খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও বিশেষ গুনাগুন সম্পর্কে জেনে নিন
তুলসী পাতা আমরা প্রায় সকলেই চিনি। তুলসী পাতার উপকারিতা সম্পর্কে কমবেশি অনেকেই জানে। এর ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হবেন। চলুন তাহলে খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও বিশেষ গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
তুলসী পাতায় নানা ঔষধি গুন বিদ্যমান রয়েছে। নানা রোগের প্রতিষেধক হিসেবে তুলসী পাতার বিশেষ গুনাগুন রয়েছে। তাই খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও বিশেষ গুনাগুন সম্পর্কে জানতে হলে আপনি আমাদের এই আর্টিকেল পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও বিশেষ গুনাগুন সম্পর্কে জেনে নিন
- খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও বিশেষ গুনাগুন
- তুলসী পাতার ঔষধি গুনাগুন
- মধু দিয়ে তুলসী পাতা খেলে কি হয়
- সর্দি ও কাশি হলে তুলসী পাতা কিভাবে খাবেন
- তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে কি হয়
- ছোট শিশুদের কিভাবে তুলসী পাতা খাওয়াতে হয়
- রূপচর্যায় দেখা মেলে তুলসী পাতার ব্যবহার
- ত্বককে ভালো রাখতে তুলসীর ভূমিকা
- চুলের যত্নে তুলসী পাতার ব্যবহার
- লেখক এর শেষ মতামত
খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও বিশেষ গুনাগুন
আমরা জানি যে তুলসী পাতার বিশেষ কিছু গুনাগুন ও উপকারিতা রয়েছে। তুলসী পাতা খেলে বিভিন্ন রোগ উপশম করে। কিন্তু আমরা অনেকে এটা জানি না যে খালি পেটে তুলসী পাতা খেলে কি হয়। প্রায় ১০০টির বেশি রোগ নিরাময় করার ক্ষমতা রাখে তুলসী পাতা। সেটি কখনো খালি পেটে হোক বা আবার কখনো বিভিন্ন ঔষধি গাছ ও গাছের তৈরি উপাদানের সংমিশ্রণে হোক।
তুলসী পাতা একটি ভেষজ উদ্ভিদ। প্রকৃতির এই ভেষজ উদ্ভিদ যদি আমরা সঠিক সময়ে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি তাহলে ওষুধের চেয়েও বেশি উপকারী। তুলসী পাতাকে সকল রোগের মহৌষধ বলা হয়ে থাকে। খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা হিসেবে বিভিন্ন রোগ নিরাময় করে। পেটের সমস্যায় তুলসির পাতা মহৌষধ হিসেবে কাজ করে যেমন পেট ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, অম্বল ও গ্যাস এ সকল রোগ সারাতে তুলসী পাতা বিশেষ কার্যকরী।
এছাড়াও তুলসী পাতায় আরো অনেক কার্যকারিতা বিদ্যমান থাকায় মানবদেহে ক্যান্সার প্রতিরোধ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন, সর্দি, কাশি, ঠান্ডা লাগা সহ আরো অনেক রোগ নিরাময় করে থাকে। এরকম আরও রোগের নিরাময় ও তুলসী পাতার ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তুলসী পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, কে, ই , আয়রন ও প্রোটিন।
তুলসী পাতার ঔষধি গুনাগুন
তুলসী পাতার মধ্যে প্রায় ১০০ টির ও বেশি ঔষধি গুনাগুন বিদ্যমান রয়েছে। তাই তুলসী পাতার ঔষধি গুনাগুন এতো দ্রুত বলে শেষ করার মত নয়। তুলসী-পাতায় মানব দেহের শ্বাসযন্ত্রের ব্যাধি সারাতে সহায়তা করে। বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। তুলসী পাতা আমাদের শরীরকে নানা ভাবে রোগ থেকে মুক্তি দান করে থাকে। খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও বিশেষ কিছু ঔষধি গুনাগুন নিম্নে আলোচিত হলো-
- তুলসী পাতা স্মৃতিশক্তি ও বুদ্ধি বাড়ায়।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।
