বাংলাদেশে প্রচলিত কয়েকটি শ্রেণীর উৎসব গুলো কি কি ? এমন ৪টি শ্রেণীর উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
প্রিয় পাঠক, আপনাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল পোস্টে থাকছে বাংলাদেশে প্রচলিত কয়েকটি শ্রেণীর উৎসব গুলো কি কি ? এমন ৪টি শ্রেণীর উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত। অনেকেই আছে যারা এই বিষয় সম্পর্কে জানতে আগ্রহি। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে বাংলাদেশে প্রচলিত কয়েকটি শ্রেণীর উৎসব গুলো কি কি ? এমন ৪টি শ্রেণীর উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
আপনি যদি আমাদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত থাকেন তাহলে, বাংলাদেশে প্রচলিত কয়েকটি শ্রেণীর উৎসব গুলো কি কি ? এমন ৪টি শ্রেণীর উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আপনি এই আর্টিকেল পোস্টটি সম্পূর্ণ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আশা করছি, আপনি বাংলাদেশের কয়েকটি শ্রেণীর উৎসব সম্পর্কে একটি ভাল ধারণা পেয়ে যাবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ বাংলাদেশে প্রচলিত কয়েকটি শ্রেণীর উৎসব গুলো কি কি ? এমন ৪টি শ্রেণীর উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
- বাংলাদেশে প্রচলিত কয়েকটি শ্রেণীর উৎসব গুলো কি কি ? এমন ৪টি শ্রেণীর উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
- উৎসব কি?
- উৎসবের প্রকারভেদ
- ধর্মীয় উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত
- সামাজিক উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত
- জাতীয় উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত
- সাংস্কৃতিক উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত
- উৎসবের গুরুত্ব
- উৎসবের তাৎপর্য
- উৎসবের রূপ রূপান্তর
- নানা ধরনের উৎসব
- উৎসবের উপযোগিতা
- লেখকের শেষ মতামত
বাংলাদেশে প্রচলিত কয়েকটি শ্রেণীর উৎসব গুলো কি কি ? এমন ৪টি শ্রেণীর উৎসব সম্পর্কে জেনে নিন
মানুষ উৎসব করে। মানুষ সেদিন উৎসব করে যেদিন নিজের মনুষ্যত্বের শক্তি বিশেষভাবে স্মরণ করে বা বিশেষভাবে উপলব্ধি করে। প্রতিদিন মানুষ ক্ষুদ্র দিন একাকী কিন্তু উৎসবের দিনে মানুষ বৃহৎ।বাংলাদেশে ঋতুর বর্ণময় আত্মপ্রকাশের রঙ্গমঞ্চে বাঙালি অনেক উৎসব পালন করে থাকে।
তাই বাংলাদেশে প্রচলিত কয়েকটি শ্রেণীর উৎসব গুলো কি কি ? এমন ৪টি শ্রেণীর উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে আজকের এই আর্টিকেল পোস্ট। বাঙালি জাতি ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক জীবনে অনেক উৎসব পালন করে থাকে। ভিন্ন ভিন্ন ঋতুরূপ বৈচিত্রের বাংলাদেশ যেমন সৌন্দর্যময় তেমনি ভিন্ন ভিন্ন উৎসবে এদেশ আনন্দময় ও মুখরিত।
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন উৎসবে মেতে উঠে। এদেশের মানুষ তাই এদেশকে বলা হয় উৎসবের দেশ। উৎসব শুধুমাত্র মানুষের মনে আনন্দ সঞ্চয় করে না। বিভিন্ন উৎসবের মধ্য দিয়ে দেশের সামগ্রিক চিত্রটিও ফুটে উঠে। আমাদের দেশে পালিত বিভিন্ন উৎসব আমাদের সংস্কৃতি ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক হিসেবে পরিচিত।
উৎসব এর মধ্য দিয়ে মানুষ তার দৈনন্দিন জীবনের সংকীর্ণ গন্ডি থেকে মিলনের বৃহত্তর ক্ষেত্রে উত্তীর্ণ হয়ে থাকে। প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততা মানুষের জীবনকে করে তোলে ক্লান্ত-শ্রান্ত। এ কর্মব্যস্ত জীবন শেষে মানুষ একটু আনন্দ ও একটু স্বস্তি চাই। বিভিন্ন উৎসব মানুষের জীবনে এই আনন্দের বাণী নিয়ে আসে।
উৎসব কি?
