শীতকালে সুস্বাস্থ্য ও খাদ্য তালিকা কি জেনে নিন
প্রিয় পাঠক আপনাদের জন্য আজকের আর্টিকেলের বিষয় শীতকালে সুস্বাস্থ্য ও খাদ্য তালিকা কি জেনে নিন। স্বাস্থ্য মানুষের অমূল্য সম্পদ। তাই খাদ্যের প্রতি বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত। তাই আপনাকে শীতকালের সুস্বাস্থ্য ও খাদ্য তালিকা কি বিস্তারিতভাবে জানতে হবে।
মানব জীবনে স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে খাদ্যের প্রতি বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। তাই নিচে আলোচিত সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন এবং শীতকালে সুস্বাস্থ্য ও খাদ্য তালিকা কি জেনে নিন ।
পোস্ট সূচিপত্রঃ শীতকালে সুস্বাস্থ্য ও খাদ্য তালিকা কি জেনে নিন ।
- শীতকালে সুস্বাস্থ্য ও খাদ্য তালিকা কি জেনে নিন
- শীতকালের পরিচিতি
- শীতকালে সুস্বাস্থ্যে করণীয়
- শীতকালে স্বাস্থ্যকর খাদ্য
- শীতকালীন খাদ্যের পুষ্টিগুণ
- আমার শেষ মন্তব্য
শীতকালে সুস্বাস্থ্য ও খাদ্য তালিকা কি জেনে নিন
স্বাস্থ্য মানুষের অমূল্য সম্পদ। শুধু শীতকাল বলে নয় যে কোন ঋতুতেই স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ যত্নবান হওয়া উচিত। কিন্তু শীতকালে স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল একটু বেশি রাখতে হয় কারণ শীতকালে মানুষের ঠান্ডা জনিত রোগ বেশি হয়। মানব শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। আর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হতে আপনাকে জানতে হবে।
শীতকালে স্বাস্থ্য ঝুঁকি কিভাবে বেড়ে যায়, কেমন নিয়ম-কানুন এর মধ্য দিয়ে চললে সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে, কোন খাবারগুলো খেলে খাদ্যের পুষ্টিগুণ বেশি পাওয়া যায় প্রভৃতি। উপরোক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেতে আপনাকে সাহায্য করবে আজকের আর্টিকেল পোস্টটি।
তাই স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে খাদ্য তালিকা সচেতনতাই আপনি শীতকালে সুস্বাস্থ্য ও খাদ্য তালিকা কি জেনে নিন। কারণ এই আর্টিকেল পোষ্টের মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে আপনি কোন খাবার গুলো বেশি বেশি করে খাবেন।
এ সময় কোন রোগের আক্রমণ গুলো বেশি হয়ে থাকে, কোন রোগগুলো থেকে মুক্তি পাবেন। কিভাবে স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখবেন ও যত্নবান হবেন এবং সুস্থ থাকবেন। তাই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
শীতকালের পরিচিতি
শীতকালে সুস্বাস্থ্য ও খাদ্য তালিকা কি জেনে নিন এই আর্টিকেলটিতে শীতকাল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আমাদের দেশ ষড় ঋতুর দেশ। বছরে ছয়টি ঋতু। বাংলার রূপ বৈশিষ্ট্যটের অনেকখানি জায়গা জুড়ে শীতের অবস্থান। শীতকাল অন্য সব ঋতু থেকে আলাদা হয়ে থাকে।
পৌষ ও মাঘ এই দুই মাস নিয়ে মূলত শীতকাল হলেও শীতের আগমন ঘটে থাকে হেমন্তের অর্থাৎ অগ্রাহায়নের মাঝামাঝি সময় থেকে। ইংরেজিতে ডিসেম্বর-জানুয়ারি শীতের মাস। কখনো কখনো নভেম্বরের শেষ থেকে ফেব্রুয়ারীর মধ্যভাগ পর্যন্ত শীতকাল দীর্ঘ হয়ে থাকে। মূলত হেমন্ত থেকে শীতের আবহাওয়া শুরু হয়।
