আধুনিক জীবন ও তথ্য প্রযুক্তি বাংলাদেশ রচনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নিন
আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের জন্য থাকছে, আধুনিক জীবন ও তথ্য প্রযুক্তি বাংলাদেশ রচনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিস্তারিত। অনেকেই আছে এই বিষয়ই সম্পর্কে জানতে আগ্রহি। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
আপনি যদি আমাদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত থাকেন তাহলে, আধুনিক জীবন ও তথ্য প্রযুক্তি বাংলাদেশ রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আপনাকে এই আর্টিকেল পোস্টটি সম্পূর্ণ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে আশা করছি আপনি এই বিষয় বিস্তারিত সম্পর্কে সম্পন্ন একটি ভাল ধারণা পেয়ে যাবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ আধুনিক জীবন ও তথ্য প্রযুক্তি বাংলাদেশ রচনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নিন
- আধুনিক জীবন ও তথ্য প্রযুক্তি বাংলাদেশ রচনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
- প্রযুক্তির উদ্ভব
- আধুনিক জীবনে প্রযুক্তি
- সভ্যতার বিকাশে তথ্যপ্রযুক্তি
- আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
- শিক্ষা ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি
- গবেষণা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি
- যোগাযোগ ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি
- বিনোদনে তথ্য প্রযুক্তি
- তথ্যপ্রযুক্তির নেতিবাচক প্রভাব
- বাংলাদেশে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির বাস্তব প্রয়োগ
- আমার শেষ মন্তব্য
আধুনিক জীবন ও তথ্য প্রযুক্তি বাংলাদেশ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
আধুনিক জীবন ও তথ্য প্রযুক্তি বাংলাদেশ হল আধুনিক সভ্যতা সুদীর্ঘকাল ধরে স্বপ্ন সাধনার ফল। মানব জীবন নদীর মত চলমান কখনো থেমে থাকে না। জীবন চলমান বলেই আদিম যুগ পেরিয়ে বন্য জীবন থেকে মানুষ আজ আধুনিক জীবনে প্রবেশ করতে পেরেছে। মানুষের চিন্তা শক্তি সভ্যতাকে প্রাণশক্তি দিয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সরাসরি সম্পৃক্ত।
তেমনি ভাবে আধুনিক জীবনে প্রযুক্তি ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে। বিজ্ঞান আবিষ্কারের নানা তথ্য ও সূত্রের প্রয়োগিক দিককে বলা হয় প্রযুক্তি। বর্তমান সময় আধুনিক ও তথ্য প্রযুক্তির বাংলাদেশ। বিজ্ঞানের ছোয়াতে মানব জীবন আজকে আধুনিক হয়ে উঠেছে। প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে প্রযুক্তির দ্বারা তৈরি নানা পণ্য ভোগ করে-
আর নানা কলা-কৌশল ব্যবহার করে মানুষ হয়ে উঠেছে আধুনিক। তথ্য ও প্রযুক্তির কল্যাণে মানব জীবন উন্নত। তথ্য ও প্রযুক্তির কল্যাণের কারণেই কৃষিতে ফলন বাড়ে, টেলিফোন, টেলিগ্রাফ, রেডিও, কৃত্রিম উপগ্রহ, কম্পিউটার, মোবাইলের সাহায্যে যোগাযোগ কিংবা বিনোদনের সুযোগ পাচ্ছি।
এছাড়াও শীতাতাপ নিয়ন্ত্রণ ,কাপড় ধোয়া, সিঁড়ি না ভেঙে বহুতল বিশিষ্ট দালানে ওঠানামা করা, বাস ট্রেন, বিমান- জাহাজের সাহায্যে স্থল-পথ ও আকাশ পথ ভ্রমণের সুযোগ ইত্যাদি পাচ্ছি আধুনিক জীবনে। তাই প্রযুক্তি বাদ দিয়ে আধুনিক জীবনের কথা চিন্তাই করা যায় না।
