OrdinaryITPostAd

শিশুদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন


অনেকেই আছে যারা জানতে চায় যে শিশুদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার কি। তাদের জন্যই মূলত আমার আজকের এই আর্টিকেল পোস্টি। প্রতিবছর হাজার হাজার শিশু নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয় এবং মৃত্যুবরণ করে থাকে। আর তাই আপনার শিশুর নিউমোনিয়া রোগ হয়েছে কিনা ও আপনি নিজেকে নিউমোনিয়া রোগ বিষয়ে সচেতন রাখতে নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

নিউমোনিয়া রোগটি হলো ফুসফুস সংক্রান্ত একটি রোগ। এই রোগটি বাচ্চাদের বেশি হয়ে থাকে। পাশাপাশি বড়দেরও দেখা যায়। বর্তমান সময়ে নিউমোনিয়া রোগের প্রকোপ অনেক বেশি। শীতকালে ছোট বাচ্চা সহ মাঝারি বয়সের ছেলে মেয়েদের মধ্যে নিউমোনিয়া রোগের সংক্রমণ বেশি লক্ষ্য করা যায়। তাই নিউমোনিয়া রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে শিশুদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ শিশুদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

শিশুদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন

শিশুদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে সকল বিষয় বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করা হয়েছে এই আর্টিকেল পোস্টের মধ্যে। শীতকালে শিশুদের নিউমোনিয়া এই রোগটি প্রকোপ এতটাই বেড়ে যায় যেন প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীর দেখা মেলে। নিউমোনিয়া আক্রান্ত শুধু ছোট বাচ্চারাই হয়ে থাকে না। নিউমোনিয়া রোগে  বিভিন্ন বয়সের মানুষই আক্রান্ত হতে পারে। প্রতি বছরই হাজার হাজার ছোট বাচ্চা/শিশু ও বড় মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। আবার এই রোগে অনেকেরই মৃত্যু হয়ে থাকে।

যেহেতু বাচ্চাদের বা নবজাতক শিশুরা নিউমোনিয়া রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাই সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। আপনাকে সচেতন হতে হবে। যেন নিউমোনিয়া রোগটি আপনার শরীরেও বাসা না বাঁধে। আবার যেন আপনার সন্তান এই রোগটি দ্বারা সংক্রমিত না হয়ে থাকে। আপনার পরিবারের ছোট বাচ্চারা এবং অন্যান্য যে কোন সদস্য যেন নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত না হয় সেজন্য, আপনি নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন।

অনেকে আছে যারা জানেন না আসলে নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ গুলো কি বা এটি কিভাবে প্রতিকার করা যায়। কিংবা নিউমোনিয়া রোগীর যত্ন কিভাবে নিতে হয়। একজন নিউমোনিয়া রোগীর খাবার গুলো কি কি হওয়া উচিত। এবং নিউমোনিয়া রোগের জন্য কোন বিষয়গুলোতে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। তো তাদের জন্য মূলত আমার আজকের এই আর্টিকেল পোস্টটি। আপনি যদি নিউমোনিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত সঠিক ধারণা পেতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল পোস্টটি পড়ুন।

শিশুদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ গুলো কি কি

শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়া মানেই শিশুদের নিউমোনিয়া রোগের প্রকোপ আরো দ্বিগুণ বেড়ে যাওয়া। তবে এই রোগটি শীত ছাড়াও বছরের সারা ঋতুতেই কমবেশি হয়ে থাকে। যেহেতু শীতে নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। তাই শীতে একজন বাচ্চাকে সুস্থ রাখতে বা নিজেকে সুস্থ রাখতে আপনাকে তো নিউমোনিয়া সম্পর্কে জানতেই হবে। তাই আপনি যদি জানতে চান শিশুদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে।

তাহলে আজকের আর্টিকেল পোস্টটি আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। এবং আপনাকে জানতে হবে শিশুদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণগুলো কি কি। কারণ আপনি যদি না জেনে থাকেন যে, একজন নিউমোনিয়া বাচ্চারা কি কি সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে। তাহলে আপনি কিভাবে বুঝবেন যে, আপনার বাচ্চার নিউমোনিয়া হয়েছে কিনা। না জেনে থাকলে আপনি আপনার বাচ্চাকে কিভাবে সঠিক চিকিৎসা এবং সঠিক পরিচর্যা করতে পারবেন না।

তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক শিশুদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ গুলো কি কি। নিউমোনিয়া শিশুর ফুসফুসে সংক্রমণ করে থাকে। আপনাকে সঠিক ধারণা দিতে নিম্নে উল্লেখিত হলো নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণগুলো। ছোট বাচ্চারা নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হলে সাধারণত যে লক্ষণগুলো লক্ষ্য করা যেতে পারে সেগুলো হল-