শীতকালের প্রকৃতির রূপ অন্য সব ঋতু থেকে আলাদা হয়ে থাকে। নতুন করে প্রকৃতিকে সাজিয়ে দেওয়ার পূর্ব প্রস্তুতি হল শীত। হেমন্তের সোনালী ডানায় ভর করে, হিমেল হাওয়া সাথে নিয়ে, কুয়াশা চাদর জড়িয়ে আসে শীতকাল। প্রতিটি ঋতু তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে অবস্থান করে। শীত ঋতুটি ঠান্ডা এই অনুভূতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে।
শীতকালে চারিদিক ঘন কুয়াশায় ডেকে থাকে। ঝিরিঝিরি শিশির পড়ে। ঠান্ডা হিমেল হাওয়া বয়। প্রকৃতিতে আসে এক নতুন রূপ। গাছ পালার পাতা ঝরে যায়, জন্ম নেয় নতুন পাতার। গ্রামে শীতের সকাল হয় আনন্দমুখর প্রকৃতি। কুয়াশার চাদরে ঢাকা প্রকৃতি। মাঠের পর মাঠ ধানক্ষেত ও সরিষা ক্ষেত, ধানের উপর জমে থাকা শিশির বিন্দু দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়।
বাতাসের সঙ্গে ফুলের মৌ মৌ গন্ধ ভেসে আসে। কখনো কখনো ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখায় মিলে না। হিমশীতল স্পর্শে কাঁপিয়ে দেয় বাংলার গ্রাম। আগুনের কুণ্ডলী পাকিয়ে গ্রামের মানুষদের বসে থাকতে দেখা যায়।উৎসব আনন্দেও ভরপুর হয়ে ওঠে শীতকাল হেমন্তের ধান কাটার ধুম পড়ে যায়।
কৃষকের ঘরে ঘরে ওঠে নতুন ধান। জাগে পিঠাপুলির উৎসব। শীতকালে গ্রাম বাংলার মানুষের মধ্যে নানা রকম বাহারি পিঠা পুলির আয়োজন করতে দেখা যায়। যেমন দুধ পুলি, ক্ষীর পিঠা, চিতই পিঠা, পাটিসাপটা, পাকান পিঠা ইত্যাদি।
এভাবেই গড়ে গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং মানুষের জনজীবন। এভাবেই ভরে থাকে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। আর সুস্বাস্থ্যের মধ্য দিয়ে উৎসব জীবন আনন্দে মুখরিত হয়। চলুন তাহলে শীতকালে সুস্বাস্থ্য ও খাদ্য তালিকা কি জেনে নেওয়া যাক।
শীতকালে সুস্বাস্থ্যে করণীয়
শীতকালে সুস্বাস্থ্য ও খাদ্য তালিকা কি জেনে নিন কারণ স্বাস্থ্যই মানুষের পরম সম্পদ। স্বাস্থ্যহীন ব্যক্তির মত হতভাগ্য আর কেউ নেই। আর স্বাস্থ্যবান ব্যক্তি দরিদ্র হলেও সুখী। স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।স্বাস্থ্যবান দরিদ্র ব্যক্তি অপেক্ষা কৃত স্বাস্থ্যহীন ধ্বনি ব্যক্তির চেয়ে উত্তম। স্বাস্থ্যহীন ব্যক্তি আর্থিক, মানসিক এবং আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে উন্নতি লাভ করতে পারে না।
স্বাস্থ্যহীন ব্যক্তির সর্বপ্রকার বিলাস ও ঐশ্বর্য থাকলেও তৃপ্তিকর হয় না। অপরদিকে স্বাস্থ্য ভালো থাকলে সবকিছুই তৃপ্তিকর হয়ে থাকে। স্বাস্থ্যহীন ব্যক্তির কাছে জীবন একটি বিড়ম্বনা মাত্র। জীবনের সকল তৃপ্তি কর্ম তৎপরতা ও আনন্দের মূলে রয়েছে স্বাস্থ্য। তাই সর্বোপরি স্বাস্থ্য রক্ষায় মানুষকে সচেষ্ট হওয়া উচিত।
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে যায় যে শীতকালে সুস্বাস্থ্যে করণীয় বিষয় জানা আবশ্যক। স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্ব পর্যালোচনা করে নিম্নে আলোচিত করা হলো শীতকালে সুস্বাস্থ্য ও খাদ্য তালিকা কি এই বিষয়টি সম্পর্কে। শীতকালে সুস্বাস্থ্য রক্ষায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও পুষ্টি ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ একটি বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