- ক্যান্সার নিরাময় করে।
- শরীরের বিভিন্ন স্থানের ক্ষত সারিয়ে তোলে।
- পেটের যাবতীয় সমস্যা দূর করে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।
- শরীরে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে।
- প্রসাবে জ্বালাপোড়া কমায়।
- দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়।
- ফুসফুসের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- মাথার তীব্র যন্ত্রণা কমায়।
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
- শরীরের কোন স্থান পুড়ে গেলে পোড়া স্থানে তুলসী পাতার রস লাগালে উপকৃত হওয়া যায়।
- সর্দি, জ্বর, কাশি ইত্যাদিতে সহায়ক তুলসী পাতা।
- শ্বাসতন্ত্রের ব্যাধি সারায় যেমন- হাঁপানি।
- বাত ব্যথায় কার্যকরী।
- কৃমি নাশক হিসেবে তুলসী পাতার ব্যবহার হয়ে থাকে।
- বিভিন্ন ধরনের চুলকানি ও চর্ম রোগে তুলসী পাতার রসের ব্যবহার করা হয়।
মধু দিয়ে তুলসী পাতা খেলে কি হয়
উপরোক্ত আলোচনায় আমরা জানতে পেরেছি যে খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা কি? এবার আমরা জানবো মধু দিয়ে তুলসী পাতা খেলে কি হয়।
তুলসী পাতা খেলে মানবদেহ কোন না কোনভাবে উপকৃত হবেই। তাই আমরা যদি মধু দিয়ে তুলসী পাতা খায় তাহলেও উপকার পেয়ে যাব। সর্দি, জ্বর, কাশি ও ঠান্ডায় বিশেষ কার্যকারিতা রয়েছে তুলসী পাতায়। তুলসী পাতার গুনাগুন অপরিসীম। তবে এই পাতার গুনাগুন আরো কয়েকগুণ বেড়ে যায় যদি সেটাতে মধু মেশানো যায়।
চলুন তাহলে জেনে নিই তুলসীপাতার সাথে মধু মিশিয়ে খেলে কি হয়। যারা বছরের বেশিরভাগ সময়ে ঠান্ডা লাগার সমস্যায় ভুগে সর্দিতে আক্রান্ত হয় তারা যদি নিয়মিতভাবে কিছুদিন তুলসী পাতার রসের সঙ্গে কয়েকফোঁটা মধু মিশিয়ে পান করে তাহলে সর্দির মতো এই সমস্যাটির প্রবণতা দূর হবে।
পাশাপাশি যাদের অনেক বেশি মাত্রায় কাশি হয়ে থাকে তারাও এই তুলসী পাতার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। হাতের কাছে তুলসী পাতার গাছ রেখে আমরা ডাক্তারের কাছে গিয়ে হাজার হাজার টাকা খরচ করি সর্দি কাশির জন্য এই কাজটি না করে আপনি যদি চান তুলসী পাতার সঙ্গে মধু দিয়ে খান তাহলে এই সমস্যাটি সমাধান করে নিতে পারবেন অতি সহজেই এবং আপনার টাকা ব্যয় কমে যাবে।
সর্দি কাশি হলে তুলসী পাতা কিভাবে খাবেন
খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও বিশেষ গুনাগুন সম্পর্কে এই আর্টিকেল পোস্টের মধ্যে আলোচিত হয়েছে। এবার জেনে নিন সর্দি কাশি হলে তুলসী পাতা কিভাবে খাবেন। আপনি হয়তো বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে তুলসী পাতা খেয়েছেন। কিন্তু জানতে চাচ্ছেন সর্দি বা কাশি হলে তুলসী পাতা কিভাবে খেতে হয়। চলুন তাহলে জেনে নিই। সর্দি ও কাশির প্রধান নিরাময়ক হিসেবে কাজ করে তুলসী পাতা।
ছোট বড় সকলেই তুলসী পাতা খেতে পারবেন। কয়েকটি তুলসী পাতার রসের সঙ্গে কয়েক ফোটা মধু মিশিয়ে খেলে সর্দি কাশি ভালো হয়। তাই আপনি যদি নিয়মিতভাবে তুলসী পাতার সঙ্গে মধু মিশিয়ে সেবন করে থাকেন তাহলে অতি দ্রুত সর্দি কাশি থেকে মুক্তি পাবেন ও সুস্থ হয়ে যাবেন।
তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে কি হয়
তুলসী পাতা চিবিয়ে খাওয়া হোক কিংবা রস করে খাওয়া হোক এর উপকারিতা তো মিলবেই। যাদের মুখে দুর্গন্ধ রয়েছে তারা যদি নিয়মিত ভাবে কয়েকটি তুলসী পাতা চিবিয়ে খান তাহলে এই ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। আবার বুদ্ধি ও স্মরণশক্তি বাড়াতে যদি প্রতিদিন ৫-৬ টি তুলসী পাতা চিবিয়ে খান তাহলেও এর উপকার মিলবে।
