OrdinaryITPostAd

স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর কি ও তার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

আপনি কি উন্নত মানের স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর কি ও তার বৈশিষ্ট্য কি জানতে চান ? তাহলে আজকের এই পোস্টটি থাকছে আপনার জন্য। এই বিষয়টি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পেতে পুরো আর্টিকেল পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

আশা করছি, স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানতে ও বুঝতে পারবেন এবং পোষ্টটি পড়ে আপনার অনেক ভালো লাগবে। এই আর্টিকেল পোস্টে থাকছে, স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর কি ও তার বৈশিষ্ট্য বিষয় সম্পর্কে-

পোস্ট সূচিপত্রঃ স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর কি ও তার বৈশিষ্ট্য বিষয় সম্পর্কে

স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর কি ও তার বৈশিষ্ট্য 

স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর কি ও তার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে পুরো আর্টিকেল পোস্ট এর মধ্যে। স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর এই বিষয়টি অবাক করার মতো। স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর কথাটি শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও সত্য। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশেও মিলছে  স্মার্ট ফ্রিজ। বর্তমান সময়ে মানুষের জীবনের নিত্য প্রয়োজনীয় সঙ্গী হিসেবে পরিচিত স্মার্ট ফ্রিজ। স্মার্ট ফ্রিজ ইন্টারনেট রেফ্রিজারেটর নামেও পরিচিত।

যে ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটরের সাথে ইন্টারনেটের সংযোগ স্থাপন করতে সক্ষম সেগুলো স্মার্ট ফ্রিজ। এতে সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর এর ইন্টারনেট সংযোগ থাকায় স্মার্টনেস ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। এক কথায় স্মার্ট ফ্রিজ হল স্মার্টনেস ব্যবহার। তাই আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলাতে গেলে অবশ্যই আপনাকে স্মার্টফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর কি ও তার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে হবে। 

আর তাই এ বিষয় সম্পর্কে পুরো পোস্ট জুড়ে আলোচিত হয়েছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর। বর্তমান প্রযুক্তির স্মার্ট ফ্রিজ বা  রেফ্রিজারেটর টুইন কুলিং প্লাস সংযুক্ত থাকায় দুর্গন্ধ ছড়ায় না। ৭০ শতাংশ আদ্রতা বজায় রাখে। স্মার্ট ফ্রিজ বা  রেফ্রিজারেটরে  স্মার্ট কনভারশন যুক্ত থাকায় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে। আরও বেশ কিছু বৈশিষ্টের কথা নিম্নে উল্লেখ করা হলো-

  • ডিজিটাল ইনভারটার প্রযুক্তি
  • অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া প্রটেকটর
  • বিল্ট ইন স্ট্যাবিলাইজার
  • ডোর অ্র্যালার্ম
  • ডিওডোরাইজিং ফিল্টার
  • টুইন কুলিং প্লাস 

ডিজিটাল ইনভার্টার প্রযুক্তি ঃ স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটরের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মধ্যে একটি হলো ডিজিটাল ইনভার্টার প্রযুক্তি। স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর ডিজিটাল ইনভার্টার প্রযুক্তি সম্পন্ন হওয়াই বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। ফলে স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটরে দ্রুত ঠান্ডা হওয়ার জন্য ডিজিটাল ইনভার্টার প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও ডিজিটাল ইনভার্টার প্রযুক্তির কারণে স্মার্ট ফ্রিজের ডিপ অংশটিকে নরমাল অংশে রূপান্তরিত করা যায়।

অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া প্রটেক্টর ঃ স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটরের মধ্যে একটি বিশেষ ভূমিকা রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া প্রটেক্টরের। স্মার্ট ফ্রিজে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া প্রোটেক্টর বিদ্যমান থাকায় খাবারে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে এবং খাবারের গুনাগুন রাখে অক্ষন্ন। সেই সাথে খাবারের দুর্গন্ধ দূর করে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া প্রটেক্টর থাকায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি কম হয়ে থাকে। যার ফলে স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর ব্যবহারের ফলে মানব দেহ সুস্থ থাকে, রোগ জীবাণু কম ছড়ায় ,তাই চেষ্টা করুন অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া যুক্ত ফ্রিজ কেনার।