  • বাচ্চারা অনেক দুর্বল হয়ে পড়বে।
  • মায়ের দুধ সহ যেকোনো খাবার খেতে চাইবে না। 
  • ঠান্ডা জনিত যেকোনো রোগ যেমন- জ্বর, কাশি, সর্দি, এগুলো লেগে থাকবে।
  • কাশির মাত্রাটা এত বেশি হবে যে, বাচ্চারা কাশি দিতে গিয়ে নিঃশ্বাস নিতে কষ্টবোধ করবে।
  • বাচ্চা কান্না করতে থাকবে।
  • বাচ্চার শরীর ফ্যাকাসে হয়ে যাবে।
  • বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার ফলে বাচ্চা শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে। 
  • প্রস্রাব কমে যাওয়া। 
  • বাচ্চার অস্থিরতা অনেক বেড়ে যাবে এবং বাচ্চা ক্রমাগত ঘামতে থাকবে। 
  • ক্ষুধামন্দা ও বমি বমি ভাব ইত্যাদি লক্ষণগুলো লক্ষ্য করা যায়।

ঠান্ডা জনিত ফুসফুস সংক্রমিত নিউমোনিয়া রোগটি শুধু বাচ্চাদের নয় বড়দেরও আক্রমণ করে থাকে।নিউমোনিয়া রোগটি কখনো আবার আপনারও হয়ে যেতে পারে। তাই আপনাকে সচেতন হতে হবে। সঠিক চিকিৎসা পেতে আপনাকে জানতেও হবে যে বড়দের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণগুলো কি।বড়দের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ নিম্নে বর্ণনা করা হলোঃ

  • অনেক বেশি কাশি থাকবে।
  • শ্বাসকষ্ট দেখা দিবে।
  • শরীর দুর্বল হয়ে যাবে।
  • খাবার রুচি কমে যাবে।
  • অল্পস্বল্প কাজে শরীরের  ক্লান্তি চলে আসবে।
  • হঠাৎ স্বাস্থের অবনতি ঘটবে।

বাচ্চাদের নিউমোনিয়া হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন

আপনার সন্তানকে সুস্থ রাখার দায়িত্ব আপনার। তাই আপনাকে সবসময় সচেতন থাকতে হবে। সর্বোপরি আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে, বাচ্চা সুস্থ আছে কিনা কোনভাবে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।  বাচ্চার মধ্যে কোন পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে কিনা। শিশুদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে এই আর্টিকেল পোষ্টের মধ্যে আলোচনা করা হয়েছে শিশুদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ গুলো কি।

তাই আপনি যদি সঠিক খেয়াল রাখেন আপনার বাচ্চার প্রতি তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার বাচ্চা অসুস্থ নাকি নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছে। যদি দেখেন যে আপনার বাচ্চার মধ্যে তীব্র কাশি, সর্দি, জ্বর, খাবার অরুচি, বমি, অস্থিরতা, প্রস্রাব কম হওয়া ,কান্না বেড়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা , দুর্বল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষ্য করা যায়।

তাহলে আপনাকে বুঝে নিতে হবে যে, আপনার বাচ্চা ঠান্ডা জনিত ফুসফুস সংক্রমিত রোগ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। তাই আপনি যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের নিকটে যান। এবং আপনার বাচ্চার সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করুন। এবং বাচ্চাকে সুস্থ রাখুন। 

নিউমোনিয়া হয়েছে এমন বাচ্চার যত্ন কিভাবে নিবেন

নিউমোনিয়া হয়েছে এমন বাচ্চার যত্ন কিভাবে নিবেন এই কথাটি যদি জানতে চান। তাহলে আমি প্রথমে বলব যে, আপনার বাচ্চার নিউমোনিয়া হয়েছে কিনা? সেজন্য আপনি ডাক্তারের কাছে যাবেন এবং সঠিকভাবে নির্ণয় করবেন যে, আসলে নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়েছে কিনা। এরপর নিউমোনিয়ার রোগে আক্রান্ত আপনার বাচ্চাকে সুস্থ করার জন্য ঔষধ দিতে হবে। সেইটা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এবং ডাক্তার যে ধরনের ঔষধ লিখবে সেই নিয়ম অনুযায়ী খাওয়াবেন।

