কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও সমাধান সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আজকের আর্টিকেলের বিষয় কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও সমাধান সমূহ সম্পর্কে। এই বিষয়টি সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী। তাই এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আমরা অনেকেই আছি যারা কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও সমাধান সমূহ সম্পর্কে জানতে চাই। তাই আপনাদের কম্পিউটারের সমস্যা ও সমাধান সম্পর্কে জানাবো আজকের এই আর্টিকেল।
পোস্ট সূচিপত্রঃ কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও সমাধান সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
- কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও সমাধান সমূহ সম্পর্কে জেনে নিন
- কম্পিউটারের গতি কমে যাওয়ার কারণ
- কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর উপায়
- কম্পিউটার অটো বন্ধ হয় আবার চালু হয় এর সমাধান
- মাউস কাজ না করলে করণীয়
- মাউস সঠিক কাজ না করলে করণীয়
- মাউসের পয়েন্টার লাফিয়ে চললে করণীয়
- মাউসে রিফ্রেস মেনু কাজ না করলে করণীয়
- মাউসের স্ক্রুুলার কাজ না করলে করণীয়
- কম্পিউটার চলে কিন্তু মনিটরে ছবি না আসলে করণীয়
- মনিটরের ছবি ঝাপসা দেখালে বা কাপলে করণীয়
- মনিটরে অস্পষ্ট কালার ও প্যাটার্ন এর সমাধান কি
- কম্পিউটার কিবোর্ড কাজ না করলে করণীয়
- লেখকের শেষ মন্তব্য
কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও সমাধান সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও সমাধান সমূহ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো সম্পূর্ণ পোস্টের মধ্যে। আমাদের প্রতিদিনের জীবনে কম্পিউটারের ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কম্পিউটারের আভিধানিক অর্থ গণনাকারী যন্ত্র হয়ে থাকলেও এর কার্য বিশেষভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে। শুধুমাত্র কম্পিউটার গণনার কাজে সীমাবদ্ধ নয়।
চাকরি, ব্যবসা, শিক্ষা যে কোন পেশায় কম্পিউটার ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে। নিত্য প্রয়োজনের ব্যবহারের এই যন্ত্রটিতে মাঝের মধ্যে সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বাসা বাড়ি অথবা অফিসে যে কোন জায়গায় কম্পিউটারের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর এই সমস্যার কারণে মানুষকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
কম্পিউটারের সমস্যাগুলো বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে, আর এই সমস্যাগুলো সম্পর্কে যদি ধারণা থাকে তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে সারিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়। তাই এই সমস্যার সম্বন্ধে প্রত্যেকেরই ধারণা জেনে রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আমরা অনেক সময় কম্পিউটার ব্যবহার চলাকালীন কম্পিউটারের নানা রকমের সমস্যায় পড়ে থাকি।
যেমন কম্পিউটার স্লো কাজ করে, গতি কমে যায়, কম্পিউটার অটো বন্ধ হয় আবার চালু হয়, মাউস কাজ করে না, কিবোর্ড কাজ করে না, মনিটরে ছবি আসে না ছবি ঝাপসা, মনিটরের অস্পষ্ট কালার ইত্যাদি সমস্যায় পড়ে থাকি।