আমাদের বাংলাদেশে প্রায় প্রতি মাসে কোন না কোন উৎসব পালিত হয়ে থাকে। তাই বাংলাদেশে প্রচলিত কয়েকটি শ্রেণীর উৎসব গুলো কি কি ? এমন ৪টি শ্রেণীর উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। এই আর্টিকেল পোস্টটির মধ্যে এ দেশের উৎসবগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
উৎসব বলতে এক কথায় আনন্দময় অনুষ্ঠানকে বোঝায়। আমাদের জীবনে উৎসবের মাধ্যমেই আমরা আনন্দ প্রকাশ করে থাকি। আবার উৎসবের মাধ্যমে আমাদের জীবনে আনন্দ লাভ করে থাকি।পারিবারিক, সামাজিক, এবং সাম্প্রদায়িক ভাবে সকলের সম্মিলনে সুখ বা আনন্দ লাভের উপায় হল উৎসব।
অর্থাৎ উৎসব সকলকে আনন্দ দিয়ে থাকে। ইংরেজি "Festival" কথাটির বাংলা অর্থ হলো উৎসব। "Festival" কথাটি ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয় ফেস্টিভাল কথাটি ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজের সাথে সম্পৃক্ত।
উৎসবের প্রকারভেদ
বাংলাদেশে প্রচলিত কয়েকটি শ্রেণীর উৎসব গুলো কি কি ? এমন ৪টি শ্রেণীর উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই আর্টিকেল পোস্টে। এবার আলোচনা করব বাংলাদেশের উৎসবের প্রকারভেদ সম্পর্কে। বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের উৎসবের প্রচলন রয়েছে। এই উৎসবগুলো বাঙালির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
বাংলাদেশের উৎসবগুলোকে প্রধানত কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যেমন-
১। ধর্মীয়
২।সামাজিক
৩।জাতীয়
৪।সাংস্কৃতিক
ধর্মীয় উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত
উৎসব মুখরিত বাংলাদেশে প্রচলিত কয়েকটি শ্রেণীর উৎসব গুলো কি কি ? এমন ৪টি শ্রেণীর উৎসব সম্পর্কের মধ্যে এক শ্রেণীর উৎসব সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। এই এক শ্রেণীর উৎসবের বিষয়টি হল ধর্মীয় উৎসব। সাধারণত ধর্মীয় উৎসবগুলো এক একটি ধর্মীয় বিশ্বাস ও ভাবনাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব গুলোর মধ্যে রয়েছে- ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা, ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী ও মহরম। হিন্দুদের দুর্গাপূজা, কালী পূজা, সরস্বতী পূজা। বৌদ্ধদের বুদ্ধ পূর্ণিমা। খ্রিস্টানদের বড়দিন প্রভৃতি প্রধান ধর্মীয় উৎসব।
ঈদঃ ঈদ হল মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ আসে আনন্দ ও মিলনের বার্তা নিয়ে। মানুষ ভুলে যায় হিংসা-বিদ্বেষ, দুঃখ-বেদনা এবং একে অপরের সাথে খুশিতে মেতে ওঠে। ঈদ বছরে দুই বার আসে। প্রথমে আসে ঈদুল ফিতর এবং পরে ঈদুল আযহা। রমজান মাসে মুসলমান গণ রোজা রাখে।
আরবি রমজান মাস মুসলমানদের সিয়াম বা সংযম ও সাধনার মাস। এই মাসে মুসলমান ব্যক্তিরা আল্লাহর কাছে মাগফিরাত কামনা করে থাকে। রমজান মাসের চাঁদের প্রথম দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত রোজা রাখার পর ঈদের চাঁদ দেখা গেলে শাওয়াল মাসের পহেলা তারিখে মুসলমানরা পালন করে ঈদুল ফিতর।
আবার জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখে পালিত হয় ঈদুল আযহা। আত্মত্যাগের ঈদ হল ঈদ -উল- আযহা।এই দিন কোরবানি করা হয় বলে অনেকে একে কোরবানির ঈদও বলে থাকে। কুরবানীর পশুর গোশত গরিব-দুঃখী ও আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে বিতরণ করা হয়ে থাকে। ঈদের দিন সবাই ভালো পোশাক পড়ে থাকে।
ঈদের নামাজ পড়ার জন্য সবাই ঈদগাহ ময়দানে যায়। নামাজের পর তারা একে অন্যের সাথে কোলাকুলি করে। ঈদের দিনে সবাই একটু ভালো খাবারের আয়োজন করে থাকে। আর এই খাবার নিজেরা খায় এবং আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীদের খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়।
