কম্পিউটার শিখে লোকাল ব্যবসা করে আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
প্রিয় বন্ধুরা আপনাদের জন্য থাকছে, কম্পিউটার শিখে লোকাল ব্যবসা করে আয় করার উপায় সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো আজকের এই আর্টিকেলে। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে কম্পিউটার শিখে কিভাবে আয় করবেন। সেই উপায় সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
আপনি যদি আমাদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত থাকেন তাহলে, কম্পিউটার শিখে লোকাল ব্যবসা করে আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আমরা অনেকেই আছি যারা কম্পিউটার শিখে আয় করতে চাই। তাই আপনি যদি কম্পিউটার শিখে আয় করতে চান। তাহলে আপনাকে এই আর্টিকেল পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ কম্পিউটার শিখে লোকাল ব্যবসা করে আয় করার উপায় জেনে নিন
- কম্পিউটার শিখে লোকাল ব্যবসা করে আয় করার উপায়
- কম্পিউটারের দোকান কিভাবে শুরু করা যায়
- কম্পিউটার দোকান দিতে হলে কি কি জানা থাকতেই হবে
- কম্পিউটার দোকান বা ফটোকপি ব্যবসা শুরু করার পদ্ধতি
- একটি কম্পিউটার ও ফটোকপির দোকানে কি কি কাজ হয়
- কম্পিউটার শেখার মাধ্যম সমূহ
- কম্পিউটার এক্সপার্ট হওয়ার জন্য করনীয়
- কম্পিউটার শেখার গুরুত্ব
- কম্পিউটার শিখে কয়েকটি আয়ের মাধ্যম সমূহ
- লেখকের শেষ মন্তব্য
কম্পিউটার শিখে লোকাল ব্যবসা করে আয় করার উপায়
কম্পিউটার শিখে লোকাল ব্যবসা করে আয় করার উপায় কি কি? এই বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে সম্পূর্ণ পোস্টে। চলুন এবার জেনে নিন আপনি কম্পিউটার শিখে লোকাল ব্যবসা করে কিভাবে আয় করবেন। বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নানা কাজে কম্পিউটারের সাহায্য নিতে হয়।
বিশেষ করে জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, পাসপোর্ট সাইজের ছবি আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন পড়ে আর এ কাজে কম্পিউটারে ব্যবহার হয়ে থাকে।
তাই আপনাদের কম্পিউটার জানা থাকলে বেসিকভাবে কম্পিউটারের প্রোগ্রাম, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ও ফটোশপ ইত্যাদি শিখে লোকাল ব্যবসা করে অনেক স্বাবলম্বী হতে পারবেন। এবং ভালো পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন।
কম্পিউটারের দোকান কিভাবে শুরু করা যায়
কম্পিউটার শিখে লোকাল ব্যবসা করে আয় করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এবার আপনাদের জানাবো কম্পিউটারের দোকান কিভাবে শুরু করবেন। কম্পিউটারের দোকান দিতে কোন ইনভেস্টমেন্ট নাই বললেই চলে। তবে শুরুতে কিছু বিনিয়োগ করতে হয়।
আর নিজস্ব একটি কম্পিউটার থাকলে তার সাথে একটি প্রিন্টার ও আরেকটি ফটোকপি মেশিন থাকলে এই ব্যবসা শুরু করা যায়। তবে কখনোই পুরাতন ফটোকপি মেশিন দিয়ে এ কাজ শুরু করবেন না। যে যাই বলুক না কেন, কখনোই পুরাতন ফটোকপি মেশিন দিয়ে এ কাজ শুরু করবেন না।
কারণ যে এই মেশিনটা বিক্রি করতে চায় সে অবশ্যই কোন সমস্যার কারণে মেশিনটা বিক্রি করে দিতে চাইছে। তাই একটি নতুন ফটোকপি মেশিন নিয়ে এ ব্যবসা শুরু করা উত্তম হবে বলে আমি মনে করি।
কম্পিউটার দোকান দিতে হলে কি কি জানা থাকতেই হবে
