কম্পিউটার ও ল্যাপটপের মধ্যে পার্থক্য কি বিস্তারিত জেনে নিন
প্রিয় বন্ধুরা আপনাদের জন্য এই আর্টিকেল পোস্টে থাকছে, কম্পিউটার ও ল্যাপটপের মধ্যে পার্থক্য কি। এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো আজকের এই আর্টিকেলে। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নিন কম্পিউটার ও ল্যাপটপের মধ্যে পার্থক্য কি ?
আপনি যদি আমাদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত থাকেন তাহলে, কম্পিউটার ও ল্যাপটপের মধ্যে পার্থক্য কি এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এই বিষয়ে আপনাদের জানাতে মূলত আমাদের আজকের এই আর্টিকেল পোস্ট। তাহলে আপনাকে এই আর্টিকেল পোস্টটি বিস্তারিত সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
এই আর্টিকেল সূচিপত্রঃ কম্পিউটার ও ল্যাপটপের মধ্যে পার্থক্য
- কম্পিউটার ও ল্যাপটপের মধ্যে পার্থক্য কি বিস্তারিত জানুন
- কম্পিউটার কি
- ডেস্কটপ কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ
- ডেস্কটপ কম্পিউটার এর সুবিধা
- ডেস্কটপ কম্পিউটার এর অসুবিধা
- ল্যাপটপ কি
- ল্যাপটপের যন্ত্রাংশ
- ল্যাপটপ এর সুবিধা
- ল্যাপটপ এর অসুবিধা
- আমাদের শেষ মন্তব্য
কম্পিউটার ও ল্যাপটপের মধ্যে পার্থক্য কি ? জেনে নিন বিস্তারিত আলোচনায়
কম্পিউটার ও ল্যাপটপের মধ্যে পার্থক্য কি ? এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে সম্পূর্ণ আর্টিকেল পোস্টে। আমাদের মধ্যে অনেকেরই ধারণা যে, ডেক্সটপ কম্পিউটার দিয়ে যে সকল কাজ করা যায় ল্যাপটপ কম্পিউটার দিয়ে সেইসব কাজ করা যায় না। এই ভুল ধারণাটি সৃষ্টি হয়েছে ডেক্সটপ কম্পিউটার আকৃতিতে অনেক বড় হওয়ার কারণে।
কেউ কেউ ধারণা করে যে, এতে অনেক যন্ত্রাংশ থাকে। আর ল্যাপটপ ছোট হওয়ার কারণে এর ভেতরে যন্ত্রপাতি কম থাকে। ফলে কাজ তুলনামূলকভাবে কমবেশি হয়ে থাকে। বর্তমান তথ্য ও প্রযুক্তির সময়ে ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতির মধ্যে ন্যানো প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। ফলে বড় সাইজের আকৃতি থেকে ছোট আকৃতি করা সম্ভব হচ্ছে।
এবং কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে হাজার গুণ বেশি।একটি ডেস্কটপ কম্পিউটারের যে সকল যন্ত্রপাতি থাকে অপরদিকে ল্যাপটপ কম্পিউটারে একই যন্ত্রপাতি থেকে থাকে। ডেক্সটপ কম্পিউটারের মধ্যে মাদারবোর্ড, হার্ডডিস্ক, মনিটর, র্যাম, রম, প্রসেসর, ইউ এস রিপোর্ট আছে এবং ল্যাপটপ কম্পিউটারের মধ্যে এই সকল জিনিসগুলো রয়েছে।
তবে ডেক্সটপ এবং ল্যাপটপের সুবিধা অসুবিধার মধ্যে একটু পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। যেমন-ল্যাপটপ কিনতে অনেক টাকার প্রয়োজন হয় তুলনামূলকভাবে কম্পিউটার কম টাকায় কেনা যায়।কম্পিউটারের কার্য ক্ষমতা বা গতি নির্ভর করে কম্পিউটারের প্রসেসরের উপর। আমরা কোন ধরনের কাজ করবো সেটার উপর নির্ভর করে কোনটা ভালো ডেক্সটপ নাকি ল্যাপটপ।