মহরমঃ বাংলাদেশে প্রচলিত কয়েকটি শ্রেণীর উৎসব গুলো কি কি ? এমন ৪টি শ্রেণীর উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার মধ্যে এবার জেনে নিন মহরম সম্পর্কে। মহরম মাস আরবি বছরের প্রথম মাস। অর্থাৎ মহরম মাস হিজরী সনের প্রথম মাসের নাম। মহরম একটি বিষাদময় ভাব-গম্ভীর উৎসব।
এ মাসের ১০ তারিখে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর দৌহিত্র ইমাম হোসেন কারবালা প্রান্তরে এজিদের সৈন্যদের হাতে নির্মমভাবে সপরিবারে শহীদ হন। এই শোকাবহ ঘটনার স্মৃতি উদযাপনকে মহরম বলা হয়ে থাকে।
শবে-ই-বরাতঃ প্রতি বছর হিজরী সনের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে শবে বরাত পালন করা হয়। শবে-ই বরাত অর্থ সৌভাগ্য রজনী। অর্থাৎ ভাগ্য বদলের রাত। মুসলমান সমাজের একটি বড় ধর্মীয় উৎসব হিসেবে পালিত হয় শবে-ই বরাত।
শবে-ই বরাত এর রাতে মহান আল্লাহতালা তার অসংখ্য বান্দাদের অপরাধ ক্ষমা করেন এবং আগামী বছরের সৌভাগ্য নির্ধারণ করে থাকে। বান্দা গণ মহান আল্লাহতালার পক্ষ থেকে কল্যাণ লাভ করে থাকে।
তাই শবে বরাতের দিন মুসলমানরা এবাদত বন্দেগীতে লিপ্ত হয়। নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। দান খয়রাত ও নামাজ এই উৎসবের মূল বিষয়। আবেগ, উচ্ছ্বাস, আনন্দ নয় সাধনায় শবে বরাতের মূল কথা।
ঈদ-ই-মিলাদুন্নবীঃ বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর জন্মদিন উপলক্ষে প্রতি বছর ১২ই রবিউল আউয়াল তারিখটি ঈদ এ মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করা হয়। মিলাদুন্নবী শব্দের অর্থ হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জন্ম। তাই ঈদ-ই- মিলাদুন্নবী শব্দের অর্থ মহানবীর জন্মের খুশি।
দুর্গাপূজাঃ বাংলাদেশে প্রচলিত কয়েকটি শ্রেণীর উৎসব গুলো কি কি ? এমন ৪টি শ্রেণীর উৎসব সম্পর্কের মধ্যে দুর্গাপূজা লিপিবদ্ধ রয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হলো দুর্গাপূজা। শরৎকালে এ পূজা হয়। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী এই তিন দিন দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। তবে সপ্তমী এর আগে ষষ্ঠীর দিন যে উৎসব হয় তাকে বলা হয় বোধন। আর নবমীর পরদিন দশমীর উৎসবকে বলা হয় বিজয় দশমী।
বোধন থেকে বিসর্জনের এক অনন্য রূপ বাঙালি হিন্দুদের জীবনকে আন্দোলন করে। সপ্তমীর দিনে শুরু হয় দুর্গাপূজা। তবে অষ্টমীর দিন ধুমধাম আর আনন্দ সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। রাতে দেবীর উদ্দেশ্যে আরতি হয় অষ্টমী আর নবমীর সন্ধিক্ষণে যে পূজা হয় তাকে সন্ধি পূজা বলা হয়ে থাকে। দশমীর দিন নদীর জলে দেবীর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় দুর্গাপূজা।
কিন্তু এ বিদায় চিরকালের নয়। বাঙালি হিন্দুরা দেবীকে বিসর্জন দিতে গিয়ে দেবীর জন্য প্রতিবছর এই মাতৃরূপ নিয়ে এসে সকলের জন্য মঙ্গলবার্তা বয়ে আনেন এ প্রার্থনা করেন। দুর্গাপূজা শক্তি, সাম্য ও মৈত্রী এ তিনটি আদর্শ বাঙালি হিন্দুদের জীবনে স্থাপন করে।
রথযাত্রাঃ বাংলাদেশের হিন্দু সমাজের আরেকটি বড় ধর্মীয় উৎসব হলো রথযাত্রা। রথযাত্রা জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা থেকে শুরু হয়। এ যাত্রায় রথে করে জগন্নাথ দেবের প্রতিমা স্নানের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। অগণিত ভক্তরা রথের পিছু পিছু যাই। এই রথযাত্রা শেষ হয় উল্টো রথে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই রথযাত্রার উৎসবটি পালিত হয়ে থাকে। এ উৎসবগুলো ছাড়াও হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা আরো অনেক উৎসব রয়েছে যেমন- লক্ষী পূজা, সরস্বতী পূজা, কালী পূজা, চৈত্র-সংক্রান্তি, জন্মাষ্টমী ইত্যাদি।