কম্পিউটার শিখে লোকাল ব্যবসা করে আয় করার উপায় জানার পাশাপাশি। আপনাকে জানতে হবে কম্পিউটার দোকান দিতে হলে কি কি জানা দরকার। কম্পিউটার শিখে লোকাল ব্যবসা দাঁড় করাতে বা কম্পিউটার দোকান দিতে চাইলে অবশ্যই যে বিষয়গুলো আপনাকে জানতেই হবে। সেই সকল বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে-
- মাইক্রোসফট অফিস ওয়ার্ড, এক্সেল ও ফটোশপ
- টাইপ
- ইন্টারনেট
- ইমেইল
- প্রিন্ট করা
- ফরমেট বা ফাইল ফটোকপি
- ফটোশপ
- কাগজ চেনা
মাইক্রোসফট অফিস ওয়ার্ড, এক্সেল ও ফটোশপঃ অফিসিয়াল যেকোনো কাজের জন্য মাইক্রোসফট অফিস ওয়ার্ড, এক্সেল ও ফটোশপ এই গুলোর প্রয়োজন বেশি পড়ে। অফিসিয়াল কাজের জন্য এই কাজগুলো ছাড়া এর থেকে বেশি আর অন্য কোন কাজ জানা লাগে না। তাই এই কাজগুলোর পেছনে বেশি সময় দিয়ে ভালোভাবে কাজ শিখুন।
টাইপঃ একজন কম্পিউটার জানা ব্যক্তিকে অবশ্যই কম্পিউটার টাইপ জানা দরকার। টাইপ স্পিড যত ভালো হবে ততই ভালো। ব্যবসা শুরুর দিকে মিনিমাম বিশ ওয়াট করে বাংলা ও ইংরেজি টাইপিং এ দক্ষ হতে হবে। এতে করে টাইপিং এর কাজ দ্রুত শেষ করতে পারবেন।
ইন্টারনেটঃ এই বিষয়ে জানার কোন শেষ নেই তবে ইন্টারনেটের ব্রাউজিংয়ের ক্ষেত্রে ১০০% নলেজ থাকা আবশ্যক। কেউ কোন কিছু তথ্য বলার সাথে সাথে যেন তথ্যটি বের করে দিতে পারেন এবং অনলাইনে কাজগুলো দ্রুত গতিতে ও সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারেন।
ইমেইলঃ ইমেইল আদান-প্রদান সহ ইমেলে ছবি পাঠানো, যেকোনো ফাইল পাঠানো এ বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনার জানা থাকতে হবে। কারণ বর্তমান সময়ে অধিকাংশ কাজের ক্ষেত্রেই তথ্য আদান-প্রদানের জন্য ইমেইল মাধ্যমটি ব্যবহার করা হয়।
প্রিন্ট করাঃ প্রিন্ট করা এ সকল কাজগুলো না জানলে কম্পিউটার শেখার মধ্যে অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তাই প্রিন্ট করা কাজটি আপনাকে অবশ্যই শিখতে হবে। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রিন্টের কাজ লক্ষ্য করা যায়।
ফরমেট বা ফাইলঃ যেকোনো ফাইল দেখা মাত্র আপনাকে বুঝতে হবে এটা কোন ফাইল এবং কি ফরমেটে রয়েছে। বিভিন্ন ফাইল ফরমেট এর মধ্যে রয়েছে- Pdf, doc,psd, Exel, jpg, png . এই ফরমেট গুলো দেখামাত্রই আপনাকে বুঝতে হবে এবং এডিট করা শিখতে হবে।
এবং একটা ফাইল ফরমেট থেকে অন্য একটি ফরমেটে কনভার্ট করা শিখতে হবে। যেমন- ওয়ার্ড থেকে পিডিএফ, পিডিএফ থেকে ডগ আবার পিডিএফ থেকে ওয়ার্ডে বিষয় গুলো জানা থাকতে হবে।
আর এই কাজগুলোর টেকনিক সহজে অনলাইনের মাধ্যমে শেখা যায়। এগুলো কখনো কাস্টমারকে বুঝতে দেওয়া যাবে না। দুই তিনটা টা ক্লিক করার মাধ্যমে প্রিন্ট কপি বের করে কাস্টমারের কাছ থেকে ২০ থেকে ৩০ টাকা নেওয়া যায়।
ফটোকপিঃ এই কাজটিতে অনেক ধরনের সিস্টেম রয়েছে এই সিস্টেমগুলোর নিয়ম কানুন ও বিষয় সম্পর্কে আমরা সামনে আলোচনা করব।
কাগজ চেনাঃ কাগজ দেখেই বুঝতে পারতে হবে। যে এটা কোন কাগজে বের করতে হবে। তাই কাগজ চেনা আবশ্যক।
কম্পিউটার দোকান বা ফটোকপি ব্যবসা শুরু করার পদ্ধতি
কম্পিউটার শিখে লোকাল ব্যবসা করে আয় করার উপায় এর মধ্যে কম্পিউটার দোকান বা ফটোকপি ব্যবসা শুরু করার পদ্ধতি আলোচিত হয়েছে, এই আর্টিকেল পোস্টটির মধ্যে। একটি কম্পিউটার দোকান বা ফটোকপি ব্যবসা শুরু করার জন্য যে বিষয়গুলো আপনার জানা দরকার-