বিল্ট ইন স্টেবিলাইজারঃ স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর কি ও এর আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো স্টেবিলাইজার যা ফ্রিজের বিদ্যুতের ভোল্টেজ উঠানামা রক্ষণাবেক্ষণ ও সুরক্ষা দিয়ে থাকে। এক একটি ফ্রিজে নির্দিষ্ট ভোল্টেজ প্রয়োজন হয়। একটি ফ্রিজে ভোল্টেজ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে থাকে। যেমন ইনপুট ও আউটপুট ভোল্টেজ। স্টেবিলাইজার ইনপুট ভোল্টেজ ৮০ এবং আউট পুট ভোল্টেজ ২২০ এর মধ্যে হওয়া উচিত।

ফ্রিজে ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট অস্থির বিদ্যুৎ সরবরাহ এ সকল সমস্যার সমাধান হিসেবে কাজ করে স্ট্যাবিলাইজার। স্ট্যাবিলাইজার বিশিষ্ট ফ্রিজ হিসেবে উল্লেখযোগ্য হল স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর। অতিরিক্ত কারেন্টের চাপ থেকে সুরক্ষা  দেয় স্ট্যাবিলাইজার। বিদ্যুতের সঠিক ভোল্টেজ পাওয়ার জন্য স্ট্যাবিলাইজার প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। 

ডোর এলার্ম ঃ স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটরের আরেকটি বৈশিষ্ট্যের মধ্যে পড়ে ডোর এলার্ম। যা খাদ্য সংরক্ষণ সর্বাধিক নিশ্চিত করে। স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটরে একটি বিপিং সংকেত শোনা যাবে যখন দুই মিনিটের বেশি তাজা খাবারের দরজা গুলি খোলা থাকে। 

এছাড়াও রয়েছে উচ্চ তাপমাত্রার এলার্ম । যখন ২০ ডিগ্রী ফরেন হাইটের ওপরে চলে যায় তখন একটি সংকেত বা ডোর এলার্ম শোনা যায়। এভাবেই স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটরের ডোর এলার্ম প্রক্রিয়া কার্যক্রম সংঘটিত হয়ে থাকে। 

ডিওডোরাইজিং ফিল্টার ঃ ডিওডোরাইজিং ফিল্টার হল একটি প্রাকৃতিক ফাইবার দিয়ে তৈরি ফিল্টার। যা স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটরের ভিতরের বাতাস থেকে অপ্রীতিকর গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে। এতে করে খাবারের তীব্র গন্ধ দূর করে দীর্ঘ সময়ের জন্য খাবারকে সুরক্ষিত রাখে এবং আসল স্বাদ ও গন্ধ বজায় রাখতে সাহায্য করে ডিওডোরাইজিং ফিল্টার প্রযুক্তি।

টুইন কুলিং প্লাস ঃ টুইন কুলিং প্লাস প্রযুক্তি থাকায় খাবারে দুর্গন্ধ ছড়ায় না অর্থাৎ অরিজিনাল স্মেল বজায় থাকে এবং ৭০% আর্দ্রতা বজায় রাখে যার ফলে শাক সবজি সতেজ থাকে। যার কারণে আপনি বিভিন্ন ধরনের খাবার যেমন শাক-সবজি, মাছ-মাংস, ফল ইত্যাদি দীর্ঘদিন ধরে ফ্রিজের মধ্যে সংরক্ষণ করতে পারবেন। স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটরের টুইন কুলিং প্লাস একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য আদ্রতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে। সব মিলিয়ে এটি একটি স্মার্ট ফ্রিজ  যা স্মার্ট প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি।

স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর কি 

স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর বলতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরী স্মার্টনেস ব্যবহারের সমস্টিগত বৈশিষ্ট্যকে বুঝায়। বর্তমানে স্মার্ট ফ্রিজ বা  রেফ্রিজারেটর স্মার্ট কনভারশন সম্বলিত প্রযুক্তিযুক্ত হওয়ার ফলে স্মার্টনেস ব্যবহারের সুযোগ-সুবিধা মেলে। স্মার্ট ফ্রিজ বা  রেফ্রিজারেটরে স্মার্ট ফোন এবং ওয়াই-ফাই সংযুক্ত করা যাই বিধায় স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটরকে দূরবর্তীগত ভাবে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হয়।

স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর সর্বপ্রথম কে তৈরী করেন 

এবার চলুন জেনে নেয়া যাক স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর কে সর্বপ্রথম তৈরি করে। স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর এর সূচনা ঘটে ২০০০ সালের জুন মাসের দিকে। এর আগে স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর এর সূচনা ঘটেনি। স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটরের প্রথম উদ্ভাবক ছিলেন এলজি। তিনিই প্রথম স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর এ ইন্টারনেট ভিক্তিক ডিজিটাল ডি আই ও এস সংযুক্ত করেন। পরবর্তীতে স্মার্ট ফ্রিজ বা  রেফ্রিজারেটর  এর প্রযুৃক্তি প্রসারিত হয়েছে।