বুদ্ধ পূর্ণিমাঃ বুদ্ধ পূর্ণিমা বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব হিসেবে পালিত হয়। বুদ্ধ পূর্ণিমার অন্য নাম বৈশাখী পূর্ণিমা। গৌতম বুদ্ধের বোধি লাভের পূণ্য স্মৃতি বিজড়িত বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনটি বুদ্ধদেবের বাণী স্মরণে এই উৎসবের সূচনা হয়ে থাকে।
বড়দিনঃ বাংলাদেশে খ্রিস্টানদের একটি উৎসবের নাম হলো বড়দিন। বাংলাদেশের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা পালন করে থাকে বড়দিন এই উৎসবটি। যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে খ্রিস্টানরা বড়দিনের উৎসব পালন করে থাকে। প্রত্যেক বছর খ্রিস্টানরা ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনের উৎসব পালন করে থাকে।
সামাজিক উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত
বাংলাদেশ উৎসব পার্বণের দেশ বলে পরিচিত ফলে এদেশের নানা ধরনের সামাজিক উৎসব রয়েছে এগুলোর মধ্যে বাংলা নববর্ষ, হালখাতা, বিবাহ, ভাইফোঁটা, পৌষ পার্বণ, অন্নপ্রাশন, খৎনা, জন্মদিন, নবান্ন, শ্রাদ্ধ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
বাংলা নববর্ষঃ বাংলাদেশে প্রচলিত কয়েকটি শ্রেণীর উৎসব গুলো কি কি ? এমন ৪টি শ্রেণীর উৎসব সম্পর্কের মধ্যে একটি প্রধান সামাজিক উৎসব হিসেবে পরিচিত হলো বাংলা নববর্ষ। পুরনো দিনের দুঃখ- বেদনা, ক্লান্তি, গ্লানি ভুলে নতুন বছরকে বরণ করার উৎসব বাংলা নববর্ষ নামে পরিচিত। বাংলা নববর্ষ আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বাহক।
বাংলা নববর্ষের এই দিনটি বাঙালির জাতির জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলা নববর্ষ বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে পালিত হয়। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে মেলার আয়োজন করা হয়। ব্যবসায়ীরা এদিনে নতুন হিসেবের খাতা খুলে এবং বাকি বকেয়া খাতায় যাদের নাম আছে তাদের আমন্ত্রণ করে-
বাকি পরিষদের জন্য। তাদের জন্য মিষ্টিমুখের ব্যবস্থা করে থাকে, এটি হালখাতা নামে পরিচিত। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদ থেকে বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। রমনায় সারাদিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে মেলা বসে থাকে।
নবান্নঃ নবান্ন হলো নতুন ধানের উৎসব। এ সময় বাংলার প্রতিটি ঘরে নতুন ধান উঠে। হেমন্তকালে ঘরে ঘরে নতুন ধান উঠার উৎসবকেই নবান্নের উৎসব বলা হয়ে থাকে। এসময় গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে পিঠা-পুলি তৈরির ধুম পড়ে যায়। নতুন ধানের চাল দিয়ে তৈরি হয় হরেক রকম পিঠা-পুলি আর এই পিঠাপুলির উৎসবকে বলা হয় নবান্নের উৎসব
পৌষ পার্বণঃ পৌষ পার্বণ হলো- পিঠা-পুলির উৎসব। পৌষ মাসে এ দেশের ঘরে ঘরে পিঠা তৈরি হয়। ভাপা পিঠা, চিতা পিঠা, নারকেল পিঠা, দুধ পুলি, পাটিসাপটা ইত্যাদি। গ্রাম বাংলার মানুষের জীবন পিঠা খাওয়ার উৎসবে মেতে ওঠে।
জাতীয় উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত
বাংলাদেশে প্রচলিত কয়েকটি শ্রেণীর উৎসব গুলো কি কি ? এমন ৪টি শ্রেণীর উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা মধ্যে আরেকটি শ্রেণি চলে আসে। সেটি হলো জাতীয় উৎসব। আর এখন জাতীয় উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। উৎসব কেবল লোকাচারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। আমাদের দেশে এমন কিছু উৎসব রয়েছে যেগুলো কোন ধর্মকেন্দ্রিক সম্প্রদায় পরিবার প্রভৃতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।