প্রতিদিন যদি তুলসী পাতা চিবিয়ে রস খাওয়া যায় তাহলেও পেটের যাবতীয় সমস্যা দূর হবে যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, অম্বল, পেটব্যথা ইত্যাদি। এছাড়া রক্তে ব্লাড সুগারের পরিমাণটা সঠিক রাখবে।ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা হবে। রক্ত দূষিত হলেও তুলসীপাতার রস এই রক্তকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন তুলসীপাতা সেবন করুন।
ছোট শিশুদের কিভাবে তুলসী পাতা খাওয়াতে হয়
খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও বিশেষ গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। চলুন এবার জেনে নিই ছোট শিশুদের কিভাবে তুলসী পাতা খাওয়াতে হয়। ছোট শিশু কিংবা বড়দের সকলের ক্ষেত্রেই তুলসী পাতার ভূমিকা একই থাকে। তারতম্যের ভেদে শুধুমাত্র তুলসী পাতার পরিমাণটা পরিবর্তন হয়ে থাকে। যেমন ছোটদের ক্ষেত্রে তুলসী পাতার পরিমাণটা কম হবে আর বড়দের ক্ষেত্রে একটু বেশি। অনেক সময় ছোট শিশুরা ফার্মেসির ওষুধ খেতে চায় না আবার তুলসির পাতাও খেতে চায় না।
সেক্ষেত্রে তুলসী পাতার রস করে রসের সঙ্গে কয়েক ফোটা মধু মিশিয়ে ছোট শিশুদের খাওয়ালে তারা স্বাচ্ছন্দে খেয়েও নেবে সেই সঙ্গে তাদের সর্দি- কাশির মতো জটিল সমস্যাটি সেরেও যাবে। আবার যদি সামান্য পরিমাণ তুলসী পাতার রস মধু এবং আদার রস পরিমাণ মতো একসঙ্গে মিশে খাওয়ানো যায় তাহলে সর্দি বের হয়ে যাবে। এভাবে ছোট শিশুদের তুলসী পাতা রস সেবন করান অনেক উপকৃত হবেন।
রূপচর্যায় দেখা মেলে তুলসী পাতার ব্যবহার
ঔষধি গুনাগুনের পাশাপাশি তুলসী পাতা রূপচর্চায় বিশেষ কার্যকারী হয়েছে। ঔষধি গুনাগুন ছাড়াও তুলসী পাতায় রূপচর্চার দেখা মেলে। ত্বকের যত্নে ত্বককে উজ্জ্বল করতে তুলসী পাতার ব্যবহার করা হয়। চুলের যত্নে চুল পড়া বন্ধ করতে এবং চুলকে মসৃণ ও সিল্কি করতে তুলসী পাতার ব্যবহার করা হয়। এভাবেই ত্বক ও চুলের যত্নের মধ্য দিয়ে রূপচর্চার দেখা মেলে তুলসী পাতার ব্যবহার। খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও বিশেষ গুনাগুন সম্পর্কে আরো কিছু বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
ত্বককে ভালো রাখতে তুলসীর ব্যবহার
প্রতিটি মানুষই নিজের ত্বকে ভালো রাখতে চাই। প্রত্যেকের চায় তার নিজের ত্বক উজ্জ্বল হোক। কালো ছোপ ছোপ দাগ যেন না থাকে। ত্বকে কোন রকমের যেন এলার্জি বের না হয়। ত্বকে যদি কোন রকমের অ্যালার্জি বের হয় তাহলে সেই জায়গায় চুলকানি হবে। চুলকানিতে কি ইনফেকশন হতে পারে। আবার সে জায়গায় কালো দাগ পড়ে যেতে পারে। তাহলে আপনি কি ভাবছেন এ সমস্যা থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন।
এই সকল সমস্যার একটি সমাধান হিসেবে কাজ করে তুলসী পাতা। তুলসী পাতা ব্যবহারের মাধ্যমে শরীরের এলার্জি দূর করে সকল চুলকানি ইনফেকশন হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এবং শরীরে যেসকল কালো দাগ হয় সেগুলোও নির্মূল করে। ত্বকের সমস্যা দূর করতে আপনি তিলের তেলের সঙ্গে কয়েকটি তুলসী পাতা দিয়ে হালকা গরম করে ত্বকে লাগাতে পারেন।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য এবং কালো কালো ছোপ ছোপ দাগ দূর করার জন্য ও ব্রণ থেকে মুক্তি লাভ করতে তুলসী পাতা বেটে ত্বকে লাগাতে পারেন বা তুলসী পাতা রস লাগাতে পারে। এতে করে যদি আপনার মুখে বসন্তের কালো দাগ থেকে থাকে তাহলেও এই তুলসীর পাতার রসের মাধ্যমে দাগ উঠে যাবে। এক কথায় শরীরের যেকোনো প্রকারের কালো দাগ দূর করতে এবং শরীরের স্বাভাবিক রং ফিরিয়ে আন আনতে তুলসী পাতার রসের ব্যবহার হয়ে থাকে।
