শীতে কি খেলে শরীর গরম থাকে - এমন ১২টি খাবার তালিকা কি জেনে নিন
শীতের প্রকোপ যখন বাড়তে থাকে। শীতের গরম পোশাকেও যখন শীত হার মানতে চায় না ঠিক তখনই মনে পড়ে যায় শীতে কি খেলে শরীর গরম থাকে - এমন ১২টি খাবার তালিকা কি এই বিষয়টি জানতে পুরো পোস্টটি পড়ুন। এই বিষয়টি সম্পর্কে পুরো আর্টিকেল পোস্টে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
প্রচন্ড ঠান্ডায় আপনি যখন থর থর করে কাঁপছেন হাত পা শীতল হয়ে আসছে ঠিক সেই মুহূর্তে ভাবছেন কি খেলে শরীর গরম থাকে। শরীরে একটু উষ্ণ ভাব আসে, ঠান্ডায় স্বস্তি পেয়ে আরাম বোধ করা যায়। জানতে হলে এই আর্টিকেল পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ শীতে কি খেলে শরীর গরম থাকে - এমন ১২টি খাবার তালিকা কি জেনে নিন
- শীতে কি খেলে শরীর গরম থাকে - এমন ১২টি খাবার তালিকা কি জেনে নিন
- আদার পুষ্টি উপাদান ও উপকারিতা
- শরীরকে গরম রাখতে মিষ্টি আলুর ভুমিকা
- শরীরকে গরম রাখতে আদা কিভাবে খাবেন
- ঘি এর পুষ্টি উপাদান ও উপকারিতা
- শীতে শরীর গরম ও সুস্থ রাখতে ঘি খাওয়ার নিয়ম
- শীতে গুড় শরীরের জন্য কতটা উপকারী
- শীতে খেজুর খেলে কি হয়
- শরীরকে গরম রাখতে রসুন যেভাবে খাবেন
- ডিমের পুষ্টি উপাদান ও উপকারিতা
- লেখকের শেষ মন্তব্য
শীতে কি খেলে শরীর গরম থাকে
শীতকালে প্রাকৃতিক তাপমাত্রা অনেক কম থাকায় ঠান্ডা অনুভূত হয়। শীতের গরম পোশাক পড়ার পাশাপাশি মনে হয় শীতে কি খেলে শরীর গরম থাকে। শীতে বাহ্যিক গরম পোশাক দিয়ে শীতকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হলেও কখনো কখনো মনে হয় যেন শীত যেঁকে বসেছে। হাত-পা গরম হতে যাচ্ছে না। এরকম সময় মনে জাগে শরীরকে ভিতর থেকে গরম রাখতে কি করনীয়।
শীতে গরম পোশাক দিয়ে শরীরকে গরম রাখার পাশাপাশি কিছু খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমেও শরীরকে গরম রাখা যায়। তাই শীতে শরীরকে গরম রাখতে এমন কিছু খাদ্য গ্রহণ করুন যা দ্বারা শরীরে তাপ সংরক্ষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শরীরে উষ্ণ অনুভূতি বিরাজ করে। এমন ১২টি খাবার তালিকার নাম নিম্নে বর্ণিত হলো-
- আদা চা
- মিষ্টি আলু
- ঘি
- গুড়
- খেজুর
- মধু
- ডিম
- রসুন
- মরিচ
- তুলসী
- বাদাম
- দারুচিনি
আদার পুষ্টি উপাদান ও উপকারিতা
শরীরকে গরম রাখতে সর্বপ্রথমে মনে পড়ে যায় আদা চায়ের কথা। গ্রাম বাংলা ও শহরে জীবন যাপনে প্রত্যেকটি জায়গাতে আদা চায়ের ব্যবহার সারা বছরেই হয়ে থাকে। কিন্তু শীতে এর প্রকোপ একটু বেড়ে যায়। শীতে পাড়া মহল্লা শহরের চায়ের দোকানসহ বাসা বাড়িতেও নিয়মিত দেখা মেলে আদা চায়ের।থার্মোজেনিক উপাদানের কারণে আদা শরীরকে উষ্ণ রাখতে সহায়তা করে।
আদা ঠান্ডা জনিত রোগ সর্দি-কাশিতে বিশেষ কার্যকরী। আদা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। আদার গুনাগুন শরীরের রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। হার্ট সুস্থ রাখে ও শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে তাই প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে আদা চা পান করুন নিজেকে সুস্থ রাখুন।
শরীরকে গরম রাখতে মিষ্টি আলুর ভূমিকা
শীতে কি খেলে শরীর গরম থাকে - এমন ১২টি খাবার তালিকা কি জেনে নিন। এই সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে পুরো আর্টিকেল পোস্টে। এবার জেনে নিন মিষ্টি আলুর ভূমিকা সম্পর্কে। শীতকালে মিষ্টি আলু খেলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। ফলে শরীর গরম থাকে। শীতে শরীরে উষ্ণতা লাভ করা যায় এছাড়াও আলুতে বিদ্যমান রয়েছে ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন সি, আইরন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ,
যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। মিষ্টি আলুর ক্যালসিয়াম বিদ্যমান থাকা শরীরের দাঁত ও হাড়ের গঠনে সহায়তা করে। রক্তস্বল্পতার কারণে অ্যানিমিয়া হয়। আর যেহেতু মিষ্টি আলুতে আয়রন রয়েছে তাই অ্যানিমিয়া মত সমস্যাটি সমাধান করে রক্তস্বল্পতা দূর করে। তাই শীতকালীন এই সবজিটি খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করুন এবং শরীর গরম রাখুন। শীতে শরীর গরম রাখার খাবার তালিকাতে মিষ্টি আলু রাখুন।
শরীরকে গরম রাখতে আদা কিভাবে খাবেন
প্রাচীনকাল থেকে আদার ব্যবহার নানাভাবে হয়ে আসছে। আধা বিভিন্নভাবে খেতে পারেন। তরকারিতে মসলা হিসেবে। সরাসরি আদার রস বের করে খেতে পারেন। আবার যদি সম্ভব হয় তাহলে আধা চিবিয়েও খেতে পারেন। তবে শরীরকে গরম রাখতে আদার সব থেকে উত্তম ব্যবহার হলো আদার চা তৈরি করে খাওয়া।
শরীরকে উষ্ণ করতে আদা চা এর কোন বিকল্প নেই কেননা আদা চা-এ থাকা পুষ্টি উপাদান শরীরকে তাপ সংরক্ষণ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাই প্রচন্ড ঠান্ডায় শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখতে আদার সাহায্য নিন। শরীরকে গরম রাখতে আদা চা খান।
ঘি এর পুষ্টি উপাদান ও উপকারিতা
দৈনন্দিন জীবনে আমরা ঘি নানা ভাবে ব্যবহার করে থাকি। ঘি খাবারে স্বাদ বাড়িয়ে দেয়। ঘি একটি সুপার ফুড খাদ্য। ঘি খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করা যায়। তাই শীতে শরীর গরম রাখার খাবার তালিকায় ঘি রাখুন। এছাড়াও ঘিতে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন কে, ভিটামিন ই বিদ্যমান থাকায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। দেহে খারাপ কোলেস্টেরল নষ্ট করে দেয় এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় ফলে হার্ট সুস্থ থাকে।
শীতে শরীরকে গরম ও সুস্থ রাখতে ঘি খাওয়ার নিয়ম
শীতে কি খেলে শরীর গরম থাকে - এমন ১২টি খাবার তালিকা কি জেনেছেন নিশ্চয়ই। কিন্তু অনেকেরই মনে প্রশ্ন শীতে শরীরকে গরম ও সুস্থ রাখতে ঘি খাওয়ার নিয়ম কি। ঘি পরম উপকারী একটি খাদ্য উপাদান। ঘি সারা বছরই পাওয়া যায়। এবং বিভিন্ন উপায়ে ঘি খাওয়া হয়। তবে শীতে শরীরকে গরম ও সুস্থ রাখতে ঘি খাওয়ার একটি নিয়ম অনুসরণ করুন ভালো ফল পাবেন।
প্রতিদিন শীতের সকালে গরম গরম এক গ্লাস পানির মধ্যে এক চামচ ঘি মিশিয়ে খালি পেটে পান করুন। নিজে থেকে বুঝতে পারবেন এর উপকারিতা। সেই সাথে আপনি প্রতিদিন গরম ভাতের সাথে ঘি মাখিয়েও খেতে পারেন। এতে দেখবেন শরীরে উষ্ণতা বৃদ্ধি পাবে এবং শরীর গরম থাকবে ঠান্ডা দূরে পালাবে। তাহলে প্রচন্ড শীতে চিন্তিত না হয়ে শরীরকে গরম ও সুস্থ রাখতে ঘি খেতে পারেন।
শীতে গুড় শরীরের জন্য কতটা উপকারী
শীতে শরীরকে গরম রাখতে গুড়ের জুড়ি মেলা ভার। এছাড়াও শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শরীরের আয়রনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়- রক্তস্বল্পতা দূর করে। কিন্তু যাদের ডায়াবেটিকস রয়েছে তাদের গুড় না খাওয়াই উত্তম কেন না গুড় মানব দেহের রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা গুড় খাওয়া থেকে একটু সাবধানতা অবলম্বন করবেন। অতএব একজন ডায়াবেটিস রোগী ব্যতীত প্রতিটি মানুষের জন্য গুড় কতটা উপকারী বুঝতে পেরেছেন নিশ্চয়ই।
শীতে খেজুর খেলে কি হয়
শীতে কি খেলে শরীর গরম থাকে - এমন ১২টি খাবার তালিকা কি? এই বিষয়টি বিস্তারিত পুরো আর্টিকেল পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে তাই এবার জেনে নিন শীতে খেজুর খেলে কি হয়? শুধু শীত বলে নয় বছরের প্রায় প্রতিটা ঋতুতেই খেজুরের ভূমিকা অপরিসীম। খেজুর আমাদের দেহের নানা ধরনের খাদ্য ঘাটতি পূরণ করে থাকে। খেজুরে একের অধিক স্বাস্থ্য গুণ রয়েছে।