কম্পিউটারের যেমন সমস্যা আছে তেমন তার সমাধানও আছে। তাই আজকে এই আর্টিকেল পোস্টে জানবো কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও সমাধান সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত।
কম্পিউটারের গতি কমে যাওয়ার কারণ
কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও সমাধান সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন এই আর্টিকেল পোস্টে। চলুন এবার আপনাদের জানাবো কম্পিউটারের গতি কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে। কম্পিউটারের স্লো কাজ করার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। তার মধ্যে বিশেষ কিছু সমস্যার কারণ সমূহ হলো।
কম্পিউটারে ভাইরাসের আক্রমণ হতে পারে। পর্যাপ্ত স্পেস খালি না থাকার কারণে, অনেক বেশি প্রোগ্রাম সফটওয়্যার ইত্যাদির কারণেও হয়ে থাকতে পারে। আবার ধুলোবালির কারণে কম্পিউটার শ্লো কাজ করতে পারে।
এছাড়াও ভারী কোন সফটওয়্যার ইন্সটল করলে এবং কম্পিউটারে অনেক অপ্রয়োজনীয় ফাইল হার্ডডিক্স এ জমা হয়ে থাকলেও এই সমস্যাটি হতে পারে। এবার জানব কম্পিউটারের এই সকল সমস্যার সমাধান সম্পর্কে।
কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর উপায়
বর্তমান সময়ে মানব জীবনের নিত্য প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস হল কম্পিউটার। প্রত্যেকদিন আমরা নানা প্রয়োজনে কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকি। নতুন অবস্থায় কম্পিউটার অনেক দ্রুত কাজ করে। কিন্তু পুরানো হয়ে গেলে কম্পিউটার শ্লো কাজ করে। আবার কখনো কখনো কম্পিউটার হ্যাং কাজ করে।
এতে করে আমাদের কিছুদিন পরপর নতুন উইন্ডোজ দিতে হয়। যে কারণে অনেক সময় ও শ্রম অপচয় হয়ে থাকে। তাই আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও সমাধান সমূহ সম্পর্কে। কম্পিউটারে অপ্রয়োজনীয় ফাইল থাকার কারণে কম্পিউটার স্লো কাজ করে থাকে।
আর এই অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলো ডিলিট করার মাধ্যমে হার্ডডিস্কের ফ্রি স্পেস বৃদ্ধি পায় ফলে কম্পিউটারের গতি বেড়ে যায়। আর এ ফাইলগুলো ডিলিট করার জন্য আপনাকে যা করতে হবে সর্বপ্রথম Start মেনু থেকে Windows Key+R প্রেস করুন। Run ডায়ালগ বক্স ওপেন করুন এরপরে Temp নামে একটি উইন্ডোজ ওপেন হবে এতে প্রদর্শিত সব ফাইল ডিলিট করতে হবে।
এছাড়াও আপনার কম্পিউটার অন করার সাথে সাথে যদি অনেকগুলো প্রোগ্রাম চালু হয় সেগুলোর কারণেও কম্পিউটারের স্টার্ট আপ টাইম বেশি লাগে। তাই সর্বপ্রথম স্টাট আপ মেনুতে কোন কোন প্রোগ্রাম রয়েছে সেটি দেখার জন্য Run এ ক্লিক করুন অথবা শর্টকাট কি Windows Key+R প্রেস করুন।
এরপরে একটি ডায়লগ বক্স আসবে সেখানকার টেক্সট বক্সে টাইপ করুন 'Configure' এরপরে Ok বাটনে ক্লিক করুন। দেখতে পাবেন System Configuration utility নামের একটি উইন্ডোজ ওপেন হয়েছে। এবার startup ট্যাবে ক্লিক করুন। কম্পিউটার স্টার্ট হওয়ার সময় লোডিং প্রোগ্রামের সব লিস্ট গুলো দেখা যাবে। প্রত্যেকটি লিস্টের পাশে টিক চিহ্ন রয়েছে।