চুলের যত্নে তুলসী পাতার ব্যবহার
খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা জানার পাশাপাশি আরও জেনে নিন চুলের যত্নে তুলসী পাতার ব্যবহার। চুল মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। প্রতিটি মানুষই তার নিজস্ব সৌন্দর্য প্রকাশ করতে চাই। সেটি চুলের মাধ্যমেই হোক না কেন। কে না চায় তার চুল সুন্দর হোক। আর এই চুলকে সুন্দর করতে তুলসী পাতার বিশেষ একটি ভূমিকা রয়েছে।
তুলসী পাতার ব্যবহারে খুশকী ও চুল পড়া বন্ধ করে। তুলসী পাতার রস চুলে ব্যবহার করলে চুল মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়। চুলের গোড়া শক্ত হওয়ার কারণে চুল দ্রুত লম্বা করে। লম্বা চুল একজন মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্য কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। গ্রামাঞ্চলের মানুষের মধ্যে চুলের যত্নে তুলসী পাতার ব্যবহারের দেখা বেশি মিলে। যুগ যুগ ধরে মা বোনেরা তুলসী পাতার ব্যবহার করে আসছে চুলের যত্নে।
নারিকেলের তেল এর সঙ্গে কয়েকটি তুলসী পাতা ফুটিয়ে ঠান্ডা করার পর ওই তেল মাথায় লাগাতে হবে এবং একঘন্টা পর সাধারণ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে, এছাড়াও শুধু তুলসী পাতা বেটে চুলের গোড়ায় লাগাতে পারেন। আবার তুলসী পাতার সঙ্গে নিম পাতা, জবা ফুল, একসঙ্গে বেটে চুলের গোড়ায় লাগালে চুল পড়াসহ খুশকি দূর করবে। মাথার স্কেল্পে তুলসী তেল মাসাজ করলে মাথায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় ফলে এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
-তুলসী তেল ব্যবহারে মাথার স্কেল্পের চুলকানি রোধ করে।
-চুলের রুক্ষতা দূর করে।
-চুলের খুশকি রোধ করে।
-চুল পড়া বন্ধ করে।
-চুল লম্বা করে।
-চুল মসৃণ হয়।
এভাবেই তুলসী পাতার ঔষধি গুনাগুন ছাড়াও চুলের যত্নে কার্যকরী হয়ে থাকে।
লেখক এর শেষ মতামত
প্রিয় পাঠক আপনাদের জন্য উপরোক্ত আলোচনায় খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও বিশেষ গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনাদের জন্যই মূলত আমাদের আজকের এই তথ্যমূলক আর্টিকেল পোস্ট। তাই আপনি খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও বিশেষ গুনাগুন সম্পর্কে একটি ভালো ধারণা পেতে আমাদের এই পুরো আর্টিকেল পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আশা করছি আপনি একটি তুলসী পাতা সম্পর্কে ভালো ধারণা পেয়ে যাবেন।
সবশেষে বলবো আপনি যদি এরকম আরো তথ্যমূলক আর্টিকেল পোস্ট নিয়মিত পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। আপনার যদি আমাদের এই আর্টিকেল পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন আপনার কেমন লেগেছে। আমাদের এই তথ্যমূলক আর্টিকেল পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনি আপনার পরিচিত আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করে দেবেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ !
ডিজিটাল মার্কেটিং আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্টে রিভিউ করা হয়।
comment url