তাই আমাদেরকে উচিত শরীরকে সর্বদাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। স্বাস্থ্যকর পুষ্টিযুক্ত খাবার যেমন ফলমূল ,শাকসবজি ইত্যাদি খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা। আমাদের দেশে বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল শাকসবজি উৎপাদিত হয়ে থাকে। সেই ক্ষেত্রে আমাদের উচিত একটু সুস্বাস্থ্যের লক্ষ্যে অবিচল থেকে মৌসুমী ফল ও শাকসবজি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় লিপিবদ্ধ করা।
এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার লক্ষ্যে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে যেমন দাঁত , হাত, পা , কান, চুল ইত্যাদি। শরীরে পরিধানকৃত জামাকাপড় সহ বিছানা পরিষ্কার রাখতে হবে। সেই সাথে বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার করতে হবে। ঘরে যেন পর্যাপ্ত আলো বাতাস ঢুকতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ভেজাল খাদ্যদ্রব্য আহার করা থেকে দূরে থাকতে হবে। ভিটামিন যুক্ত খাবার খেতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। ক্ষুধা নিবারণের জন্য যেমন খাদ্যের প্রয়োজন তেমনিভাবে সুস্বাস্থ্য রক্ষা করার জন্য নিয়মিত বিশ্রাম নিদ্রা ও ব্যায়ামের প্রয়োজন পড়ে। অলস ভাবে বসে থাকলে রক্তচাপ, বহুমূত্র ও অজীর্ণ প্রভৃতি রোগ দেখা দেয়।
শীতকালে সুস্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে ঠান্ডার প্রতি। কারণ শীতকালে ঠান্ডা জনিত রোগ বেশি হয়ে থাকে। এ সময় সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, হাঁপানি, এ্যাজমা, খোঁচ- পাচড়া, চুলকানি, খুশকিসহ ইত্যাদি রোগ লেগেই থাকে। মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
শীতকালে সুস্বাস্থ্য কামনা করা প্রত্যেকেরই কাম্য। কারণ স্বাস্থ্য মানব জীবনের এক অমূল্য সম্পদ। তাই ঠান্ডার কথা মাথায় রেখে শীতকালে প্রত্যেকেরই উচিত স্বাস্থ্যকর খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া এবং নিয়মানুবর্তী মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করা। আশা করছি এতক্ষণ আলোচনার মাধ্যমে শীতকালে সুস্বাস্থ্য ও খাদ্য তালিকা সম্পর্কে ইতোমধ্যে অনেক তথ্য জানতে পেরেছেন।
শীতকালে স্বাস্থ্যকর খাদ্য
শীতকালে সুস্বাস্থ্য ও খাদ্য তালিকা কি সম্পূর্ণ জানতে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন শীতকালের স্বাস্থ্যকর খাদ্যগুলো কি? শীতকালে স্বাস্থ্যকর খাদ্যের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ মানবদেহে খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তাই খাদ্যগুলো ভেজাল না হয়ে স্বাস্থ্যকর হওয়া উচিত। পুষ্টিযুক্ত খাবার না খেলে অসুস্থ হওয়ার তীব্রতা বেড়ে যায়।
শীতকালে বিভিন্ন ধরনের মৌসুমী ফলমূল সহ শাকসবজি পাওয়া যায়। শীতকালে বাজারে বেশি দেখতে পাওয়া যায় এমন কিছু ফল ও শাক সবজি। যেমন-
এসময় লাল শাক, পালং শাক, মুলা শাক, ধনেপাতা, পাট শাক, শালগম, শিম, সরিষার শাক, টমেটো, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ওলকপি, লাউ, ব্রকলি, মটরশুঁটি, গাজর, টমেটো ইত্যাদি পাওয়া যায়। শীতকালে টক জাতীয় ফলের দেখা মেলে অনেক বেশি।
শীতকালে যে সকল ফল পাওয়া যায় তার মধ্যে রয়েছে কমলা, বরই ,পেয়ারা ,আমলকি ,কলা, আপেল, মালটা, আঙ্গুর, বেদানা প্রভৃতি ধরনের ফলমূল।