এবার এখান থেকে অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলো আনচেক করে দিন। এক্ষেত্রে এই পদ্ধতির মধ্যে থাকা সকল windows কাজ নাও করতে পারে। এখানে কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও সমাধান সমূহ সম্পর্কের মধ্যে কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর এবং গতি কমার কারণ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়েছেন। এছাড়া আরো অনেক কারণ রয়েছে যেমন-
অতিরিক্ত অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ইন্সটল করা থাকলেও কম্পিউটার শ্লো কাজ করে থাকে। এজন্য যে সকল প্রোগ্রাম আপনি কখনো ব্যবহার করেন না অথবা আগে ব্যবহার করেছেন কিন্তু এখন আর ব্যবহার করতে চাচ্ছেন না এ সকল প্রোগ্রাম সিস্টেমগুলো আনইনস্টল করে দিন।
ফলে কম্পিউটারের সিস্টেম এর ফ্রি স্পেস বেড়ে যাবে এবং গতি বৃদ্ধি পাবে। আর এই অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার গুলো রিমুভ করার জন্য আপনাকে যা করতে হবে। প্রথমেই অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম আনইনস্টল করার জন্য Start মেনু থেকে Control Panel- এ, এরপর Add Or remove programs-এ ক্লিক করুন।
দেখতে পাবেন একটি উইন্ডোজ ওপেন হয়ে গিয়েছে। সেখান থেকে অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম গুলোর নামের ওপর ডবল ক্লিক করে প্রোগ্রাম সিস্টেম থেকে রিমুভ করে দিন। ভাইরাসের কারণে কম্পিউটার স্লো অথবা হ্যাং কাজ করে থাকে তাই ভাইরাস মুক্ত রাখার জন্য উন্নত মানের এন্টিভাইরাস ব্যবহার করতে হবে।
কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও সমাধান সমূহ সম্পর্কে আপনাদের জেনে রাখা উচিত। তাই কম্পিউটারের সমস্যার ও সমাধান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে সম্পূর্ণ পোস্টে। এজন্য কম্পিউটার নিয়মিত ভাবেই স্ক্যান করতে হবে। আর বর্তমান সময়ে বাজারে উন্নত মানের লেটেস্ট এন্টিভাইরাসের ডিস্ক ক্লিন আপ নামের একটি অপশন পাওয়া যায়।
যেটির মাধ্যমে কম্পিউটারের গতি বৃদ্ধি করতে পারবেন। এছাড়াও যখন কোন কম্পিউটার ব্রাউজ করা হয় তখন তা মেমোরির একটি অংশ দখল করে থাকে। পরবর্তীতে অন্য সাইট খুললেও ক্যাশ মেমোরি আগের ওয়েবসাইটটি মনে রাখে যার ফলে কম্পিউটারের গতি কমে যায়।
তাই ব্রাউজিং হিস্ট্রি ডিলিট করে ক্যাশ মেমোরি পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে কম্পিউটারের গতি বাড়ানো যায়। আর এই ব্রাউজিং হিস্ট্রি ডিলিট করার জন্য ব্রাউজারের মেনু থেকে সিলেক্ট করুন History থেকে Show All History Library নামের একটি উইন্ডোজ ওপেন হলে সেখানে প্রদর্শিত সকল ফাইলগুলো ডিলিট করে ক্যাশ মেমোরি ফ্রি রাখুন।
কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর জন্য Ram এর ভূমিকার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কম্পিউটারে উচ্চ গতি সম্পন্ন হওয়ার ক্ষেত্রে র্যামের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। কম্পিউটারের র্যাম যদি কম থেকে থাকে। তাহলে র্যাম বৃদ্ধি করে কম্পিউটারে স্পিড কয়েক গুণ বাড়িয়ে নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অনেকগুলো প্রোগ্রাম একসাথে রান করাতে পারবেন।
এবং সেই সাথে ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের গতি বৃদ্ধি করাতে পারবেন। এছাড়াও কম্পিউটারের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ডাটা গুলো এক জায়গায় এনে পিসির পারফরম্যান্স বা এক্সেস গতি বাড়ানো যায় তাই প্রত্যেক সপ্তাহে অন্তত একবার এ কাজটি করে কম্পিউটার সিস্টেমের গতি বাড়াতে পারেন। এজন্য আপনাকে যা করতে হবে-
