OrdinaryITPostAd

গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না এমন ১০ টি ফল খাওয়া যাবে কিনা বিস্তারিত জেনে নিন

প্রায় প্রতিটি গর্ভবতী মেয়েরা জানতে চাই গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না। আপনার মনেও কি ঠিক একই প্রশ্ন, আপনি জানলে অবাক হবেন যে এমনও ১০ টি ফল আছে যে ফলগুলো খাওয়া থেকে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। তাহলে চলুন জেনে নিন গর্ভাবস্থায় কোন ফল গুলো খাবেন না।

আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন যে গর্ভাবস্থায় কি উপায়ে গর্ভের সন্তান ও মা দুটোই সুস্থ থাকবে। গর্ভবতী মা কোনভাবেই ক্ষতি সাধিত হবে না। তাই গর্ভবতী মাকে সুস্থ থাকতে আজকের আর্টিকেল পোস্টটিতে এটাই জানাতে চাই যে গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না। এই বিষয়টি জানতে পুরো পোস্টটি আপনাকে পড়তে হবে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না এমন ১০টি ফল খাওয়া থেকে সাবধান

গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না

গর্ভবতী অবস্থায় প্রত্যেকটা মায়েদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সুস্বাস্থ্য খাদ্যের প্রয়োজন হয়ে থাকে। তবে সুস্বাস্থ্যকর খাদ্যের পাশাপাশি এটাও জেনে রাখা উচিত যে গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না। গর্ভবতী প্রতিটি মা সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকতে চাই। আপনি জেনে থাকবেন নিশ্চয়ই একটি গর্ভের সন্তান সব রকমের পুষ্টি পেয়ে থাকে একজন মা কি খাচ্ছে তার উপর ভিত্তি করে। তাই গর্ভবতী মায়ের খাদ্যতালিকা সুষম, সুস্বাস্থ্য ও সঠিক হতে হয়।

তাই আপনার জন্য কোন খাবারটি খাওয়া উচিত আর কোন খাবারটি খাওয়া উচিত না সেটি জানা আবশ্যক। গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের তার খাদ্য তালিকার ওপর বিশেষভাবে নজর না দিলে গর্ভবতী ও গর্ভের সন্তান দুটো অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। তাই গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকতে আপনাকে জানতে হবে গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না। গর্ভাবস্থায় যে সকল ফল খাওয়া যাবে না তার মধ্যে থেকে ১০টি ফলের নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলো -

১। তরমুজ

২। কাঁচা পেঁপে

৩। পাকা পেঁপে

৪। কলা

৫। খেজুর

৬। গাজর

৭। আঙ্গুর ফল

৮। আনারস

৯। তেঁতুল

১০। টমেটো,

১১। এছাড়া রয়েছে টক জাতীয় খাবার ইত্যাদি।

আপনি কোন নিয়মে কিভাবে খাদ্য গ্রহণ করবেন। গর্ভকালীন সময়ের সঠিক তথ্য পেতে আজকের আর্টিকেল পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আরো কিছু তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। 

গর্ভবতী অবস্থায় তরমুজ খেলে কি হয়

প্রায় প্রতিটি ফলেই অসংখ্য পুষ্টগুণে ভরপুর থাকে, আবার স্বাস্থ্যকর হয়ে থাকে। কিন্তু এই স্বাস্থ্য ও পুষ্টিকর ফলগুলো কোন কোন সময় আবার মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। স্বাস্থ্য ঝুঁকিও থেকে যেতে পারে। যেমন তরমুজ পুষ্টিগুণে ভরপুর থাকা সত্ত্বেও গর্ভবতী অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ। তাই গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে এবং গর্ভের সন্তানের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে এরকম খাবার এড়িয়ে চলায় উত্তম। 

তরমুজ আমরা সবাই চিনে থাকি। তরমুজ একটি গ্রীষ্মকালীন ফল। গ্রীষ্মের সময় এর চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। এটি একটি খুব জনপ্রিয় ফল হিসেবে পরিচিত। কারণ গ্রীষ্মের উত্তপ্ত গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে তরমুজ। গ্রীষ্মের অসহ্য গরমে যখন শরীর থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘাম বের হয় অর্থাৎ পানি শূন্যতা দেখা দেয় তখন এই তরমুজ খাওয়ার মাধ্যমে পানির ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হয়। 