এগুলো সকল ধর্মের সকল শ্রেণীর মানুষের উৎসব। এ সর্বজনীন উৎসবগুলো আমাদের কাছে জাতীয় উৎসব হিসেবে পরিচিত। জাতীয় উৎসব এর মধ্যে রয়েছে- একুশে ফেব্রুয়ারি বা শহীদ দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, বুদ্ধিজীবী দিবস প্রভৃতি। উৎসব গুলো আমরা রাষ্ট্রীয় মর্যাদার সাথে সামাজিকভাবে পালন করে থাকি।
একুশে ফেব্রুয়ারিঃ একুশে ফেব্রুয়ারি বা শহীদ দিবস আমাদের কাছে শোকের প্রতীক হিসেবে পরিচিত। ১৯৫২ সালে একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে শহীদ হন রফিক, সালাম, বরকত, জব্বার, শফিউর সহ অনেকে। তাদের স্মৃতিকে স্মরণ করেই এই দিনটি পালন করা হয়ে থাকে।
এবং তাদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আমরা এ দিনটিকে উৎসবের মধ্য দিয়ে পালন করি। শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এছাড়াও একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে বিভিন্ন আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
স্বাধীনতা দিবসঃ ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনারা বাঙ্গালীদের ওপর সশস্ত্র হামলা করে। অসংখ্য ব্যক্তিকে হত্যা করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাঙ্গালীদের নিশ্চিহ্ন করা।
কিন্তু বঙ্গবন্ধু ২৬শে মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতা ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেন। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষেও বিভিন্ন জায়গায় নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে।
বিজয় দিবসঃ দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর এই দিনটিকে আমরা বিজয় দিবস হিসেবে পালন করে থাকি। বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশের সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়।
বিজয়ের আনন্দে মেতে ওঠে সারা বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এবং দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বুদ্ধিজীবী দিবসঃ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা লগ্ন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্ন পর্যন্ত বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়। বিশেষ করে রাজাকার, আল বদর বাহিনী শেষ লগ্নে ১৪ই ডিসেম্বর বহু সাহিত্যিক লেখক কে রায়ের বাজারে হত্যা করে। এ বিষন্ন স্মৃতি ১৪ই ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালিত হয়।
সাংস্কৃতিক উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত
বাঙালি সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্য অনেক দিনের পুরনো। তবে এর আধুনিকায়নও ঘটেছে। আধুনিককালে এর পরিসর আরো অনেক বেড়েছে। বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক উৎসব গুলোর মধ্যে রয়েছে যাত্রা, খেলাধুলা, নাটক, সার্কাস, বিভিন্ন ধরনের মেলা, বর্ষবরণ, সঙ্গীতা অনুষ্ঠান, বইমেলা, রবীন্দ্রজয়ন্তী, নজরুল জয়ন্তী ইত্যাদি।
বাংলাদেশে প্রচলিত কয়েকটি শ্রেণীর উৎসব গুলো কি কি ? এমন ৪টি শ্রেণীর উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার মধ্যে সাংস্কৃতিক উৎসবের কিছু অংশ নিম্নে আলোচিত হলো-