Start menu থেকে Accessories >System>Tools>Disk Defragmenter এ ক্লিক করুন। এরপর Defrag উইন্ডোজ ওপেন হবে এতে ড্রাইভ সিলেক্ট করে স্টার্ট বাটনে ক্লিক করলে ডিস্ক Defrag শুরু হয়ে যাবে। কম্পিউটারের হার্ডডিক্সের ড্রাইভ ফুল হয়ে যাওয়ার কারণে কম্পিউটারের গতি কমে যায়।
তাই প্রত্যেক ড্রাইভ ফ্রি ১০ জিবির উপরে খালি রাখুন এতে সিস্টেমের পারফরমেন্স সঠিক থাকবে এবং গতি অনেক বৃদ্ধি পাবে। আশা করছি এতক্ষণে নিশ্চয়ই কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও সমাধান সমূহ সম্পর্কের মধ্যে কম্পিউটারের স্লো কাজ এবং গতি বাড়ানোর বিষয়টি সম্পর্কে সম্পন্ন স্বচ্ছ ধারণা পেয়ে গেছেন।
কম্পিউটার অটো বন্ধ হয় আবার চালু হয় এর সমাধান
কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও সমাধান সমূহ সম্পর্কে এবার জেনে নেওয়া যাক কম্পিউটার অটো বন্ধ এবং চালু হওয়ার কারণ ও সমাধান। কম্পিউটার অটো বন্ধ এবং চালু হয়ে থাকে বিভিন্ন কারণে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ হলো কম্পিউটারের হার্ডওয়ার। কম্পিউটারের অটো রিস্টার্ট হার্ডওয়ারের কারণে বেশি হয়ে থাকে।
তবে কোন কোন সময় আবার সফটওয়্যার এর কারনেও হয়ে থাকে। এছাড়া অনেক সময় কম্পিউটারে অসম্পূর্ণভাবে কোন সফটওয়্যার ইনস্টল করে থাকলেও কম্পিউটার অটো রিস্টার্ট নিয়ে থাকে। আপনার কম্পিউটার কিছুক্ষণ চলার পর যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে কম্পিউটার ওভার হিটিং এর কারণে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
অর্থাৎ প্রসেসর ওভার হিট হচ্ছে, তাই তার তাপ ধারণ ক্ষমতা অতিক্রম করা মাত্রই আর লোড নিতে পারছে না। ফলে ৫ থেকে ১৫ মিনিট পর কম্পিউটার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আবার দেখা যায় পিসি কিছুক্ষণ চলার পর একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। এর দুটি কারণ হতে পারে যেগুলোর মধ্যে রয়েছে-
১। পাওয়ার সাপ্লাই এর সমস্যা হলে
২। কুলিং ফ্যান, কুলিং প্রেস্ত, প্রসেসর হিটিং সমস্যা হলে
পাওয়ার সাপ্লাই এর সমস্যা হলে করণীয়ঃ পাওয়ার সাপ্লাইয়ের সমস্যায় সর্বপ্রথম করণীয় হলো পিসি খুলে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর পাওয়ার সাপ্লাই খুলে তার বিভিন্ন আউটপুট এর ভোল্টেজ পরীক্ষা করে দেখতে হবে। অথবা পাওয়ার সাপ্লাই পরিবর্তন করে কিছুক্ষণ পিসি অন করে রেখে দিতে হবে।
দেখতে হবে যে, ঠিকমতো চলছে কিনা যদি ঠিক হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে পাওয়ার সাপ্লাই এর সমস্যার কারণেই কম্পিউটার অটো বন্ধ এবং চালু হচ্ছিল। তবে পাওয়ার সাপ্লাই পরিবর্তন করার আগে যে কাজটি করতে হবে-প্রসেসরের কুলিং ফ্যান, কুলিং ঠিক আছে কিনা চেক করতে হবে।
কারণ অনেক সময় দেখা যায় কুলিং ফ্যান ঠিকমত কুলিং করছে না, ঘুরছেনা, কুলিং প্রেস্ত শুকিয়ে গেছে, স্পিড কমে গিয়েছে। যার ফলে ওভার হেটিং সমস্যা দেখা দিচ্ছে এবং পিসি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