১। পজিশন
২। ডেকোরেশন
৩। ব্যানার
৪। ভিজিটিং কার্ড
১। পজিশনঃ প্রথম অবস্থায় দোকানের পজিশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দোকানের পজিশনের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে প্রচার ব্যবস্থাপনা। তাই প্রথমদিকে চেষ্টা করতে হবে একটি কোট বা স্কুল -কলেজের কাছাকাছি একটি কম্পিউটার দোকান দেয়ার। যাতে করে দোকানটির দ্রুততম প্রচার ঘটে।
২। ডেকোরেশনঃ একটি কম্পিউটারের দোকানে ডেকোরেশন এর বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ না হলেও একটু নজর দেওয়া উচিত। কারণ এর উপরে মার্কেটিং এর ব্যাপার রয়েছে। তবে হ্যাঁ এই দোকানে কখনোই বেঞ্চ রাখবেন না সবসময় চেয়ার রাখার চেষ্টা করবেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেঞ্চে একই সঙ্গে দুজন ব্যক্তি বসতে চাই না।
যেমন ধরুন স্কুলের একটি হেডমাস্টার বা দপ্তর আসলো সেখানে তারা একসঙ্গে না বসে একটি চেয়ারে বসতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করবে। আর এই বিষয়টি একজন দোকানদারকে বুঝতে হবে তাই সচরাচর চেষ্টা করতে হবে দোকানে বেঞ্চ না রাখার। জায়গায় একটু বেশি লাগলেও চেয়ারের ব্যবস্থাপনা রাখা।
৩। ব্যানারঃ কম্পিউটারের দোকানের ব্যানারটি দেখতে অনেক আকর্ষণীয় সুন্দর হতে হবে যাতে অন্যকে আকর্ষণ করে। এবং বুঝতে পারে দোকানটি প্রযুক্তিগত ব্যবসার ক্ষেত্র। আর আপনি যে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার বিষয়টি ব্যানারের উপর আপনার এক্সপেরিয়েন্সের অনেক কিছু নির্ভর করবে। অন্য ব্যক্তিরা যেন দেখে বুঝতে পারে আপনি একজন কম্পিউটার এক্স পার্ট ।
৪। ভিজিটিং কার্ডঃ উপরের বিষয়গুলোর সাথে মিল রেখে ভিজিটিং কার্ড তৈরি করতে হবে। যেন কোন তথ্য ভুল না হয়। একটি কম্পিউটার দোকানের ভিজিটিং কার্ড কেমন হতে হবে সেদিকে লক্ষ্য রেখে ভিজিটিং কার্ড তৈরি করতে হবে।
একটি কম্পিউটার ও ফটোকপির দোকানে কি কি কাজ হয়
কম্পিউটার শিখে লোকাল ব্যবসা করে আয় করার উপায় সমূহের মধ্যে আরও জেনে নিন একটি কম্পিউটারের ফটোকপির দোকানে কি কি কাজ করা হয়। একটি কম্পিউটার ফটোশপের দোকানে যে সকল কাজ করা হয় তা নিম্নে উল্লেখিত হলো-
১। ফটোকপি
২। সিভি তৈরি
৩। ভোটার আইডি কার্ড এবং নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন
৪। প্রত্যয়ন পত্র কম্পোজ
৫। অনলাইনে চাকরির আবেদন
৬। স্টাম্প কম্পোজ
৭। স্কুল-কলেজের বোর্ডের কাগজ
৮। প্রশ্ন কম্পোজ
৯। চেয়ারম্যান এর প্রায় সকল প্রকার সার্টিফিকেট
১০। চিঠিলেখা
১১। ইমেইল
১২। কম্পোজ
১৩। ছবি ইত্যাদি
কম্পিউটার শেখার মাধ্যম সমূহ
কম্পিউটার শিখে লোকাল ব্যবসা করে আয় করার উপায় আছে বলেই কম্পিউটার শেখার মাধ্যম সমূহ জানতে হবে। কম্পিউটারের ব্যবহার আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানাভাবে জড়িয়ে রয়েছে। এবং কম্পিউটার শিখে আয় করা যায়। তাই আমাদের জানতে হবে কম্পিউটার শেখার মাধ্যম সমূহ।
কম্পিউটার শেখার মাধ্যম হিসেবে প্রথমে সিলেক্ট করতে হবে আপনি কোন বিষয়ে কম্পিউটার শিখবেন মানে আপনি কম্পিউটারে কোন বিষয় শিখতে চাচ্ছেন। কম্পিউটার শিখার বিষয়টি সিলেক্ট করার পর একটি উপযুক্ত জায়গায় প্রশিক্ষণ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কোর্স অনলাইন অথবা অফলাইন দুটো ভাবেই নেওয়া সম্ভব।