তরমুজে থাকা বিশেষ কিছু পুষ্টি উপাদানের সাহায্যে মানব দেহে অনেক উপকারে আসে। যেহেতু তরমুজ পানি জাতীয় ফল তাই - শরীরের খারাপ বর্জ্য পদার্থগুলো বের করে দেয়। কিন্তু সুস্বাদু এই তরমুজ অসংখ্য পুষ্টিগুনে ভরপুর থাকা সত্ত্বেও এই তরমুজ গর্ভাবস্থায় মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। গর্ভের সন্তান মারাত্মকভাবে ক্ষতি সম্মুখীন হতে পারে। 

গর্ভাবস্থায় তরমুজ খেলে দেখা যায় যে তরমুজে থাকা টক্সিন উপাদান গুলো ভ্রুনের সংস্পর্শে আসতে পারে। এতে গর্ভের সন্তানের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় তরমুজ না খাওয়াই উত্তম।

গর্ভবতী অবস্থায় কাঁচা পেঁপে খেলে কি ক্ষতি হয়

গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না এ বিষয়টির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায় পেঁপে। তাই আপনাকে জানতে হবে গর্ভাবস্থায় পেঁপে খেলে কি হয়। পেঁপের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি বিদ্যমান রয়েছে। কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন, সাইট্রাস এসিড ইত্যাদি। পেঁপে খাওয়ার মাধ্যমে মানবদেহের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কোষের বৃদ্ধি করে থাকে, ত্বকের সুস্থতা ও চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখে।

কিন্তু এ পেঁপে আবার কখনো কখনো মানব দেহের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। যেমন গর্ভাবস্থায় পেঁপে খেলে গর্ভবতী মায়ের ক্ষতি সাধিত হয়। পেঁপেতে প্রচুর পরিমানে মিনারেল ও ভিটামিন থাকায় দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। যার কারণে জরায়ু সংকুচিত হয়। এবং বাচ্চা হওয়ার নির্দিষ্ট সময়ের আগেই পেটে টান পড়ে যায়, রক্তপাত দেখা যায় এবং গর্ভপাতের সম্ভাবনা থাকে। তাই আপনার উচিত গর্ভ অবস্থায় কাঁচা পেঁপে খাওয়া থেকে বিরত থাকার।

গর্ভাবস্থায় পাকা পেঁপে খেলে কি হয়

বিশেষজ্ঞদের মতে গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে পেঁপে তবে একটু পার্থক্য রয়েছে কাঁচা ও পাকা পেঁপের মধ্যে। গর্ভ অবস্থায় কাঁচা পেঁপে খাওয়া একেবারে নিরাপদ নেই কিন্তু অপরদিকে পাকা পেঁপে খাওয়া নিষিদ্ধ নয়। তবে পরিমাণ মতো খেতে হবে। পাকা পেঁপেতে বিদ্যমান ভিটামিন গুলোর মধ্যে শর্করা, ক্যালরি, আমিষ, খনিজ, পটাশিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন 'এ' ও ভিটামিন 'সি' রয়েছে।

পাকা পেঁপে খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, শরীরের আয়রনের ঘাটতির পরিমাণ পূরণ করে, ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে, চোখের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং পাকা পেঁপে ওজন কমাতে কার্যকরী। মানব দেহের কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায় ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। পাকা পেঁপে ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে এবং ডাইবেটিকস নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখে সেই সাথে পাকা পেঁপে খেলে হজমের উন্নতি ঘটে।

পাকা পেঁপে পেটকে ঠান্ডা রাখে। তবে একটা কথা বলতেই হয় যে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। তাই প্রতিটা জিনিসই পরিমাণ মতো খেতে হবে অতএব, লক্ষ্য রাখতে হবে যে গর্ভাবস্থায় পাকা পেঁপে অতিরিক্ত না খেয়ে ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে পরিমাণ মতো খান এবং সুস্থ থাকুন। এবং গর্ভাবস্থায় ঝুঁকিমুক্ত থাকুন।

গর্ভাবস্থায় বেশি কলা খেলে কি ক্ষতি হতে পারে

কলাকে সুপার ফুড হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। ফলে কলা একটি স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টি কর খাদ্য। কলার পুষ্টি উপাদানের মধ্যে রয়েছে ক্যালোরি, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন সি, ভিটামিন-৬, পটাশিয়াম ইত্যাদ। আমরা জানি যে, কাঁচা কলা আয়রনে সমৃদ্ধ একটি ফল। কলা কাঁচা হোক বা পাকা হোক দুটোতে অসংখ্য পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ রয়েছে। কলা দ্রুত ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এছাড়াও কলা হৃদ রোগের ঝুকি কমায়, হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।