কুলিং ফ্যান, কুলিং প্রেস্ত, প্রসেসর হিটিং সমস্যা হলেঃ কম্পিউটার পিসি ঠিকমতো কাজ না করার মধ্যে অন্যতম কারণ হলো প্রসেসর কুলিং সিস্টেম। অর্থাৎ প্রসেসরের কুলিং সিস্টেম ঠিক মত কাজ না করা। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় প্রসেসরের কুলিং ফ্যানের ৪ পা এর মধ্যে এক পা কোন কারনে ছিড়ে যায়।
ফলে প্রসেসরের সাথে কুলিং ফ্যানে হিটসিং ঠিকঠাক ভাবে কাজ করে না। এমতাবস্থায় প্রসেসর ওভার হিট হতে থাকে। যার ফলে পিসি অফ হয়ে যায়। আবার কুলিং পেজ তো অনেক সময় থাকে না, শুকিয়ে যায়, যার কারণে পিসি বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও কুলিং ফ্যান অনেক পুরনো হওয়ার কারণে ও স্পিড কমে যায় এবং পিসি ওভার হিট হতে থাকে।
এবং পিসি বন্ধ হয়ে যায় এজন্য আমাদের প্রথমে লক্ষ্য করতে হবে যে, পিসির কুলিং ফ্যান ঠিকঠাক ভাবে লাগানো আছে কিনা, ফ্যানের স্পিড ও কুলিং পেজ ঠিক আছে কিনা। এগুলো ঠিক থাকার পরও যদি সমস্যা থাকে তাহলে পাওয়ার সাপ্লাই পরিবর্তন করে দেখতে হবে। কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও সমাধান সমূহ সম্পর্কে আরো তথ্য নিম্নে আলোচিত হল।
মাউস কাজ না করলে করণীয়
কম্পিউটার মাউসের সাধারণ কিছু সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। সর্বপ্রথম আমাদের উচিত কম্পিউটার রিস্টার্ট করে নেওয়া। কারণ কম্পিউটার রিস্টার্ট করলে কম্পিউটার সমস্যার ৯০% সমাধান হয়ে যায়। এরপর লক্ষ্য করতে হবে মাউসের ব্যাটারি ঠিক আছে কিনা। দরকার হলে মাউসের ব্যাটারি পরিবর্তন করতে হবে।
আপনার মাউসটি যদি ওয়্যারলেস হয়ে থাকে, তাহলে ওয়ারলেস ডিভাইসটি খুলে আবার অন্যপোর্টে দেখতে হবে। আর যদি ইউএসবি বা পি এস টু মাউস হয় তাহলে তা খুলে ভালোভাবে পরিস্কার করে আবার লাগাতে হবে। প্রয়োজনে অন্য মাউস লাগিয়ে দেখতে হবে যে, মাউসের আর অন্য কোন সমস্যা আছে কিনা।
এতেও যদি সমস্যা সমাধান না হয়ে থাকে। তাহলে দেখতে হবে যে মাউসের ইন্সটল সঠিকভাবে হয়েছে কিনা। মাউস লাইন পাচ্ছে কিনা এগুলো চেক করে নিতে হবে। কন্ট্রোল প্যানেল এ প্রবেশ করে ডিভাইস ম্যানেজার থেকে এড নিউ হার্ডওয়ার ব্যবহার করে পুনরায় মাউস ইনস্টল করতে হবে। এখান থেকে কম্পিউটার মাউসের সমস্যা বের করা যাবে।
মাউস সঠিক কাজ না করলে করণীয়
কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও সমাধান সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনায় এবার জেনে নিব মাউস সঠিক কাজ না করলে আমাদের কি করনীয়। মাউসের যদি সঠিক আচরণ বজায় না থাকে মানে মাউস যদি উল্টাপাল্টা কাজ করে থাকে, সঠিক ভাবে কাজ না করে। তাহলে কন্ট্রোল প্যানেল থেকে মাউস পোর্পাটিজ ওপেন করতে হবে।
যেখানে পয়েন্টার, পয়েন্টটার অপশন, হোয়াইল বাটন ইত্যাদি ট্যাব থেকে সেটিং পরিবর্তন করে দেখে নিতে হবে মাউস ঠিকঠাক মত কাজ করছে কিনা এবং কোনটাতে কি কাজ করছে তাহলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
মাউসের পয়েন্টার লাফিয়ে চললে করণীয়
অনেক সময় দেখা যায় মাউস নড়ানোর সময় পয়েন্টার লাফিয়ে চলছে এক্ষেত্রে মাউসের নড়াচড়ার সমস্যা হয় কিছু কারণে যেমন- মাউস প্যাড সমান জায়গায় না হলে। সেক্ষেত্রে উচু-নিচু জায়গা ছেড়ে সমান জায়গায় মাউসপ্যাড নিতে হবে এবং ব্যবহার করে দেখতে হবে। এরপর আসে মাউসের লেজার সেন্সর।