শাক সবজির পাশাপাশি ফল মূল স্বাস্থ্য রক্ষা বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় এ সকল খাবার রাখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। শাকসবজি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বৃদ্ধি করে। তেমনি কিছু কিছু শীতকালীন ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হওয়ায় ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী। কারণ শীতে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়।
আর ত্বককে সুরক্ষা দিতে ও ভালো রাখতে ভিটামিন সি জাতীয় খাদ্য অতুলনীয় হয়ে থাকে। শীতকালীন ফলগুলো ভিটামিন সি এর যোগান দিয়ে থাকে। শীতকালে আপেলের উৎপাদন অনেক বেশি হয়ে থাকে। এ ফলটি খেতে অনেক সুস্বাদু এবং ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট থাকে , নানা ধরনের ভিটামিন ও খনিজ পুষ্টি ও বিদ্যমান রয়েছে।
কলার বিশেষ পুষ্টিগুণ রয়েছে। এর মধ্যে একটি হল ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও উপরে আলোচিত ফলমূল ও শাকসবজির মধ্যে আলাদা আলাদা পুষ্টিগুণ বিদ্যমান রয়েছে। এছাড়াও শীতের খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত মাছ , ডিম, দুধ, সুপ ইত্যাদি। শীতে দেহ উষ্ণ রাখতে শীতের তাজা রঙিন সবজি, ডাল, বার্লি ও মুরগি দিয়ে তৈরিকৃত সুপ খেতে পারেন।
এতে আদা, রসুন, গোলমরিচ, চিলিফেক্স ইত্যাদি যোগ করা যায়। এছাড়াও শরীরকে গরম রাখতে গরম চা, কফি ইত্যাদি পান করতে পারেন। উপরের আলোচিত অংশটি পড়ে এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝে গেছেন শীতকালে সুস্বাস্থ্য ও খাদ্য তালিকা কি এবং তার গুরুত্ব সম্পর্কে। উপরে আলোচিত খাদ্য তালিকার মধ্য থেকে ৫ টি খাদ্যের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হল-
শীতকালীন খাদ্যের পুষ্টিগুণ
খাদ্য আমাদের শরীরকে পুষ্টি দিয়ে থাকে সেই সাথে কাজের শক্তি দান করে। তাই খাদ্যকে আমাদের প্রাধান্য দিতেই হবে। তাই শীতকালে সুস্বাস্থ্য ও খাদ্য তালিকা কি এবং কোন খাদ্যের কি পুষ্টিগুণ, খাবারগুলো কি কি? সেই সাথে খাদ্যের পুষ্টিগুণ শরীরকে কিভাবে প্রটেক্ট করে জেনে নিন।
গাজরঃ গাজর অনেক সুস্বাদু পুষ্টিকর আঁশযুক্ত শীতকালীন সবজি। তবে সারা বছরেই এই ফল পাওয়া যায়। তরকারি ও সালাদ হিসেবে গাজর খাওয়া হয়। এতে রয়েছে কেরোটিন, ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। গাজর-এ অনেক স্বাস্থ্যগত সুবিধা রয়েছে যেমনঃ
- হার্ট সচল রাখে
- কোলেস্টেরল এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে
- ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
- ত্বকের শুষ্কতা দূর করে
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে
- শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মাত্রা সঠিক রাখে
টমেটোঃ টমেটো একটি সুস্বাদু ও পুষ্টি সমৃদ্ধ সবজি। যেটি রান্না করেও খাওয়া যায় আবার সাল াদ হিসেবেও খাওয়া যায়। টমেটোতে বিদ্যমান রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ফলিক এসিড, লাইকোপিন, ক্রোমিয়াম সহ আরো নানা ধরনের পুষ্টি। ত্বকের জন্য টমেটো বিশেষ উপকারী। এছাড়া আরো অনেক স্বাস্থ্যগত সুবিধা রয়েছে যেমন-
- কিডনিকে সুস্থ ও সবল রাখতে টমেটো বিশেষ ভূমিকা রাখে
- চুল ও দাঁতের জন্য বিশেষ উপকারী বিশেষ কয়েক ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
- টমেটোর ন্যাচারাল অ্যান্টি সেপটিক ইনফেকশন রোধ করে
- হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত করতে সহায়তা করে
- ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
- দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে দেয়
- হার্টের জন্যও টমেটো সহায়ক
- শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে
- ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী টমেটো
লাউঃ লাউ কি আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় কদু বলা হয়ে থাকে। লাউ শুধু নই লাউয়ের লতা-পাতা, বাকোল সহ খাওয়া যায়। লাউয়ের বিশেষ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে-
- প্রসাবের জ্বালা পোড়া কমায়
- ত্বক ভালো করে
- ভালো ঘুম হতে সহায়তা করে
- পরিপাকে সাহায্য করে
- অকালে চুল পাকা রোধ করে
- কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা, এসিডিটির মত সমস্যা সমাধানের সহায়তা করে
- পানি শূন্যতা দূর করে
- হজমে সাহায্য করে
- ওজন কমাতে সহায়তা করে
- শরীর ঠান্ডা রাখে
লাল শাকঃ লালশাক দেখতে লালচে বর্ণের হয়ে থাকে। লাল শাকের পুষ্টিগুণ হিসেবে হিমোগ্লোবিন পরিপূর্ণ থাকে। লাল শাক আয়রনের উৎস। লাল শাকের কয়েকটি পুষ্টিগুণ নিম্ন দেওয়া হলো-
- লাল শাক অ্যানিমিয়া অর্থাৎ রক্তশূন্যতা দূর করে
- নিম্ন রক্তচাপ ও লো ব্লাড প্রেসারের সমস্যার সমাধান করে
- দুর্বলতা কমিয়ে শরীরকে শক্তি যোগান দেয়
- ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে
- শরীরে আয়রন ও ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করে
- ত্বক চুল ও নখের পুষ্টি যোগায়
সরিষার শাকঃ শীতকালে সুস্বাস্থ্য ও খাদ্য তালিকা কি এ বিষয়টিতে এবার জানবো সরিষা শাকের বিশেষ ভূমিকা। শীতকালে গ্রামের দিকে মাঠের পরে মাঠ জুড়ে সরিষা ক্ষেতের দেখা মেলে। সরিষার শাক একটি জনপ্রিয় খাবার সরিষার শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও স্নেহ জাতীয় ভিটামিন বিদ্যমান থাকে। সরিষা শাকের উপকারিতা-
- রক্তে উপকারী এইচ ডি এল কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায়
- দেহে ভিটামিন ডি এর যোগান দেয়
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
- ত্বক ভালো রাখে
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
আমার শেষ মন্তব্য
উপরোক্ত আলোচনায় বিস্তারিতভাবে বোঝানো হয়েছে। শীতকালে সুস্বাস্থ্য ও খাদ্য তালিকা কি এই বিষয় সম্পর্কে। আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন। তাহলে আশা করছি, শীতকালের সুস্বাস্থ্য ও খাদ্য তালিকা সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা পেয়ে গেছেন। তাই আপনি, এই সমস্ত আরো আর্টিকেল পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
আশা করি, শীতকালে সুস্বাস্থ্য ও খাদ্য তালিকা কি এই আর্টিকেল পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে। আপনার এই আর্টিকেল পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে, আপনার পরিচিত আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করে দিবেন। সেই সাথে আজকের আর্টিকেল পোস্টটি আপনার কেমন লেগেছে মন্তব্য করে জানাবেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ !
ডিজিটাল মার্কেটিং আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্টে রিভিউ করা হয়।
comment url