তবে শীতে খেজুরের একটি চমক রয়েছে যা শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সহায়ক। খেজুরে রয়েছে ভিটামিন বি, ক্যালোরি, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, শর্করা ইত্যাদি। খেজুর শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখা ছাড়াও আরো অনেক স্বাস্থ্য উপকার হিসেবে কাজ করে যেমন-
-হাড় ও দাঁত মজবুত করে।
-ওজন নিয়ন্ত্রণ করে।
-শরীরে বল শক্তি বৃদ্ধি করে।
-রক্তস্বল্পতা দূর করে।
-হৃদরোগের আশঙ্কা কমে যায়।
-মস্তিষ্ক সুস্থ রাখে।
-হজম প্রক্রিয়া সঠিক থাকে।
শরীরকে গরম রাখতে রসুন যেভাবে খাবেন
শীতে শরীর গরম রাখার খাবার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রসুন একটি ঝাঁজালো সবজি। রসুন খাবারের মসলা হিসেবে ও ঔষধি ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। স্বাস্থ্য উপকারিতা দিক দিয়ে রসুন পুষ্টিগুনে ভরপুর। প্রকৃতিতে তৈরি প্রত্যেকটি উপাদানে বিশেষ গুণাগুনে অধিষ্ট। রসুন খাবারের স্বাদ বাড়াতে যেমন কাজ করে থাকে। তেমনি ওষুধ উদ্ভিদ হিসেবে বিশেষ একটি ভূমিকা রেখেছে। আবার চুলের যত্নেও রসুনের ব্যবহার হয়ে থাকে।
শীতে কি খেলে শরীর গরম থাকে - এমন ১২টি খাবার তালিকার মধ্যে রসুনের বেশ কিছু গুনাগুন রয়েছে। রসুন পুষ্টিগুণে ভরপুর। রসুনে অধিক পুষ্টি বিদ্যমান থাকায় রসুনকে অনেকেই সুপার ফুড হিসেবে গণ্য করে থাকে। রসুনের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফসফরাস, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি ৬, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, এন্টিভাইরাল। রসুন শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করে।
সেই সাথে রসুন ওজন কমাতেও সাহায্য করে। সর্দিতে রসুন ভীষণ কার্যকরী। আবার রসুন তেল গরম করে শরীরে লাগালে ব্যথা কমে যায় আরাম বোধ হয়। এছাড়াও রসুন মানবদেহে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুকি কমাতে সাহায্য করে থাকে। উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনে। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। বিভিন্ন ধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশন থেকে মুক্তি দেয়। বিভিন্ন রোগ জীবনে থেকে রক্ষা করে এবং সুস্থতা দান করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এভাবে রসুন আমাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এতক্ষণ পর্যন্ত আমরা জানলাম রসুন আমাদের কি কি উপকার করে থাকে কিন্তু এবার জানবো এই রসুন টির উপকার পেতে হলে করনীয়। শরীর গরম রাখতে রসুন যেভাবে খাবেন।
শীতের সকালে আপনি খালি পেটে এক কোয়া রসুন চিবিয়ে এক গ্লাস পানি খেয়ে নিতে পারেন। আবার রসুন চা তৈরি করেও খেতে পারে এতে করে আপনার শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। গরম অনুভব করবেন শীত কম লাগবে। তাই নিয়মিত রসুন খান।
ডিমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
ডিম পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বিরল। বাচ্চা থেকে শুরু করে ছোট বড় সকলেই ডিম খেতে পছন্দ করে। ডিম বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া হয়ে থাকে যেমন ডিম ভাজা, ডিম সেদ্ধ, ডিমের তরকারি ইত্যাদি। এছাড়াও ডিমের আরও অনেক রেসিপি তৈরি করা হয়। ডিম পোঁচ করেও খাওয়া হয়, ডিমের ভর্তা বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। ডিম খাদ্য পুষ্টিতে ভরপুর একটি সুস্বাদু খাবার। একজন ব্যক্তির প্রতিটা দিন অন্তত একটি করে ডিম খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত।