মাউসের লেজার সেন্সর আলোর নিচে কোনরূপভাবে বাধা পেলে এমনটি হয়ে থাকে তাই লক্ষ্য রাখতে হবে লেজার আলো ঠিকমতো নিচে পড়ছে কিনা। এছাড়াও র্যামের মেমোরি কম হয়ে থাকলে ,একসাথে অনেক ফাইল ওপেন করলে এমন সমস্যা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় ফাইল বন্ধ করে দিতে হবে।
কম্পিউটার ভারী হলে এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে। যে কারণে কম্পিউটার সবসময় ফাস্ট রাখার চেষ্টা করতে হবে। কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও সমাধান সমূহ সম্পর্কে এ আর্টিকেলটির মধ্যে মাউসের সমস্যার সমাধান সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ুন।
মাউসে রিফ্রেস মেনু কাজ না করলে করণীয়
কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও সমাধান সমূহ সম্পর্কে এই বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে। এবার আপনাদের মাঝে আলোচনা করব মাউসে রিফ্রেশ মেনু কাজ না করলে তার করণীয় কি? মাউসের রিফ্রেশ মেনু কাজ না করার সাধারণ কারণ হলো মাউসের ডান বাটনে কাজ না করা। এক্ষেত্রে কন্ট্রোল প্যানেল থেকে মাউস সেটিং এ গিয়ে মাউস কনফিগারেশন করে বাটন পরিবর্তন করলে বোঝা যাবে মাউসের বাটনের সমস্যা আছে কিনা।
মাউসের স্ক্রুুলার কাজ না করলে করণীয়
মাউসের যতই সমস্যা হোক না কেন তার মধ্যে বেশিরভাগ সমস্যা হয়ে থাকে মাউস অনেকদিন ধরে পড়ে থাকলে বা মাউস ব্যবহার না হয়ে থাকলে। অর্থাৎ অনেকদিন পড়ে থাকা মাউসের স্ক্রুলার ঠিকমতো কাজ করে না।
এরকম অবস্থায় মাউসটি খুলে স্ক্রুলার এবং বাটনে প্রেস অংশে হালকা করে থিনার অথবা পেট্রোল অয়েল দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে তাহলে মাউস কাজ করবে। কিছু সময় মাউস আইকন সিলেট হয়ে থাকে।
কিছু আইকন সিলেক্ট হয়ে আছে কিন্তু মাউসের রিফ্রেশ মেনু কাজ করছে না। আবার অনেক সময় দেখা যায় প্রেস বাটন শর্ট বা চেপে যায় তখন এমন সমস্যা হয় সে ক্ষেত্রে মাউস পরিবর্তন করে দেখতে হবে।
কম্পিউটার চলে কিন্তু মনিটরে ছবি না আসলে করণীয়
কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও সমাধান সমূহ সম্পর্কে এই বিষয়টি বিস্তারিত আলোচনায় বেশ কিছু তথ্য আপনারা জেনেছেন। এবার আপনারা জেনে নিন কম্পিউটারের মনিটরে ছবি না আসলে কি করবেন। কম্পিউটার চলে কিন্তু মনিটরের ছবি আসে না প্রথমত এরকম সমস্যা র্যাম এর কারণে হয়ে থাকে।
তাই প্রথমে র্যামটি চেক করুন। র্যামটা মাদার বোর্ড থেকে খুলে দেখুন র্যাম কোথাও পুড়েছে কিনা যদি কোথাও না পুুড়ে থাকে তাহলে র্যামটা ভালোভাবে থিনার দিয়ে পরিষ্কার করে পুনরায় মাদারবোর্ডে লাগান। তবে যদি বাড়তি কোন র্যাম থেকে থাকে তাহলে ভালো হয় আগে সেটা দিয়ে পরীক্ষা করে নেওয়া যে ram এর সমস্যা হয়েছে নাকি অন্য কিছু।
দ্বিতীয় কারণ হিসেবে বলতে পারি, কম্পিউটারের ভিজিএ পোর্ট নষ্ট হয়ে থাকলে। তাহলে আপনার কম্পিউটারে মনিটরের ডিসপ্লে আসবে না। তাহলে আপনি এগুলো পরিবর্তন করে দেখতে পারেন। তৃতীয় কারণ কম্পিউটারের গ্রাফিক্স কার্ড নষ্ট হয়ে গেলেও এ সমস্যাটি দেখা দিতে পারে।
চতুর্থ কারণ হিসেবে ধরা যায় যদি আপনার কম্পিউটারের প্রসেসর নষ্ট হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে আপনার ডিসপ্লে নাও আসতে পারে।আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ডিসপ্লে আসার পর কম্পিউটার অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