বইমেলাঃ সারা বছরের পূর্ব প্রকাশিত সৃজনশীল গ্রন্থ নিয়ে বইমেলার উৎসব উদযাপিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম মেলা হচ্ছে বইমেলা। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বইমেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বইমেলা হিসেবে পরিচিত হলো ঢাকার বাংলা একাডেমির একুশে বইমেলা।
এই বইমেলাটি পুরো ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে স্থায়ী হয়ে থাকে। এই বইমেলাতে অনেক নতুন লেখক এবং নতুন বই প্রকাশিত হয়ে থাকে। একই সাথে পুরনো বইয়ের দেখা মেলে। প্রতিদিন হাজারো মানুষের ভিড় জমে এই বই মেলাতে। বর্তমানে একুশে বইমেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।
নজরুল-জয়ন্তীঃ বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উদযাপনকে বলা হয় নজরুল-জয়ন্তী। গান, নাচ, কবিতা আবৃত্তি, আলোচনা সহ বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই উৎসব পালিত হয়। ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার সাথে জড়িয়ে আছে জাতীয় কবি নজরুলের স্মৃতি। প্রতিবছর এখানে কয়েকদিন ব্যাপী নজরুল-জয়ন্তী উৎসব উদযাপিত হয়ে থাকে।
রবীন্দ্র জয়ন্তীঃ রবীন্দ্রজয়ন্তী হল নজরুল জয়ন্তীর ন্যায় কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী বলা হয়। রবীন্দ্রজয়ন্তী বহু আলোচনা সভা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নাটকের মাধ্যমে কবিগুরুকে স্মরণ করা হয়। এগুলো ছাড়াও নববর্ষ উপলক্ষে বৈশাখী মেলা সার্কাস প্রভৃতির আয়োজন করা হয়।
এগুলোও সংস্কৃতি উৎসব। এক সময় গ্রামেগঞ্জে যাত্রাপালার খুব প্রচলন ছিল। এখনো বাংলাদেশের কোন কোন গ্রাম অঞ্চলে যাত্রা পালা জনপ্রিয়তার শীর্ষে। ফেডারেশন কাপ ফুটবল লিগ প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ প্রভৃতি খেলাধুলা শুরু হলে রাজধানী ঢাকা শহরে উৎসবের সাড়া পড়ে যায়।
উৎসবের গুরুত্ব
বাংলাদেশে প্রচলিত কয়েকটি শ্রেণীর উৎসব গুলো কি কি ? এমন ৪টি শ্রেণীর উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পাশাপাশি আপনাদের জেনে রাখা উচিত উৎসবের গুরুত্ব সম্পর্কে। প্রতিটি মানুষের জীবনে উৎসবের তাৎপর্য অত্যন্ত গভীর ও ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে রয়েছে। আমরা বাঙালি জাতি হিসেবে স্বাধীন। আমাদের রয়েছে নিজস্ব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি।
উৎসবের মধ্য দিয়েই ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি সুস্পষ্ট পরিচয় পাওয়া যায়। উৎসবের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয় আমাদের আত্মপরিচয়। উৎসবের মধ্যে কোন দুঃখ ব্যথা গ্লানি থাকে না। তাই উৎসব মানুষের শক্তি সাম্য মৈত্রের বিষয়কে স্থাপন করে সবকিছুর ঊর্ধ্বে। আনন্দমুখর উৎসব প্রাঙ্গণে মানুষের সাথে মানুষের কোন ভেদাভেদ থাকে না।
উৎসব ছাড়া সকল শ্রেণীর মানুষের মিলন মেলার চিত্র কল্পনায় করা যায় না। গ্রামবাংলায় যখন উৎসব হয় তখন সমস্ত গ্রাম যেন উৎসবের আনন্দে একাকার হয়ে যায়। অসম্প্রদায়িকতায় প্রতিষ্ঠায় উৎসবের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ এক সম্প্রদায়ের মানুষ অন্য সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসবে অংশগ্রহণ করে। এতে করে মানুষ সাম্প্রদায়িকতার ক্ষুদ্র গণ্ডি থেকে মুক্তি লাভ করে।
এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের পারস্পরিক প্রীতি ও সৌহার্দপূর্ণ ভালবাসায় আবদ্ধ হয়ে যায়। তাদের সামাজিক বন্ধন আরো দীর্ঘ হয়। অন্যদিকে জাতীয় উৎসবগুলো আমাদের দেশপ্রেমকে জাগ্রত করে।