কিডনি সুস্থ রাখে এবং ত্বক উজ্জ্বল করে রক্তস্বল্পতা দূর করে, ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। কলা সকল ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে। সেই সাথে কাঁচা কলা ডায়রিয়া রোগের জন্য উপযোগী। তবে সব সময় মনে রাখবেন যে কলা অধিক পুষ্টিময় বলে শুধু অতিরিক্ত কলা খেয়ে গেলেন তাহলে হবে না। যে কোন জিনিসই পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত। আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে যেকোনো খাদ্য বা খাবার পরিমান মত খাওয়াই ভালো।

তাই আপনি চেষ্টা করবেন সব সময় ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী কাঁচা অথবা পাকা কলা যেটাই হোক না কেন পরিমাণ মতো খাবেন। যাতে আপনার কোন রকমের স্বাস্থ্য ঝুঁকি না থাকে এবং সঠিক পরিমাণ খাদ্য পুষ্টি আপনার শরীর গ্রহণ করতে পারে। কেননা অতিরিক্ত কলা খাওয়ার কারণে গর্ভাবস্থায় মহিলাদের উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে যায়। 

এবং অতিরিক্ত কলা খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এতক্ষন আলোচনার মাধ্যমে আশা করছি আমি আপনাকে বোঝাতে পেরেছি যে গর্ভাবস্থায় বেশি কলা খেলে কি ক্ষতি হতে পারে। তো গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না আরো বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।

গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে কি হয়

খেজুর যে প্রচুর পুষ্টিসমৃদ্ধ ও স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। খেজুরে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। খেজুরে থাকা পুষ্টি উপাদানের জন্য মানবদেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। আর এই তাপমাত্রা গর্ভাবস্থায় ক্ষতিকারক হয়ে যায়। গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে জরায়ু সংকুচিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

তাই গর্ভাবস্থায় খেজুর না খাওয়াই উচিত। তবে আমার মতে ভাল হয় আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে বেশি পুষ্টির আশায় খেজুর খাবেন না। খেজুরকে খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিন।

গর্ভাবস্থায় কেন টক খাবেন না

অধিকাংশ গর্ভবতী মেয়েরাই গর্ভাবস্থায় টক অনেক পছন্দ করে থাকে। আর এটা এতটাই পছন্দ করে থাকে যে অতিরিক্ত টক খেয়ে ফেলে। কিন্তু এই অতিরিক্ত টক খাওয়াতেই সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। আপনি জানেন নিশ্চয়ই টক জাতীয় খাদ্য ভিটামিন সি এর উৎস। আর প্রেগনেন্সিতে টক জাতীয় ফল অতিরিক্ত খেয়ে থাকলে আপনার বমি বমি ভাব হবে, পেট ব্যথা করবে। এককথায় মর্নিং সিগনেসের উপসর্গগুলো বেড়ে যাবে। তাই গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত টক খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

গর্ভবতী হলে গাজর খাওয়া যাবে কিনা জেনে নিন

গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না এই বিষয়টি জানার পাশাপাশি এবার জেনে নিন গর্ভবতী হলে গাজর খাওয়া যাবে কিনা সেই সম্পর্কে। আপনাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জেগে থাকে যে, গর্ভবতী হলে কি গাজর খাওয়া যাবে। তো তো চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভবতী হলে গাজর খাওয়া যাবে কি। গাজরে বিদ্যমান ভিটামিন গুলোর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, স্নেহ, ক্যারোটিন ইত্যাদি। 

গাজরে বিটা ক্যারোটিনের পরিমাণ এতটাই বেশি যে, অতিরিক্ত গাজর খাওয়ার ফলে ত্বকের বিবর্ণতা ও ভ্রুনের ক্ষতি করতে পারে। তাই গর্ব অবস্থায় গাজর খাবেন না এমনটি নয়। গাজর একেবারে খাবেন না এমনটি বিশেষজ্ঞরা বলেনি। তবে চেষ্টা করবেন পরিমাণমতো খাওয়ার। তবে গর্ভাবস্থায় সতর্ক থাকা বাঞ্ছনীয় তাই যেটাই খান না কেন ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী কতটুকু পরিমানে খাবেন জেনে নিবেন এবং তারপরে সেটা খাবেন।