প্রযুক্তিবিদ্যার কারণেই মানব জীবনে যাবতীয় সুখ-স্বাচ্ছন্দ সম্পাদিত হচ্ছে। তাই এক কথায় বলা যায় যে, তথ্য ও প্রযুক্তির কল্যাণকর জীবন আধুনিক জীবন। অর্থাৎ এটাই যেন আধুনিক জীবন -আধুনিক মানুষ- আধুনিক বিশ্ব।
প্রযুক্তির উদ্ভব
আধুনিক জীবনের প্রয়োজনে বিজ্ঞানের প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হয়েছে। এই প্রযুক্তি-বিদ্যার প্রসার দীর্ঘ দিনের যাত্রা। ইংল্যান্ডের সর্বপ্রথম এই প্রযুক্তিবিদ্যা কে আত্মস্থ করে কাজে লাগায়। আর এই প্রযুক্তি প্রসারের ফলে শিল্প বিপ্লব ঘটে। নানা প্রকার যন্ত্রপাতি মানুষের জীবনের গতিধারা বদলে দেয়।
অন্যান্য দেশেও এই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয় এবং সারা বিশ্বের দ্রুততম ছড়িয়ে পড়ে। তবে পশ্চিমার দেশগুলোয় শিল্প বিপ্লবের প্রধান ধারক ও বাহক। তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে যে দেশ যত অগ্রগামী সে দেশ তত উন্নত এবং আধুনিক জীবনের অধিকারী। ক্রমাগতভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি হাতে হাত ধরে চলছে।
যার চলার পথে কোন বিরাম নেই। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে এবং ব্যবহারিক জীবনে তাকে কাজে লাগিয়ে আধুনিক মানুষ হয়ে উঠেছে আরও আধুনিক। এভাবেই ঘটে প্রযুক্তি উদ্ভব।
ক্রম বিকাশঃ এবার জেনে নেওয়া যাক আধুনিক জীবন ও তথ্য প্রযুক্তি এর ক্রম বিকাশ। প্রযুক্তির প্রথম যুগ ছিল বাষ্পীয় যন্ত্রের এর মাধ্যমে ধীরগতির পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় পালা বদল ঘটে। উৎপাদনের কাজও প্রযুক্তি ব্যবহৃত হতো স্বল্প মূল্যে, স্বল্প শ্রমে, স্বল্প ফসল এই ছিল প্রথম যুগের অবস্থা।
দ্বিতীয় যুগঃ ইতিহাসে নবযুগের সৃষ্টি হয় বিদ্যুতের আবিষ্কারের পর। বিদ্যুতের প্রায়োগিক কৌশলে শিল্প ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে বিপ্লব সংঘটিত হয়। এরই মধ্য দিয়ে শুরু হয় দ্বিতীয় যুগের। অর্থাৎ বিদ্যুতের যুগ দ্বিতীয় যুগ।
দ্বিতীয় যুগে যখন বিদ্যুতের ব্যবহার আসলো তখন থেকেই শিল্প কারখানার স্থাপন ও তার উৎপাতে পণ্য সামগ্রী মানুষের জীবন প্রণালীতে বিপ্লবী পরিবর্তন ঘটাতে শুরু করে এবং পৃথিবীর মানুষ আধুনিক মানুষের পরিণত হয়।
বিদ্যুতের সংস্পর্শে এসে মানুষের আধুনিক জীবনযাত্রা শুরু হয়। একই সাথে বিদ্যুতের পরশে শিল্প কারখানা চাকা চলতে শুরু করে, স্টিমার চলল, পাখা ঘুরলো ও বিমান উড়ল। মানুষ এক আধুনিক জীবন লাভ করল। এভাবে দ্বিতীয় যুগের সূচনা ঘটে।
তৃতীয় যুগঃ তৃতীয় যুগ বলতে ইলেকট্রন প্রোটন ও সৌর শক্তির যুগকে বোঝায়। সভ্যতার এই তৃতীয় যুগে এসে প্রযুক্তি যুগকে শক্তিশালী করে তুলেছে। বর্তমান সময়ে প্রযুক্তি মানুষের জীবনের নিরামক হিসেবে কাজ করছে।
মানব জীবনের শিক্ষা স্বাস্থ্য যোগাযোগ কৃষি, শিল্প, পরিবহন, ব্যাংকিং, স্থাপত্য, নির্মাণ ইত্যাদি প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। এক কথায় মানব জীবনে আধুনিক প্রযুক্তি এখন মানুষের নিত্য সঙ্গী হয়ে গেছে।
আধুনিক জীবনে প্রযুক্তি
আধুনিক জীবন ও তথ্য প্রযুক্তি বাংলাদেশ রচনা- আধুনিক জীবনে প্রযুক্তির ব্যবহারে মানব জীবনে কল্যাণ ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ নিয়ে এসেছে। ২১ শতকের সময়ে এসে মানুষের জীবন জীবিকার সর্বক্ষেত্রে প্রযুক্তি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। প্রযুক্তিগত ব্যবহারের মাধ্যমে শহর ও নগরে বহু দল বিশিষ্ট ভবন গড়ে উঠেছে।