শীতে কি খেলে শরীর গরম থাকে - এমন ১২টি খাবার তালিকা কি? এই বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে পুরো আর্টিকেল পোস্টে। ডিমের পুষ্টি উপাদানের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন- ডি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন সি, ফাইবার, কার্বোহাইডেট, পটাশিয়াম, আয়োডিন, সোডিয়াম, কোলেস্টেরল, ফ্যাট। ডিমের প্রচুর পরিমাণে এনার্জি রয়েছে।
ডিমের এতগুলো পুষ্টি উপাদান যদি আপনি মিস করতে না চান তাহলে অবশ্যই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় ডিম রাখুন। ডিমের সবগুলো পুষ্টি উপকারিতা পেতে ডিমকে না বলবেন না অবশ্যই ডিম খাবেন। উপরোক্ত আলোচনার ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এবার জানাবো ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে চলুন তাহলে জেনে নি ডিম খেলে আমাদের কি কি উপকার হয়। ডিম মানব দেহের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে।
ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে সহজে কোন রোগ সংক্রমণ করতে পারে না সুস্থ থাকা যায়। ছোটদের মানসিক বিকাশে সাহায্য করে। হার ও মাংসপেশী গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখে। চুলের জন্য ডিম ভীষণ উপকারী একটি খাদ্য। ডিম খেলে চুল পড়া কমায়, চুলের গোড়া মজবুত করে। চুলকে স্বাস্থ্যজ্জল করে তোলে। শুধু তাই নয় ডিম খেলে মানবদেহে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে ফলের হৃদরোগ বা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়।
এছাড়া ডিম খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করে। ডিম খেলে বাচ্চাদের মেধা শক্তি বৃদ্ধি করে। ডিমের ভিটামিন এ থাকায় চোখের সমস্যা দূর করে, দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে। যেমন চোখে কম দেখা অন্ধত্ব দূর হয়। এভাবে আমাদের মানব দেহকে সুস্থ রাখতে ডিম আশ্চর্যজনক ভূমিকা পালন করে আসছে। তাই আমাদের উচিত নিয়মিতভাবে ডিম খাওয়া এবং সুস্থ থাকা কারণ স্বাস্থ্যই সুখের মূল।
লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রতি বছরেই যেহেতু শীতের সময়টা চলে আসে তাই, আমরা অনেকেই আছি যারা জানতে চাই, শীতে কি খেলে শরীর গরম থাকে - এমন ১২টি খাবার তালিকা কি এই বিষয়টি সম্পর্কে। তাই আপনাদের জানাতেই মূলত আমাদের এই আজকের আর্টিকেল পোস্টটি। আশা করছি উপরোক্ত আলোচনার আর্টিকেল পোস্টটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। এই আর্টিকেলে শীতে কি খেলে শরীর গরম থাকে।
এমন ১২টি খাবার তালিকা কি এই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে পুরো আর্টিকেল পোস্টে। তাই আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেল পোস্টটি পড়ে না থাকেন। তাহলে আপনি শীতে কোন কোন খাবারগুলো খেলে আপনার শরীরকে গরম রাখবেন সেই সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের এই আর্টিকেল পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে আসুন। আর যদি আমাদের এই আর্টিকেল পোস্টটি আপনি পড়ে থাকেন।
তাহলে এই আর্টিকেল পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। পুরো আর্টিকেল পোস্টে লিখার মধ্যে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবশেষে বলবো এতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর হ্যাঁ আপনার যদি এই আর্টিকেল পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে, অবশ্যই আপনার পরিচিত আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করে দিবেন। আর আপনার এই আর্টিকেল পোস্টটি কেমন লেগেছে মন্তব্য করে জানাবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্টে রিভিউ করা হয়।
comment url