আপনি ঘরে বসে অনলাইনে এই কম্পিউটার প্রশিক্ষণটি নিতে পারেন। আবার ইউটিউব দেখে দেখেও শিখতে পারেন। এছাড়াও আপনার কাছে থাকা কোন একটি আইটি সেন্টার থেকে অফলাইনে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। তবে কোর্স কেনার আগে অবশ্যই যে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে আপনি কোর্স কিনবেন সেটি সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই ভালোভাবে জানতে হবে।
অনলাইনে কম্পিউটারে পিডিএফ বা অনলাইন বইয়ের মত টেক্সট পাওয়া যায়। যেটি পড়েও আপনি কম্পিউটারের খুঁটিনাটি বিষয়ে জানতে ও কম্পিউটার চালানো শিখতে পারবেন। উপরে আলোচিত মাধ্যম গুলো ছাড়াও আপনি যে মাধ্যমে কম্পিউটার শিখতে পারবেন।
সেটি হল বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি ভাবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কম্পিউটার চালানো শিক্ষা দেয়া হয়। যেমন বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। অর্থাৎ আপনি সরকারি ভাবে বিনামূল্যে কম্পিউটার শিখতে পারবেন।
কম্পিউটার এক্সপার্ট হওয়ার জন্য করনীয়
কম্পিউটার শিখে লোকাল ব্যবসা করে আয় করার উপায় জানার জন্য আপনাকে অবশ্যই কম্পিউটার এক্সপার্ট হতে হবে। প্রতিটি কাজেই শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়। পরিশ্রম ছাড়া কোন কিছুইতে সফলতা নিয়ে আসা সম্ভব নয়। কথায় আছে , "পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি" তাই কম্পিউটার এক্সপার্ট হওয়ার জন্য অবশ্যই পরিশ্রম দিতে হবে।
বিশেষ কিছু মাধ্যম আমাদের অবলম্বন করতে হবে। বর্তমান প্রযুক্তির এই যুগে কম্পিউটার এক্সপার্ট এর মান অনেক শীর্ষে। কম্পিউটার হলো বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার। যত দিন যাচ্ছে ততই কম্পিউটার অভিজ্ঞ লোকদের ডিমান্ড বাড়ছে।
আপনি যদি কম্পিউটার এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে কম্পিউটার শিখার লোকাল ব্যবসা করে আয় করার অপশনও সম্পর্কে জেনে নিন। উন্নত বিশ্বের দিকে তাকালে এটা বোঝা যায় যে , এমন একটা সময় আসবে যে কম্পিউটারের বিকল্প হিসেবে আর কিছুই থাকবে না। কম্পিউটার শিক্ষা ছাড়া কোন চাকরিও করা যাবে না ।
তাই কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্বটা অনেক বেশি। আর তাই একজন ব্যক্তি কম্পিউটার এক্সপার্ট যদি হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। তাই কম্পিউটার এক্সপার্ট হতে হলে প্রথমে আমাদের জানতে হবে কীবোর্ড সম্পর্কে, এরপর মাউসের ব্যবহার সম্পর্কে, কম্পিউটার শিক্ষার প্রায় বেসিক জ্ঞান আয়ত্ত করতে হবে।
এবং টাইপিং স্কিল বাড়াতে হবে। দ্রুত টাইপ করা শিখতে হবে। পাশাপাশি মাইক্রোসফট কিবোর্ড শর্টকাট সম্পর্কে ভালো করে জানতে হবে। কম্পিউটার এক্সপার্ট হতে গেলে বিশেষ করে মাইক্রোসফট ও এডোবির বিভিন্ন সফটওয়্যার এর ব্যবহার জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সেই সাথে ব্যসিক সফটওয়্যার ও বিভিন্ন সফটওয়্যার এর ব্যবহার জানাটা কৌশলগতভাবে অনেক ভালো। এভাবেই একজন সফল কম্পিউটার এক্সপার্ট হওয়া সম্ভব আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।
কম্পিউটার শেখার গুরুত্ব