এবং পাশাপাশি যদি ইনজেকশন বা কোন ভ্যাকসিন লিখে থাকে। তাহলে সেটা আপনার বাচ্চাকে দিবেন। অনেক সময় দেখা যায় যে, বাচ্চাদের বুকে কফ জমে যায়, নিঃশ্বাস নিতে পারে না। সে সময় আপনার বাচ্চার মুখে গ্যাস দেওয়া লাগতে পারে। এতে করে সর্দি এবং কফ বেরিয়ে আসবে। আপনার বাচ্চা আরাম বোধ করবে। একজন নিউমোনিয়া বাচ্চার যত্নে শুধু ঔষধই নয় পাশাপাশি তার ঘরোয়া কিছু যত্নের প্রয়োজন রয়েছে। 

যেমন- তার খাবারের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। বাচ্চাকে কখনো ঠান্ডা কোন খাবার দেওয়া যাবে না। যদি শীতকাল হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই বাচ্চার যেন ঠান্ডা না লাগে সেদিকে খেয়াল করতে হবে। বাচ্চাকে গরম পোশাক পরাতে হবে। হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে এবং নিয়মিতভাবে বাচ্চাকে অন্তত আধা ঘন্টা মৃদু রোদে রাখতে হবে। তাহলে বাচ্চা রোদ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি নিতে পারবে। 

সেইসাথে বাচ্চা ঠান্ডা লাগার কোন সম্ভাবনা থাকবে না। খেয়াল রাখতে হবে আপনার বাচ্চার বয়স কতটুকু। আপনার বাচ্চার বয়স ৬ মাসের কম বা ৬ মাস হয়ে থাকলে আপনার বাচ্চাকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। এতে বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। বাচ্চার শরীর গরম থাকবে। আর যদি ৬ মাস বয়সের বেশি হয়ে থাকে, 

তাহলে আপনার বাচ্চাকে স্যুপ জাতীয় হালকা গরম খাবার খাওয়ান এতে বাচ্চার শরীরের পানির  ঘাটতি পূরণ করে থাকবে। একই সাথে শরীর গরম রাখবে। আবার পর্যাপ্ত পুষ্টিও গ্রহণ করতে পারবে। চেষ্টা করুন আপনার শিশুকে লবণ মিশ্রিত গরম পানির ভাপ দেওয়ার। সঠিক সময়ে ঔষধ সেবন করানো। 

বাচ্চাদের নিউমোনিয়া প্রতিরোধ

শিশুদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন এবং আপনার বাচ্চার নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করুন। বাচ্চারা নিউমোনিয়া রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। ফলে আপনাকে বাচ্চাদের প্রতি সঠিক যত্নবান হতে হবে। আর খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চা যেন কোনভাবেই ঠান্ডা জনিত কোন রোগে না ভুগে। আপনার বাচ্চাকে সঠিক সময়ে সঠিক টিকা ও ভ্যাকসিন প্রদান করতে হবে। নিউমোনিয়ার বাচ্চাকে ধুলাবালি থেকে দূরে রাখতে হবে।

ধোয়ার সংস্পর্শে আনা যাবে না। এবং আপনি চেষ্টা করুন আপনার বাচ্চাকে সুষম খাবার বেশি খাওয়ানোর। আপনার বাচ্চাকে আপনি পুষ্টি যুক্ত খাবার বেশি বেশি করে খাওয়ান। যাতে আপনার বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। সেই সাথে নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করতে পারে। অতএব সঠিক যত্ন ও চিকিৎসার মাধ্যমে বাচ্চাদের নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করুন।

বড়দের নিউমোনিয়া হলে করণীয়

এবার আলোচনা করব বড়দের নিউমোনিয়া সম্পর্কে। বড়দের নিউমোনিয়া হলে করণীয় কি বিস্তারিত জানুন। আপনি জানেন যে, ছোটদের পাশাপাশি বড়দেরও নিউমোনিয়া হয়ে থাকে। নিউমোনিয়া একটি জটিল রোগ। এই রোগে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই সচেতনতার মাধ্যমে এই রোগটিকে প্রতিরোধ করতে হবে। পাশাপাশি যদি নিউমোনিয়া হয়ে থাকে। তাহলে সঠিক পরিচর্যা ও চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। বড়দের নিউমোনিয়া হলে করণীয় বিষয়গুলো হলো-

  • একেবারে ধূমপান করা যাবে না।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে সুষম খাবার খেতে হবে।
  • ঠান্ডা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
  • সবুজ শাক-সবজি বেশি করে খেতে হবে।
  • ধোয়া ও ধুলোবালি সংক্রমণ থেকে বাঁচতে হবে।
  • নিউমোনিয়া হলে মুখে মাক্স ব্যবহার করতে হবে।
  • হাঁচি ও কাশি আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে দূরে থাকুন।
  • জীবাণু-সংক্রমণ এড়িয়ে চলুন।