এটা একমাত্র প্রসেসর ওভার হেটিং বা প্রসেসর নষ্ট হওয়ার কারণে হয়ে থাকে। এরকম সমস্যায় আপনি থার্মাল পেস্ট ব্যবহার করে দেখতে পারেন কারণ এ পেস্ট ব্যবহারের ফলে আপনার প্রসেসর ঠান্ডা থাকবে এবং আপনার মনিটরের ডিসপ্লে যাবে না অথবা আপনার কম্পিউটার বন্ধ আর হবে না।
মনিটরের ছবি ঝাপসা দেখালে বা কাপলে করণীয়
কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও সমাধান সমূহ সম্পর্কে এই বিষয়টি জানার পাশাপাশি জেনে নিন মনিটরের ছবি ঝাপসা দেখালে বা কাপলে কি করবেন। যদি মনিটর ঝাপসা মনে হয় বা কাঁপতে থাকে তাহলে বুঝতে হবে, মনিটরের গ্রাফিক্স কার্ড এর রিফ্রেশ রেটে অসামঞ্জস্য আছে। আর যদি একই সমস্যাটি উইন্ডোজ লোড হওয়া কালীন হয়ে থাকে।
তাহলে বুঝতে পারবেন রিফ্রেশ রেট ভুল ভাবে সেটিং করা হয়েছে। এরকম অবস্থায় যখন স্টার্টিং উইন্ডোজ মেসেজটি দেখবেন তখনই কি বোর্ডের এফ৮ চেপে সেভ মোড এ windows চালু করুন এর গ্রাফিক্স বা ডিসপ্লে প্রোপারটিজে গিয়ে রিফ্রেশ রেট ঠিক করুন।
মনিটরে অস্পষ্ট কালার ও প্যাটার্ন এর সমাধান কি
আপনার কম্পিউটারের মনিটরে যদি ছবি অস্পষ্ট কালার ও প্যাটার্ন দেখার পাশাপাশি মনিটর কাঁপতে থাকে বা চালুই না হয় তখন বুঝতে হবে, এরকম হওয়ার কারণ আপনার ডাইরেক্ট এক্স পুরাতন অথবা গ্রাফিক্স কার্ড এর লেটেস্ট ড্রাইভার নেই। তাই সবসময় চেষ্টা করতে হবে লেটেস্ট ডাই রেস্ট এক্স ব্যবহার করার।
গ্রাফিক্স কার্ড ড্রাইভার আপডেট রাখার। এরপরও যদি কোন সমস্যা থেকে থাকে। তাহলে বুঝতে হবে আপনার ভিডিও কার্ড উইন্ডোজ এর মধ্যে, কম্পাটিবিলিটিতে সমস্যা রয়েছে। তাই অভিজ্ঞ কাউকে দেখান।
কম্পিউটারে কিবোর্ড কাজ না করলে করণীয়
এতক্ষণ পর্যন্ত কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও সমাধান সমূহ সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এবার আলোচনা করব কম্পিউটারে কিবোর্ড কাজ না করলে কি করবেন সেই সম্পর্কে।
সর্বপ্রথম লক্ষ্য করতে হবে কীবোর্ড সংযোগ স্থাপনা সঠিকভাবে হয়েছে কিনা। এছাড়া কম্পিউটার কিবোর্ড পরিষ্কার না থাকলে এই সমস্যাটি দেখা যায়।
তাই সব সময় কম্পিউটারের কিবোর্ড পরিষ্কার রাখতে হবে। কীবোর্ড সমস্যার সমাধানে কিবোর্ড সেটিং ঠিক করুন এবং কিবোর্ড ড্রাইভার আপডেট করুন।
লেখকের শেষ মন্তব্য
কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও সমাধান সমূহ সম্পর্কে জেনে নিন। এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি কম্পিউটারের সমস্যা ও সমাধান সম্পর্কে ধারণা পেতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
আশা করছি আপনি কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও সমাধান সমূহ সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনেছেন। এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল যদি আপনি নিয়মিত জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন।
সবশেষে বলব, এই আর্টিকেল পোস্টটি আপনার কেমন লেগেছে মন্তব্য করে জানাবেন। আপনার পরিচিত আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করে দেবেন। ধন্যবাদ !
ডিজিটাল মার্কেটিং আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্টে রিভিউ করা হয়।
comment url