কম্পিউটার শিখে লোকাল ব্যবসা করে আয় করার উপায় সমূহ এই আর্টিকেল পোস্টেরমধ্যে এবার জানাবো কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব। বর্তমান যুগে তথ্য প্রযুক্তির বিকল্প হিসেবে আর কিছুই ভাবা যায় না। আর তথ্যপ্রযুক্তিতে ব্যবহৃত একটি মাধ্যম হচ্ছে কম্পিউটার। দৈনন্দিন জীবনে বহুল ব্যবহৃত যন্ত্র হচ্ছে কম্পিউটারের ব্যবহার।
প্রায় প্রত্যেকটি কাজে কম্পিউটার নির্ভরশীল হয়ে গিয়েছে। কম্পিউটার না জানলে একসময় চাকরিও পাওয়া সম্ভব হয়ে যাবে। শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যবসা-বাণিজ্য প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই কম্পিউটারের ব্যবহার অপরিসীম। মানুষের প্রায় প্রত্যেকটি কাজ কম্পিউটার নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
তাই বর্তমানে এই সময়ে দাঁড়িয়ে প্রতিটি মানুষকে কম্পিউটার শেখার গুরুত্ব অনেক বাড়িয়ে দিতে হবে। কারণ প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতির সাথে প্রতিটি ব্যক্তির জন্য প্রাথমিক কম্পিউটার দক্ষতা থাকা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
আর কম্পিউটারগুলি শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, বিনোদন, ব্যবসা সহ আধুনিক সময় সমাজগুলি প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কম্পিউটার ব্যবহারের প্রয়োজন অনেক বেশি বলেই কম্পিউটার শেখার গুরুত্ব অনেক বেশি বলে বিবেচিত।
কম্পিউটার শিখে কয়েকটি আয়ের মাধ্যম সমূহ
কম্পিউটার শিখে লোকাল ব্যবসা করে আয় করার উপায় এর পাশাপাশি এবার জানাবো কম্পিউটার শিখে আয় এর কয়েকটি মাধ্যম সমূহ। কম্পিউটার শেখার প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। কম্পিউটারের মাধ্যমে আয়ের মাধ্যম অনেক। তাই আপনাকে জানতে হবে কম্পিউটার শিখে আয়ের মাধ্যম সমূহ।তাই আপনাকে জানাতেই কম্পিউটার শিখে আয় করতে পারবেন এরকম কয়েকটি আয়ের মাধ্যম সমূহ নিম্নে উল্লেখিত করা হলো-
১। ডিজিটাল মার্কেটিং
২। গ্রাফিক্স ডিজাইন
৩। এস.ই.ও (SEO)
৪। ব্লগিং
৫। ওয়েব ডিজাইন
৬। অ্যান্ড্রয়েড এপ্স ডেভেলপমেন্ট
৭। ডাটা এন্ট্রি
৮। অনলাইন থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করা
৯। ওয়েব ডিজাইন শিখে ফ্রিল্যান্সিং করা
১০। কম্পিউটার শিখে লোকাল ব্যবসা করা ইত্যাদি
লেখকের শেষ মন্তব্য
কম্পিউটার শিখে লোকাল ব্যবসা করে আয় করার উপায় জেনে নিন। এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি কম্পিউটার শিখে লোকাল ব্যবসা করে আয় করার উপায় সম্পর্কে ধারণা পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
আশা করছি, আপনি কম্পিউটার শিখে লোকাল ব্যবসা করে আয় করার উপায় সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনেছেন। এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল যদি আপনি নিয়মিত জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন।
সবশেষে বলব, এই আর্টিকেল পোস্টটি আপনার কেমন লেগেছে মন্তব্য করে জানাবেন। আপনার পরিচিত আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করে দেবেন। ধন্যবাদ !
ডিজিটাল মার্কেটিং আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্টে রিভিউ করা হয়।
comment url