আবার আমরা যেভাবে যাতায়াত করে থাকি যেমন ট্যাক্সি, বাস, রেল সব ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার হয়ে আসছে। যুগান্তরের এই পরিবর্তনের সাথে সাথে আমরা আরও আধুনিক ব্যবস্থা পেয়ে গেছি। আধুনিক জীবনে বৈদ্যুতিক বাতি,পাখা, হিটার, টিভি, কম্পিউটার, এয়ার কুলার, টিভি,ফ্রিজ, লিফট ইত্যাদির ব্যবহার হয়ে আসছে।
এছাড়াও অফিস আদালতে ক্যালকুলেটর, টাইপ রাইটার, ফটোকপিয়ার, ফ্যাক্স ইত্যাদি প্রযুক্তির ব্যবহারে মানব জীবনে কল্যাণ সাধিত করেছে। শিল্পাঞ্চল ছাড়া গ্রামাঞ্চলেও এখন প্রযুক্তির ব্যবহার হয়ে আসছে। কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহারের দেখা মেলে নানা ক্ষেত্রে যেমন- বীজ বপন, ফসল কাটা, ঝাড়াই করা,মাড়াই করা ইত্যাদি।
আধুনিক জীবনে শিক্ষা ও চিকিৎসার ক্ষেত্রেও প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহারের দেখা মিলে। এক কথায় আধুনিক যুগের মূল ভিত্তি প্রযুক্তি। আবার আধুনিককালে মানুষের জীবনে নতুন সূচনা করেছে অটো মেশিন বা সংক্রিয়যন্ত্র।
প্রযুক্তির কল্যানে এখন কম্পিউটার ও রোবটের মতো অভাবনীয় যন্ত্র সৃষ্টি হয়েছে। মানব জীবনের বিনোদন থেকে শুরু করে যুগান্তরী সকল ক্ষেত্রে রয়েছে প্রযুক্তি বিজ্ঞানের বিশেষ ভূমিকা।
সভ্যতার বিকাশে তথ্য প্রযুক্তি
তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার মানুষের জীবন যাপনের অগ্রগতির মাধ্যম হিসাবে গড়ে উঠেছে। আধুনিক সভ্যতাই প্রযুক্তির ব্যবহার অনেক বেশি হয়ে থাকে। আধুনিক সভ্যতার যুগে মানব কল্যাণে ব্যবহৃত প্রযুক্তির পেছনে অক্লান্ত পরিশ্রম করে আসছে বিজ্ঞান। বিজ্ঞান প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ হচ্ছে প্রযুক্তি।
তথ্য প্রযুক্তির ফলে মানুষের জীবনে সুখ-স্বাচ্ছন্দ নিয়ে এসেছে। প্রযুক্তি বিদ্যা মানুষের জীবনকে আধুনিক করে তুলেছে। এক সময় মানুষের কাছে যান্ত্রিক শক্তি অজানা ছিল। জীবন সংগ্রামের প্রত্যেকটি কাজেই শ্রমের ওপর নির্ভরশীল ছিল। দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত প্রত্যেকটি দ্রব্যাদি তৈরি হতো শ্রম বিনিয়োগ করে।
পরবর্তী সময়ে মানব জীবন প্রযুক্তির আওতায় লিপিবদ্ধ হওয়ার ফলে পরিবর্তন ঘটে মানব সভ্যতার।স্বল্প সময়ে অল্প পরিশ্রমে পণ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে মানব জীবনের প্রত্যেকটি কার্যক্ষেত্রের কাজগুলো সম্পাদন করা সম্ভব হচ্ছে। আধুনিক জীবনে তথ্যপ্রযুক্তির বিস্ময়কর বিকাশ গোটা বিশ্বকে এখন উন্নয়নের দিকে পরিচালিত করছে।
তথ্যপ্রযুক্তির এই অগ্রযাত্রায় পৃথিবী জুড়ে নবচেতনার সঞ্চার হয়েছে। মানব জীবন করেছে গতিশীল। বিজ্ঞানের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে সভ্যতার বিকাশ ঘটে এবং আজকের আধুনিক সভ্যতা গড়ে উঠেছে।
আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ যেখানে মানুষ আছে সেখানেই পৌঁছে গেছে বিজ্ঞানের কল্যাণকর প্রযুক্তি। আধুনিক জীবন ও তথ্য প্রযুক্তি বাংলাদেশে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার অপরিসীম।
মানুষের দৈনন্দিন জীবনে তথ্য ও প্রযুক্তি নানাভাবে মানবিক চাহিদা পূরণ করতে সহায়তা করছে। নিম্নে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের কিছু দিক উল্লেখ করা হলো-
১। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার মানুষকে কাজের ক্ষেত্রে অনুপ্রাণিত করে।
২। আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে প্রেরণা জোগাতে সাহায্য করে।
৩। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় আগাম তথ্য সরবরাহ ও পরিবেশন করে থাকে।
৪। বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে উন্নয়ন কর্মীদের সচেতনতা সহায়তা দান করে।
৫। শিক্ষা বিস্তার, মানবীয় মূল্যবোধ ও আত্ম সচেতনতা বোধ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে।
৬। বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক লেনদেন সংক্রান্ত প্রজনন তথ্য সরবরাহ করে থাকে।
৭। কৃষি উৎপাদনে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে।
৮। মানুষের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতামত পরামর্শ সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করে থাকে।
৯। দেশ-বিদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাকে তুলে ধরা।
১০। শিশু ও মায়ের মৃত্যু রোগের প্রয়োজনীয় তথ্যাদি পরিবেশন করা ।
১১। বিশ্বের জ্ঞান বিজ্ঞানের সাথে পরিচয় ঘটিয়ে নিজস্ব সংস্কৃতির উন্নতি ও সমৃদ্ধি সাধনে সহায়তা করে ইত্যাদি।
শিক্ষা ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি
আধুনিক জীবন ও তথ্য প্রযুক্তি বাংলাদেশে শিক্ষা ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান প্রযুক্তির কল্যাণে যে পরিবর্তন এসেছে তার সুফল সারা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি। অপরদিকে মানব জীবনের ভোগ ও উপভোগ এর সমস্ত উপাদানের যোগান দিচ্ছে প্রযুক্তি। পৃথিবীতে দারিদ্র্যমুক্ত করার কাজ করছে তথ্যপ্রযুক্তি।
এছাড়াও মানুষের জীবনে নিয়মানুবর্তিতা, অধ্যবসায়, মানবীয় বোধ ইত্যাদি জাগিয়ে তুলছে প্রযুক্তি। বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অর্থনৈতিক লেনদেনসহ ব্যবসা-বাণিজ্য প্রভৃতি পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়াও চিকিৎসা ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।
মুহূর্তের মধ্যেই তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে রোগ নির্ণয় কৌশল, চিকিৎসা পদ্ধতি, নতুন রোগ ও তার প্রতিকার সম্পর্কে জানা সম্ভব। আধুনিক চিকিৎসার বিজ্ঞানের তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সম্পর্কে তথ্য নির্দেশনা প্রদান করে থাকে। শিক্ষা ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সরবরাহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করে।
তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম রেডিওতে পরিচালিত হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে মানুষ অল্প সময়ে অধিক কাজ সম্পন্ন করতে পারে। তথ্যপ্রযুক্তিতে বিনোদনের ব্যবস্থা থাকায় মানুষকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখে, মনকে প্রফুল্ল করে। নিজস্ব ভাবে পূর্ণ উদ্যমে নিজ নিজ জায়গায় থেকে কাজে মনোযোগী হয়।
গবেষণা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি
আধুনিক জীবন ও তথ্য প্রযুক্তি বাংলাদেশ গবেষণা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তিতে নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। বিজ্ঞান অর্থনীতি, চিকিৎসা, শিক্ষা, কৃষি প্রভৃতি ক্ষেত্রে উন্নতির পূর্ব শর্ত হলো গবেষণা। দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি কাজের উন্নতি সাধনের অন্তরায় রয়েছে গবেষণা। এজন্য প্রত্যেকটি দেশে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক বিভিন্ন প্রকাশনা জার্নাল তথ্য ভিসা প্রকৃতি আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির কারণে আমরা খুব সহজে ঘরে বসে পেয়ে থাকি। আর এ সকল তথ্য প্রযুক্তিতে কাজে লাগানো হয় গবেষণা। গবেষণা সংস্থা গুলোর মধ্যে রয়েছে-
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, বাংলাদেশের ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স এনজিও ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি।
এছাড়াও আরো রয়েছে যেমন- বিভিন্ন সাহিত্য সংস্কৃতি সংগঠন। তাদের নিজ নিজ গবেষণা কাজে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যম হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে। আবার এদেশের মানবাধিকার, দুর্নীতি দমন কমিশন, লাইব্রেরী, জাদুঘর, ক্রীড়া সংগঠন ইত্যাদি লিপিবদ্ধ রয়েছে।
যোগাযোগ ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি
আধুনিক জীবন ও তথ্য প্রযুক্তি বাংলাদেশ রচনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে এবার জেনে নিন যোগাযোগ ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি। আদিকাল থেকে মানুষ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়, একজন থেকে আরেকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে করে আসছে। সময়ের বিবর্তনে এই পদ্ধতিটা বিভিন্ন রকমের হয়েছে।
যেমন আগের দিনের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে উল্লেখিত ছিল- চিঠি। যুগের বিবর্তনের মধ্য দিয়ে পরিবর্তন এসেছে। এখন যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয় টেলিফোন, টেলিযোগাযোগ, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট। কয়েকটা বোতাম চাপ দিলেই দেশ থেকে দেশান্তরের খবরা-খবর আদান-প্রদান করা সম্ভব হয়।
নিমিষেই বিদেশের খবর পৌঁছে যায় আমাদের দেশে। মুহূর্তের মধ্যেই এসএমএসের মাধ্যমে মনের কথাগুলো প্রিয়জনদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। আবার ফেসবুকের মাধ্যমে এসএমএস সহ ভিডিও, অডিও কল করে প্রিয়জনদের সাথে কথা বলা যায়।
ইমেইলের মাধ্যমে চিঠি আদান-প্রদান সহ বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সরবরাহ করা যায়। এবং এক কম্পিউটার থেকে আরেকটি কম্পিউটারের সকল তথ্য প্রেরণ করা সম্ভব হয়। এক কথায় বলা যায়, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিরাট পরিবর্তন নিয়ে এসেছে।
প্রত্যেকটি কাজ অনেক সহজ হয়েছে এবং অল্প সময়ে সম্পন্ন করা সম্ভব। তথ্য প্রযুক্তির সকল সুযোগ সুবিধা প্রদান করায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা বিশাল এক জায়গায় পৌঁছেছে।
বিনোদনে তথ্য প্রযুক্তি
আধুনিক জীবন ও তথ্য প্রযুক্তি বাংলাদেশ এ বিনোদন ব্যবস্থা বিশেষ জায়গা জুড়ে রয়েছে। বিনোদনের ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে বর্তমান সময় মানুষ বিনোদনের সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে। যেমন গান,নাটক, সিনেমা, নাচ, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, ইত্যাদি ।
ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপভোগ করা যায়। আবার ভিডিও করা, ছবি তোলা সহ আরো অনেক বিনোদন উপভোগ করা যায়। এক কথায় তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সব রকমের বিনোদন নেওয়া সম্ভব হয়।
তথ্য প্রযুক্তির নেতিবাচক প্রভাব
আধুনিক জীবন ও তথ্য প্রযুক্তি বাংলাদেশ রচনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করা হয়েছে সম্পন্ন পোস্টে। এবার আপনাদের মাঝে আলোচনা করব তথ্যপ্রযুক্তির নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। বর্তমান সময়ে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড লিপ্ত হচ্ছে।
দেশে দেশে মানুষে মানুষের হানাহানি বাড়ছে। তথ্যপ্রযুক্তির অন্যতম মাধ্যম ইন্টারনেট ব্যবহার করে সাইবার অপরাধ সংগঠিত সমস্যা বেড়ে চলেছে। নিজের পরিচয় গোপন রেখে অন্যকে ধোঁকা দিচ্ছে। কেউ কেউ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সমাজে অপসংস্কৃতি চর্চায় মেতে উঠেছে।
যা বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে ক্ষতিকর। অর্থাৎ কিছু কিছু মানুষ তথ্যপ্রযুক্তিকে ইতিবাচক ভাবে ব্যবহার না করে নেতিবাচকভাবে ব্যবহার করছে। তাই আমাদের উচিত তথ্য প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করা এবং কল্যাণকর কাজ সাধন করা।
বাংলাদেশে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির বাস্তব প্রয়োগ
বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি সঠিক ব্যবহার করতে হবে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশের আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির বাস্তব প্রয়োগে দেখা যায় পরীক্ষার রেজাল্ট শীট, স্কুল কলেজে ভর্তি ফরম, বিভিন্ন ধরনের চাকরি আবেদন ফরম, কার্য সম্পন্ন করা হয়। শুরু হয়েছে দেশে তথ্য ও প্রযুক্তিগত কৃষি ব্যবস্থা।
ইতোমধ্যে দেশে ভূমি জরিপের কাজও শুরু হয়েছে। এছাড়াও ই-কমার্স ইস লার্নিং ইবুকিং এর পাশাপাশি ই-ভোটিং কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। এভাবেই বাংলাদেশে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির বাস্তব প্রয়োগ ঘটে আসছে।
আমাদের শেষ মন্তব্য
আধুনিক জীবন ও তথ্য প্রযুক্তি বাংলাদেশ রচনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নিন। আপনি যদি এই বিষয়টি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আমাদের এই আর্টিকেল পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
আশা করছি, আপনি আধুনিক জীবন ও তথ্য প্রযুক্তি বাংলাদেশ রচনা সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনেছেন। এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল যদি আপনি নিয়মিত জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন।
সবশেষে বলব, এই আর্টিকেল পোস্টটি আপনার কেমন লেগেছে মন্তব্য করে জানাবেন। আপনার পরিচিত আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করে দেবেন। ধন্যবাদ !
ডিজিটাল মার্কেটিং আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্টে রিভিউ করা হয়।
comment url