স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর এর সুবিধা

স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর কি ও তার বৈশিষ্ট্য জানার পাশাপাশি জানতে হবে এর সুবিধা সমূহ গুলো।স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর এই কথাটি ভাবতেই মনে পড়ে যায় ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট কানেকশনের কথা। স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর এ স্মার্টনেস নিয়ে আসছে ইন্টারনেট ভিত্তিক কার্যক্রম। দূরবর্তীভাবে স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা ও বরফ উৎপাদন নিয়ন্ত্রন প্রক্রিয়া এবং ডায়াগনস্টিক পরিষেবা পরিচালনা করা যায়।

খাবারে দুর্গন্ধ ছড়ায় না, খাবারের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে, অনেকদিন ধরে অরিজিনাল স্মেল বজায় রাখে। শাক-সবজি, মাছ-মাংস, ফল ইত্যাদি দীর্ঘদিন ধরে স্মার্ট ফ্রিজের মধ্যে সংরক্ষণ করে রাখা যায়। স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটরের মধ্যে ডিজিটাল ইনভার্টার প্রযুক্তি সংযুক্ত থাকাই বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।

স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটরের মধ্যে আরেকটি বিশেষ সুবিধা হচ্ছে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট ভিত্তিক প্রযুক্তির ব্যবহার হয়ে থাকে। যার কারনে স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর দূরবর্তী গত ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটরের ভিতরে বিল্ট ইন স্টেবিলাইজার থাকাই, বিদ্যুতের ভোল্টেজ উঠানামা রক্ষণাবেক্ষণা ও সুরক্ষা দিয়ে থাকে।

স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর এর আধুনিকতা


স্মার্ট ফ্রিজ মানে স্মার্টনেস ব্যবহার। প্রযুক্তিগতভাবে সমস্ত আধুনিক ডিজাইন ও মানসম্মত ব্যবহারের উপযোগী হলে স্মার্ট ফ্রিজ। এর আধুনিকতা বলে শেষ করার মতো নয়। চলুন তাহলে জেনে নিন স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটরের আধুনিকতা-

সময়ে প্রযুক্তিগতভাবে তাল মিলিয়ে নতুন উদ্ভাবন বা সূচনার সমষ্টিকে আধুনিকতা বলে। তার একটি বিশেষ উদাহরণস্বরূপ স্মার্ট ফ্রিজ বা  রেফ্রিজারেটর। স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর একটি নতুন উদ্ভাবনার সৃষ্টি করেছেন। স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর আধুনিকতার মধ্যে রয়েছে ইন্টারনেট প্রযুক্তিগত ওয়াইফাই সংযুক্ত। যার ফলে স্মার্টফোনের মাধ্যমে পরিচালনা করা সম্ভব। কিছু স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর এর মধ্যে ক্যামেরা রয়েছে।

স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটরের সেরা তিনটি কোম্পানি ব্র্যান্ড

বর্তমান সময়ে বিশ্বজুড়ে স্মার্ট ফ্রিজ বা  রেফ্রিজারেটর জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ঘরে ঘরে স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর ব্যবহার দিনদিন বেড়েই চলেছে। এমতাবস্তায় আপনি কি ভাবছেন কোন ফ্রিজের কোম্পানি ব্র্যান্ড ভালো। অনেকেই আছে স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর কি ও তার বৈশিষ্ট্য জানার পাশাপাশি ফ্রিজের কোম্পানি ব্রান্ড সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনার জন্য থাকছে সেরা তিনটি স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর  কোম্পানি ব্র্যান্ড। যেমনঃ- 

১। এলজি

২। স্যামস্যাং

৩। হিটাচি 

এই কোম্পানি ব্র্যান্ড গুলো খুবই জনপ্রিয়। এসকল ফ্রিজগুলো লং লাস্টিং এবং আধুনিক ডিজাইন সমৃদ্ধ হওয়ায় দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। আপনি যদি ভেবে থাকেন স্মার্ট ফ্রিজ কিনবেন তাহলে ভেবেচিন্তে একটি ভালো কোম্পানি ব্যান্ডের ফ্রিজ চয়েজ করবেন কেননা একটি ফ্রিজ অল্প কিছুদিন ব্যবহারের পর পর পরিবর্তন করার মত নয়। ফলে একটি ফ্রিজ যাতে অনেকদিন পর্যন্ত লাস্টিং করে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। 