গর্ভাবস্থায় আঙ্গুর ফল খাওয়া কতটা ঝুঁকিপূর্ণ

গর্ভাবস্থায় আঙ্গুর ফল খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ এ বিষয়টি নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞের মতে বলা হয়েছে গর্ভাবস্থায় আঙ্গুর ফল খেলে বিষক্রিয়া হতে পারে। কেননা আঙুর ফলে প্রচুর পোকামাকড় আক্রমণ করে থাকে। তাই পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে আঙ্গুর গাছকে রক্ষা করতে প্রচুর পরিমাণে আঙ্গুর গাছে পেস্টিসাইড স্প্রে করা হয়ে থাকে। 

আর এই কারণেই আঙ্গুর ফল গর্ভাবস্থায় খেলে বিষক্রিয়া ঘটতে পারে। কিন্তু গর্ভবতী অবস্থায় আঙুর ফল খেলে ভিটামিন এ ও সি এর ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হয়।

গর্ভাবস্থায় আনারস খেলে কি ক্ষতি হয়

গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না জানতে পুরো আর্টিকেল পোস্টটি পড়তে থাকুন। আনারস যতই পুষ্টিসমৃদ্ধ হোক না কেন গর্ভাবস্থায় এটি না খাওয়াই উত্তম। কারণ আনারসের মধ্যে ব্রোমেলেইন নামক এক ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যা গর্ভাবস্থায় গর্ভপাত ও রক্তপাতের মত সমস্যার সৃষ্টি করে থাকে। গর্ভাবস্থায় আনারস খেলে সন্তান জন্ম নেওয়ার নির্দিষ্ট সময়ের আগেই এই গর্ভপাত হয়ে থাকে। তাই আমি বলব গর্ভাবস্থায় আনারসকে একেবারে না বলুন।

গর্ভাবস্থায় বেশি তেঁতুল খেলে কি ক্ষতি হয়

গর্ভাবস্থায় তেতুল পছন্দ করে না এমন কোন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া বিরল। তবে কমবেশি সবাই টক পছন্দ করে। তেঁতুল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি খাদ্য। তেতুলে নানা ধরনের পুষ্টি রয়েছে। তেঁতুলে সবচেয়ে বেশি রয়েছে ভিটামিন "সি" ও ভিটামিন "ই"। আর তাই গর্ভাবস্থায় বেশি তেতুল খেলে মর্নিং সিগনেসের উপসর্গগুলি দেখা দেয় যার কারণে বমি ভাব পেট ব্যথার মত সমস্যা হয়ে থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় নিজেকে সুস্থ স্বাভাবিক রাখতে পরিমিত পরিমানে তেঁতুল খাবেন।

টমেটো খেলে গর্ভবতী মায়ের ক্ষতি হবে কিনা জেনে নিন

তাহলে চলুন গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না এই বিষয়টির মধ্যে আলোচনা করা যাক টমেটো খেলে গর্ভবতী মায়ের ক্ষতি হবে কিনা। প্রথমে আমি যে কথাটি বলব সেটি হল গর্ভাবস্থায় নিঃসন্দেহে টমেটো খেতে পারেন। তবে সেটি পরিমাণ মত। গর্ভবতী অবস্থায় যদি গর্ভবতী মা টমেটো খায় তাহলে গর্বের সন্তানেরও ত্বক উজ্জ্বল হয়।

গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের টমেটো খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে ভিটামিন এ, বি, সি, ই, ফাইবার, ক্যালোরি, পটাশিয়াম, আয়রন, আন্টি-অক্সিডেন্ট, ফলিক এসিডের ঘাটতি পূরণ করে থাকে।

আমার শেষ কথা

গর্ভবতী অবস্থায় প্রত্যেকটি মাকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। গর্ভবতী মায়েদের উদ্দেশ্য করেই মূলত আজকের আমার এই আর্টিকেল পোস্টটি লেখা। আশা করি এতক্ষণ পর্যন্ত আলোচনা করার মাধ্যমে আপনি একটি স্বচ্ছ ধারণা পেয়ে গেছেন যে গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না। এই আর্টিকেল পোস্টটি যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন। তাহলে নিশ্চয়ই আপনি উপকৃত হবেন।

তাই আপনি যদি এরকম আরো বিভিন্ন ধরনের তথ্যমূলক আর্টিকেল পোস্ট নিয়মিত পেতে চান তাহলে, আমাদের ডিজিটাল মার্কেটিং আইটি এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। আর আপনার আমাদের এই আর্টিকেল পোস্টটি কেমন লেগেছে তা মন্তব্য করে জানাবেন। এতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল মার্কেটিং আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্টে রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