কালো দাগ হয়। এরকম অবস্থা ত্বকে যদি সৃষ্টি হয় তাহলে তো দেখতে খুবই খারাপ লাগে। কারো সামনে যেতে খুবই লজ্জা বোধ হয়। এরকম ত্বকের সমস্যা দূর করার কিছু মাধ্যম রয়েছে। শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতার বৃদ্ধির উপায় কি নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। বিভিন্ন উপায়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখা যায় এবং ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখা সম্ভব।
কখনো কখনো সেটি হতে পারে কৃত্রিম উপায়ে আবার প্রাকৃতিক উপায়েও ত্বকের যত্ন করা যায়। এছাড়াও নিজস্ব কিছু পরিচর্যার মাধ্যমে ত্বককে সুন্দর রাখা যায়। যে সকল উপায়ে শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা যায় সেগুলো হল-
- পরিষ্কার পরিছন্নতা।
- পুষ্টিকর খাদ্য।
- বেশি করে পানি পান করা।
- নিয়মিত গোসল।
- ময়চারাইজার এর ব্যবহার।
- প্রাকৃতিক উপাদান দ্বারা ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন।
- গায়ে রোদ লাগানো।
- গোসলের সময় হালকা গরম পানির ব্যবহার।
- সঠিক পোশাক পরিধান ইত্যাদি।
শীতে শুষ্ক ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় গুলো কি
শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত ত্বকের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেছি সম্পূর্ণ আর্টিকেল পোস্টে। তাই এই বিষয়টি জানার পাশাপাশি এবার জেনে নিন শীতে শুষ্ক ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়গুলো কি কি? শীতকালে কিছু কিছু মানুষের ত্বক এতটা শুষ্ক হয়ে যায় যে, ত্বকে মশ্চারাইজার দেওয়ার পরও ত্বকের রুক্ষতা থেকে যায়। শুধু কৃত্রিম উপায় ব্যবহারে ত্বক ভালো থাকবে না। সেই সাথে কিছু ঘরোয়া উপায়ও মেনে চলতে হবে। যেমন ধরুন ঘরোয়া উপাগুলোর মধ্যে আপনি প্রত্যেকদিন নিয়মিত ভাবে গোসল করবেন।
এতে করে আপনার ত্বক রুক্ষ ও ড্রাইনেস হওয়ার হাত থেকে বেঁচে যাবে। অনেকে আছেন যারা শীতে অতিরিক্ত গরম পানির ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু বেশি গরম পানি দিয়ে গোসল করা যাবে না। খেয়াল রাখবেন আপনার গোসলের পানি যেন হালকা গরম হয়ে থাকে এবং দীর্ঘ সময় ধরে গোসল করবেন না। অল্প সময়ে গোসল শেষ করবেন। শীতকালে উলের কাপড় বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু খেয়াল রাখবেন শীতে সুতির কাপড় আগে পরিধান করবেন এবং তার ওপরে উলের কাপড় ব্যবহার করুন।
না হলে তো আপনার শরীরের ত্বক আরও রুক্ষ হয়ে যাবে। অতএব উলের কাপড় ব্যবহারে একটু সচেতন হতে হবে। এছাড়াও আপনি ঘরোয়া উপায় যেমন কফি বা চিনির ব্যবহার করতে পারেন। কফি ও চিনি মিশ্রণটি যদি আপনি আপনার ত্বকে ব্যবহার করেন এবং কিছু সময় ধরে আলতো ভাবে ম্যাসাজ করে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলেন। তাহলে আপনার ত্বকটা মশ্চারাইজার হবে এবং আপনার ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি পাবে এবং ত্বকের শুষ্কতা ও রুক্ষতা কমে যাবে। এছাড়ও আপনি ঘরোয়া কিছু খাবার-দাবারের ওপর লক্ষ্য করবেন।
কারণ কিছু খাবার আছে যেগুলো আপনার ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। সে সকল খাবার বেশি বেশি করে গ্রহণ করুন। যাতে আপনার ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বলতা রক্ষার্থে প্রটেক্ট করে। একই সাথে আপনি প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। শীত বলে পানি কম খাবেন না। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাবেন। তাহলে আপনার ত্বকের অধিকাংশ সমস্যাই চলে যাবে। এভাবে কিছু ঘরোয়া উপায় লক্ষ্য করে শীতের শুষ্ক ত্বকের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।