স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসের উৎসব আমাদের দেশপ্রেমিক সত্তাকে যেমন জাগ্রত করে, তেমনি আমাদের নতুন করে দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখায়। এসব কারণে উৎসবের গুরুত্ব অনেক বলে মনে করি।
উৎসবের তাৎপর্য
দৈনন্দিন জীবন সংগ্রামে অবস্থিত মানুষের প্রাণশক্তি যখন শুকিয়ে যায়, অসহনীয় হয়ে ওঠে তখন উৎসবের আয়োজন মনে আনে ফুর্তি, মুক্তি, আনন্দ। এভাবে মানুষের মনে সৃষ্টি করে নতুন কর্ম প্রেরণা।
মানুষের জীবনে ব্যক্তিগত ক্ষুদ্রতা, হীনতা, তুচ্ছতা ছাপিয়ে ও গ্লানি কাটিয়ে উদার প্রাণের সঞ্চার হয়।পারিবারিক ধর্ম, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক উৎসবে মানুষে মানুষের বন্ধন সৃষ্টি হয়। অতএব উৎসবের মধ্য দিয়েই ফুটে ওঠে জাতীয় সংস্কৃতির বৃহত্তর ও ব্যাপক রূপ।
উৎসবের রূপ রূপান্তর
আদিম অরণ্যক জীবন থেকেই মানুষ উৎসব প্রবন। তখন যৌথ উদ্যোগে পশু শিকার শেষে সম্মিলিতভাবে সান্ধ্য উৎসব হত। আগুন জেলে, নেচে-গেয়ে ভোজে মিলিত হয়ে। সভ্যতার রূপ রূপান্তরের সঙ্গে সঙ্গে উৎসবেরও ঘটেছে নানা রূপান্তর, স্থান ও কালের পটভূমিতে এসেছে নানা বৈচিত্র্য।
নানা ধরনের উৎসব
বাংলাদেশে প্রচলিত কয়েকটি শ্রেণীর উৎসব গুলো কি কি ? এমন ৪টি শ্রেণীর উৎসব সম্পর্কে জানার পাশাপাশি আপনারা আরো নানা ধরনের উৎসব সম্পর্কে জেনে নিন। প্রকৃতি, পরিবেশ, ধর্ম ও জীবনধারার বৈচিত্র্যের প্রেক্ষাপটে উৎসবেও দেখা যায় নানা বৈচিত্র। প্রচলিত উৎসবগুলোকে মোটামুটি পাঁচটি ভাগে ভাগ করা যায়ঃ-
১। ধর্মীয় উৎসব
২। পারিবারিক উৎসব
৩। ঋতু উৎসব
৪। জাতীয় উৎসব
৫। আন্তর্জাতিক উৎসব
ঈদ, দুর্গাপূজ, বড়দিন, বুদ্ধপূর্ণিমা, ইত্যাদি ধর্মীয় উৎসব। জন্মদিন, বিয়ে ইত্যাদি পারিবারিক উৎসব। বর্ষবরণ, বসন্ত উৎসব ইত্যাদি ঋতু উৎসব। শহীদ দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস ইত্যাদি জাতীয় উৎসব। আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, অলিম্পিক, বিশ্ব যুব উৎসব ইত্যাদি আন্তর্জাতিক উৎসব।
উৎসবের উপযোগিতা
উৎসব কেবল মানব সম্মিলনের আনন্দ দেয় না, প্রাণের স্ফুরণ ঘটিয়ে শারীরিক ও মানসিক শক্তিকে সতেজ রাখে, দেয় নব কর্ম প্রেরণা। উৎসবকে কেন্দ্র করে মানুষের সৃজনশীলতারও নানা প্রকাশ ঘটে। রচিত হয় সংগীত, নৃত্য, চিত্রকল, স্থাপত্য, ভাস্কর্য, চলচ্চিত্রের কতনা সম্ভার।
উৎসবের অর্থনৈতিক উপযোগিতা কম নয়। উৎসবকে কেন্দ্র করে যে ব্যাপক অর্থনৈতিক তৎপরতা চলে তাতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অনেক পেশার মানুষ উপকৃত হয়।
লেখকের শেষ মতামত
বাংলাদেশে প্রচলিত কয়েকটি শ্রেণীর উৎসব গুলো কি কি ? এমন ৪টি শ্রেণীর উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। আপনাদেরকে বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের উৎসব সম্পর্কে জানাতেই মূলত আমার আজকের এই আর্টিকেল পোস্ট। তাহলে অবশ্যই আপনাকে আমাদের এই আর্টিকেল পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
আশা করছি, আপনি বাংলাদেশে প্রচলিত কয়েকটি শ্রেণীর উৎসব গুলো কি কি ? এমন ৪টি শ্রেণীর উৎসব সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনেছেন। এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল যদি আপনি নিয়মিত জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন।
সবশেষে বলব, এই আর্টিকেল পোস্টটি আপনার কেমন লেগেছে মন্তব্য করে জানাবেন। আপনার পরিচিত আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করে দেবেন। ধন্যবাদ !
ডিজিটাল মার্কেটিং আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্টে রিভিউ করা হয়।
comment url