নিউমোনিয়া রোগীর খাবার

শিশুদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন এই আর্টিকেল পোস্টটিতে বিস্তারিত ভাবে আরো জেনে নিন যে নিউমোনিয়া রোগীর খাবার তালিকা কি হওয়া উচিত। একজন নিউমোনিয়া রোগী হিসেবে আপনাকে সব সময় ঠান্ডা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। একই সাথে হালকা গরম খাবার গ্রহণ করতে হবে। একজন নিউমোনিয়া রোগীর খাবার তালিকায় যে সকল খাবার রাখা উচিত নিচে উল্লেখিত হল-

১। গরম দুধ

২। সুষম খাদ্য

৩। টক দই

৪। ডাবের পানি 

৫। লেবু

৬। সবুজ শাক

৭। গরম স্যুপ

৮। প্রোটিন ও চর্বিযুক্ত খাবার

৯। দুদ্ধজাত খাবার যেমন বাটার মিল্ক, ঘোল ইত্যাদি।

নিউমোনিয়া রোগে কারা বেশি আক্রান্ত হয়

আপনার মনে নিশ্চয়ই এই প্রশ্ন আসে যে নিউমোনিয়া রোগে কারা বেশি আক্রান্ত হয়। আপনি কি এটা ভাবছেন যে, নিউমোনিয়াতে শুধু ছোট শিশু আক্রান্ত হয়ে থাকে- যদি ভেবে থাকেন তাহলে ভুল ভাবছেন। নিউমোনিয়াতে শুধু ছোটরা নয় বড়রাও সংক্রমিত হয়ে থাকে। তবে এটা সত্য যে নিউমোনিয়া রোগে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে ছোট নবজাতক শিশু ও ছোট বাচ্চারা যাদের বয়স পাঁচ বছর এর কম।

পাঁচ বছরের নিচে বাচ্চা শিশুদের নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে মৃত্যু ঝুঁকি বেশি থেকে থাকে। এটা বুঝতে পেরেছেন যে, নিউমোনিয়া রোগে বড়রা নয় ছোট নবজাতক শিশু বাচ্চারা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাই সচেতন হন এবং নিউমোনিয়া রোগ প্রতিরোধ করুন।

নিউমোনিয়া রোগীর চিকিৎসা

শিশুদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে সকল বিষয় বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এবার জেনে নিন নিউমোনিয়া রোগীর চিকিৎসা সম্পর্কে। নিউমোনিয়া রোগির চিকিৎসা একজন ডাক্তার ভালোভাবে দিতে পারবে। তাই সঠিক চিকিৎসা পেতে আপনাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং সর্বপ্রথম আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে আপনার নিউমোনিয়া হয়েছে কিনা বা আপনার বাচ্চার নিউমোনিয়া হয়েছে কিনা।

নিউমোনিয়া হয়েছে কিনা এটা জানতে সর্বপ্রথম আপনাকে কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হবে। এবং পরীক্ষার ফলাফল ডাক্তারকে দেখিয়ে নিশ্চিত হতে হবে নিউমোনিয়া হয়েছে কিনা। এরপর বিশেষজ্ঞের মতে সঠিক ঔষধ প্রেসক্রাইব করতে হবে। ডাক্তারের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী ঔষধ সেবন করুন। একই সাথে সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে উঠুন এবং আপনাকে যেন নিউমোনিয়া রোগ আর সংক্রমণ করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রেখে নিউমোনিয়া রোগ প্রতিরোধ করুন।

শেষ মতামত

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি এতক্ষণ পর্যন্ত উপরোক্ত আলোচনায় সমস্ত বিষয়গুলি পড়ার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে শিশুদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত। আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেল পোস্টটি পড়ে না থাকেন তাহলে অবশ্যই উপরুক্ত আলোচনায় দেয়া সমস্ত বিষয়গুলি পড়ে নিবেন। এই বিষয়টি সম্পর্কে মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেল পোস্টটি পড়লে আপনি উপকৃত হবেন। 

এই আর্টিকেল পোস্টটি আপনার জন্য অনেক হেল্পফুল হবে। আমাদের ( ডিজিটাল মার্কেটিং আইটি ) এই ওয়েবসাইটিতে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের তথ্যমূলক আর্টিকেল পোস্ট পাবলিশ করা হয়। আপনাদের জন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলের বিষয় ছিল শিশুদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। 

তাই আপনি যদি এরকম আরো বিভিন্ন ধরনের আপডেট তথ্যমূলক আর্টিকেল পোস্ট নিয়মিত পেতে চান তাহলে, আমাদের ( ডিজিটাল মার্কেটিং আইটি ) এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। সবশেষে বলবো আপনার এই আর্টিকেল পোস্টটি পড়ে যদি ভালো লেগে থাকে। তাহলে কেমন লেগেছে তা মন্তব্য করে জানাবেন। এতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল মার্কেটিং আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্টে রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