শীতকালে শিশুর ত্বকের যত্ন কিভাবে নিবেন
আপনি কি ভাবছেন শীতকালে মুখে কি মাখবেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য কেননা এই পোষ্টের মধ্যে আলোচনা করেছি শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত ত্বকের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিস্তারিত।শীতকালে শিশুদের ত্বকের যত্ন তুলনামূলকভাবে বেশি নেওয়া উচিত। কারণ শিশুদের ত্বক খুবই নরম ও সফট হয়ে থাকে। অতিরিক্ত ঠান্ডায় শিশুদের ত্বকের আদ্রতা কমে যায়। ফলে ড্রাইনেস বেড়ে যায়।শিশুদের নিয়মিতভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
কোনভাবে নোংরা হতে দেওয়া যাবে না। সেইসাথে ভেজাল মুক্ত মশ্চারাইজিং ব্যবহার করতে হবে। আপনার শিশুর ব্যবহারকৃত প্রোডাক্টটি কোনভাবে নকল হওয়া যাবে না। কারণ শিশুদের ত্বক অনেক নরম হয়। নকল প্রোডাক্ট ব্যবহার করার কারণে শিশুদের ত্বক আরো খারাপ হয়ে যেতে পারে। ভেজাল ক্রিম বা লোশন ব্যবহারের কারণে শিশুদের ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হওয়ার পাশাপাশি দেখা দিতে পারে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের র্যাস ও চুলকানি।
তাই শিশুর ত্বকের যত্নে অনেক বেশি সতর্ক হন। পাশাপাশি শিশুর ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এতে শিশুর ত্বকের সঠিক আদ্রতা বজায় থাকবে। তবে যেটি ব্যবহার করেননা কেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সাথে ব্যবহার করুন। না হলে এর ফলাফল ভালো না হয়ে খারাপ হবে। শিশুর ত্বকে মশ্চারাইজিং লোশন ব্যবহার করতে পারেন আর মুখে মশ্চারাইজিং ক্রিম এবং গোসলের সময় সাবানের ব্যবহার না করে মশ্চারাইজিং শ্যাম্পুর ব্যবহার করুন।
শীতে মুখের তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন
শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত ত্বকের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই বিষয়টি জানার আগ্রহ প্রকাশ করে অনেকেই। তবে আপনাদের এই বিষয়টি জানার পাশাপাশি জেনে রাখা উচিত শীতে মুখের তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন সম্পর্কে। শীতে মুখের তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন হিসেবে আপনি যদি দোকানের কোনও কেনা প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকেন তাহলে সেটি যেন তেলমুক্ত হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে অর্থাৎ তেল চিটচিটে ভাব যেন না থাকে।
এবং তৈলাক্ত ত্বক নিয়মিতভাবে পরিষ্কার ও এক্সোফিলিয়েট করা প্রয়োজন। এছাড়াও ঘরোয়াভাবে বেসন, কমলার খোসা এবং শসার ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এভাবে আপনার মুখের ত্বকের তৈলাক্ততা দূর হবে এবং ত্বকের সঠিক আদ্রতা বজায় থাকবে।
শীতে মুখের ত্বকে রুক্ষতা দূর করার উপায়
শীতে মুখের ত্বকে রুক্ষতা দূর করতে মশ্চারাইজিং এর পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারেন ঘরোয়া কিছু প্রাকৃতিক উপাদান যেমন মধু, পাকা কলা, নারিকেল তেল, জলপাইয়ের তেল, কমলার খোসা, গোলাপজল ইত্যাদি। গরম দুধের সাথে গোলাপজল মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এতে ত্বকের শুষ্কতা দূর হবে। ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে বেসন, দুধ ও কলা ব্লেন্ড করে ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
শীতে ঠোঁটের যত্ন কিভাবে নিবেন
শীতে শুধু মুখ বা শরীরের ত্বক নয়। ঠোঁটের ত্বকের দিকেও বিশেষ যত্ন নিতে হবে। কারণ ঠোঁট যদি ফেটে যায় তাহলে ঠোঁট দিয়ে রক্ত বের হতে পারে। যেখানে সেখানে গিয়ে কথা বলতে আপনার কষ্ট অনুভব হবে এবং দেখতে অনেক খারাপ লাগবে। তাই আপনার ঠোঁটের যত্ন নিতেই হবে। তাই ঠোঁটের যত্নে আপনি প্রতিনিয়ত লিপজেল, ভেসলিন বা ঠোঁটকে নরম রাখে এরকম কোন ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও অলিভ অয়েল মধু মিশিয়ে ঠোঁটে লাগালে ঠোঁট ফাটা বন্ধ করে।