স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর সাইজে কত বড় নিবেন

স্মার্ট ফ্রিজ কত বড় সাইজের নিবেন এই বিষয়টি নিয়ে আপনি কি ভাবছেন এই ভাবনাকে নির্মূল করতে আপনি যদি জানতে চান স্মার্ট ফ্রি সাইজ কত বড় নেবেন তাহলে আমি বলব, সর্বপ্রথমে আপনার ফ্রিজের প্রয়োজন এর দিকে লক্ষ্য দিন। আপনার পরিবারে কতজন রয়েছে।আর আপনি কতটা জিনিস ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে চাচ্ছেন। কারণ পরিবারের বেশি মানুষের জন্য বেশি খাবার সংরক্ষণ করার প্রয়োজন পড়বে। 

একই সাথে আপনাকে বুঝতে হবে, আপনি যে জায়গাটিতে ফ্রিজ রাখতে চাচ্ছেন সে জায়গাটি দৈর্ঘ্য প্রস্থতে কত বড়। কেননা আপনার রুমে যদি জায়গা কম থাকে তাহলে, বড় ফ্রিজ কিনে আপনি অস্বস্তিতে পড়ে যাবেন। যার কারনে জায়গার বিবেচনা তো আপনাকে করতেই হবে। 

অতএব আপনি পরিবারের সদস্য সংখ্যা এবং আপনার ফ্রিজ রাখার জায়গার প্রশস্ত এই দুটি বিষয় বিবেচনা করে একটি সিদ্ধান্ত নিন আপনি ফ্রিজ কত বড় নিবেন। তাহলে আশা করছি আপনি ঠকবেন না এবং একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবেন।

স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর ব্যবহারে সর্তকতা

স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর কি ও তার বৈশিষ্ট্য জেনে নিন সেই সাথে স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর ব্যবহারের কিছু সতর্কতা জেনে নিন। যেকোনো জিনিসেরই ব্যবহারের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন রয়েছে। সে দিক দিয়ে লক্ষ্য করতে গেলে দেখা যায়।  স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর ব্যবহারে কিছু সর্তকতা অবলম্বন করে চলতে হয়। 

তাই স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর ব্যবহারে সর্তকতা অবলম্বনে কিছু বিষয় উল্লেখ করা হলো-

  • ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর ঘনঘন খোলা থেকে বিরত থাকতে হবে
  • গরম খাবার ফ্রিজে রাখা যাবে না
  • খাবার ঠান্ডা হয়ে গেলে ফ্রিজে রাখতে হবে
  • খাবার ভালোভাবে ঢেকে রাখতে হবে
  • খাবারের লেভেল দিয়ে রাখা ও
  • ফ্রিজার পূর্ণ রাখা ইত্যাদি। 

স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটরের অসুবিধা

প্রিয় পাঠক এবার আপনি জেনে নিন স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটরের অসুবিধা গুলো সম্পর্কে। প্রত্যেকটি জিনিসেরই খারাপ ও ভালো ইফেক্ট থাকে। তেমনি ভাবে স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটরের অসুবিধা রয়েছে। এবার তাহলে জেনে নিন স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটরের অসুবিধা-

প্রত্যেকটি জিনিসেরই ভালো ও মন্দ দিক রয়েছে। তেমনি ভাবে স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটরের ভালো গুনাগুনের সাথে অসুবিধাও লক্ষ্য করা যায়। স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটরের সবচেয়ে বড় একটি অসুবিধা হলো এটার দাম অনেক বেশি। এবং অনেক বেশি ব্যয়বহুল।  তাই সবার পক্ষে কেনা সাধ্যের বাইরে।

পরিশেষে আমার মতামত

আপনি যদি আমার এই আর্টিকেল পোস্টটি সম্পন্ন পড়ে থাকেন, তাহলে আশা করছি একটি ভালো মানের কোম্পানি ব্র্যান্ড সহ স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর কি ও তার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেছেন। এতে করে আপনি সঠিক নির্বাচন করতে সক্ষম হবেন।

স্মার্ট ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর কি ও তার বৈশিষ্ট্য এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে এরকম আরো আর্টিকেল পোস্ট লেখার জন্য আমাকে উৎসাহ দিবেন। এই পোস্টটি আপনার ভাল লেগে থাকলে আপনার বন্ধু পরিচিতদের সঙ্গে শেয়ার করুন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজিটাল মার্কেটিং আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্টে রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