ত্বক ভালো রাখতে কোন ফল গুলো খাওয়া উচিত
ত্বক ভালো রাখে এরকম কিছু খাবার রয়েছে। যে খাবার গুলোর মধ্যে কিছু ফল বিদ্যমান রয়েছে। যেমন কলা, গাজর, টমেটো, জলপাই, আমলকি ইত্যাদি খেলে ত্বক ভালো থাকে। তাই এই সকল ফলগুলো খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করুন। এই ফলগুলো খাওয়ার কারণে ত্বককে ভালো রাখে। এবং ত্বকের জন্য উপকারী পুষ্টি গুণগুলো আপনি গ্রহণ করতে পারবেন। ভেতর থেকে আপনার ত্বক স্বাস্থ্যজ্জল করবে এবং আপনার ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।
ত্বক ভালো রাখতে কোন খাবার খাবেন
ত্বক ভালো রাখতে মধু খুবই উপকারী তাই শীতে ত্বকের যত্নে প্রতিদিন মধু খান। এছাড়াও আপনি প্রতিনিয়ত ঘি এবং দুধ খেতে পারেন । এই খাবারগুলো খুবই স্বাস্থ্যকর এবং ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ শুধু শীতে ব্যবহৃত প্রোডাক্ট এর উপর নির্ভরশীল না হয়ে খাবারের ওপরও যত্নশীল হতে হবে। পাশাপাশি নিজের অনেক যত্ন নিতে হবে। ত্বকের জন্য ভিটামিন সি, ই, এ এই ধরনের খাদ্যের কোন বিকল্প নেই। তাই ভিটামিন এ, সি ও ই রয়েছে এরকম খাদ্য গ্রহণ করুন এবং ত্বককে ভালো রাখুন।
শীতে রুক্ষ ও শুষ্ক ত্বকের জন্য কোন লোশন বেছে নিবেন
শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত ত্বকের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে সম্পূর্ণ আর্টিকেল পোস্টে। চলুন এবার জেনে নিন শীতকালে রুক্ষ ও শুষ্ক ত্বকের জন্য কোন লোশন বেছে নিবেন। রুক্ষ ও শুষ্ক ত্বকের জন্য এমন লোশন বেছে নিবেন যে লোশনে কোকো বাটার মিশ্রিত রয়েছে। কোকো বাটার ত্বককে কোমল করে ও শুষ্কতা দূর করে। রুক্ষ ও শুষ্ক ত্বকের জন্য যখন আপনি লোশন কিনবেন তখন খেয়াল করবেন লোশন এ ব্যবহৃত উপাদান গুলোর মধ্যে কোকো বাটার মিশ্রিত রয়েছে কিনা এবং যে পণ্যটি আপনি নিচ্ছেন সেই পণ্যটি ভেজালমুক্ত আছে কিনা।
মুখের ত্বকে কোন ক্রিম ব্যবহার করবেন
মুখের ত্বকে কোন ক্রিম ব্যবহার করবেন এইটার জন্য আপনাকে আগে নিশ্চিন্ত হতে হবে আপনার মুখের ত্বক তৈলাক্ত নাকি শুষ্ক। আপনার ত্বক যদি শুষ্ক হয়ে থাকে তাহলে অয়েল বেসট মশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। আর যদি আপনার ত্বক অয়েলি হয় তাহলে ওয়াটার বেসট বা জেলজাতীয় ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন।
পরিশেষে আমার মতামত
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি এতক্ষণ পর্যন্ত উপরোক্ত আলোচনায় সমস্ত বিষয়গুলি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পেরেছেন যে শীতকালে মুখে কি মাখা উচিত। আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেল পোস্টটি পড়ে না থাকেন তাহলে অবশ্যই পড়ে নেবেন। এই বিষয়টি সম্পর্কে মনোযোগ সহকারে সম্পন্ন আটিকের পোস্টটি পড়লে আপনি উপকৃত হবেন।
আমাদের ডিজিটাল মার্কেটিং আইটি এই ওয়েবসাইটটিতে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের তথ্যমূলক আর্টিকেল পোস্ট পাবলিশ করা হয়। তাই আপনি যদি এরকম আরো বিভিন্ন ধরনের আপডেট তথ্যমূলক আর্টিকেল পোস্ট প্রতিনিয়ত পেতে চান তাহলে আমাদের ডিজিটাল মার্কেটিং আইটি ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
সবশেষে বলবো আপনার আর্টিকেল পোস্টটি পড়ে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে কেমন লেগেছে তা মন্তব্য করে জানাবেন। এতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ডিজিটাল মার্কেটিং আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্টে রিভিউ করা হয়।
comment url