যারা শিক্ষার জন্য কম্পিউটার ক্রয় করতে চাই তাদের জন্য বলব ল্যাপটপ অনেক সুবিধা জনক। কারণ ল্যাপটপ যেখানে সেখানে ঝামেলা ছাড়া সহজে বহন করা যায়। আর যারা প্রফেশনালি আউটসোর্সিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং এ সকল কাজ করতে চাই তাদের জন্য ডেক্সটপ কম্পিউটার দরকার।
কারণ ডেক্সটপ কম্পিউটার লং টাইম ধরে চালু রাখলেও কোন সমস্যা হয় না। অন্যথায় ডেক্সটপ কম্পিউটার সাইজে বড় হওয়ায় খুব সহজে ঠান্ডা হতে পারে এবং ভেতরে বড় শক্তিশালী কুলিং ফ্যান ব্যবহার করা হয়।
কম্পিউটার কি
কম্পিউটার ও ল্যাপটপের মধ্যে পার্থক্য এই বিষয় সম্পর্কের মধ্যে জেনে নেয়া যাক কম্পিউটার কি। কম্পিউটার হলো এমন একটি যন্ত্র যা অসংখ্য তথ্য ডাটা গ্রহণ ও ধারণ করতে পারে। সুনির্দিষ্ট নির্দেশ অনুসরণ করে উপাত্তগুলোকে গাণিতিকভাবে বিশ্লেষণ এবং যুক্তি মূলক প্রক্রিয়ায় কাজে লাগাতে পারে।
সেই সাথে প্রোগ্রাম ঠিক করে দিলে নিজে নিজে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশ করতে পারে। একই সাথে আধুনিক কম্পিউটার তথ্য উপাত্ত গ্রহণ, গণনা, বিশ্লেষণ সহ সকল ধরনের কাজ করতে পারি। কম্পিউটার শব্দটি গ্রিক শব্দ, কম্পিউট শব্দ থেকে এসেছে।
কম্পিউট শব্দের অর্থ গণনা করা। কম্পিউটার শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র। মূলত এটি তৈরি করা হয়েছিল গণনার জন্য। কিন্তু বর্তমানে এটি জটিল ও কঠিন হিসাব-নিকাশ ছাড়াও আরো অনেক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে কম্পিউটার।
ডেস্কটপ কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ
ডেস্কটপ কম্পিউটার বিভিন্ন যন্ত্রাংশ দ্বারা কিভাবে কাজ করে ? কম্পিউটার সাধারণত দুইটা জিনিসের মাধ্যমে কাজ করে, এক হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার।
১। হার্ডওয়্যার
২। সফটওয়্যার
হার্ডওয়্যার এর পরিচিতিঃ একটি পার্সোনাল কম্পিউটারের বা ডেস্কটপে যে সমস্ত যন্ত্র থাকে, সিপিইউ কেসিং, কিবোর্ড, মাউস, মনিটর, স্পিকার। এগুলো আমাদের চোখের সামনেই থাকে। এছাড়াও সিপিইউ কেসিং এর ভিতরে আরও অন্যান্য অনেক যন্ত্র থাকে যেমন, প্রসেসর, র্যাম, হার্ডডিস্ক, মাদারবোর্ড, গ্রাফিক্স কার্ড।
সফটওয়্যার পরিচিতিঃ সফটওয়্যার কি ? সফটওয়্যার হল কম্পিউটারের বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করার লক্ষ্যে কম্পিউটারের ভাষায় লিখিত সাজানো নির্দেশ মালা প্রোগ্রাম। প্রোগ্রাম অথবা কতগুলো প্রোগ্রাম সমষ্টি যা কম্পিউটারের হার্ডওয়ার ও ব্যবহারকারীর মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে হার্ডওয়ারকে কার্যক্রম করে তাকেই সফটওয়্যার বলা হয়। কম্পিউটারে আবার দুই ধরনের সফটওয়্যার হয়ে থাকে।
১। সিস্টেম সফটওয়্যার
২। এপ্লিকেশন সফটওয়্যার
সিস্টেম সফটওয়্যার এর পরিচিতিঃ সিস্টেম সফটওয়্যার হল এমন কিছু যা প্রোগ্রাম কিংবা প্রোগ্রামের সমষ্টি যা কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশে একত্রিত করে কাজের সমন্বয় রক্ষা করে ব্যবহারকারিকে কাজের প্রবেশ প্রদান করে থাকে। এখনকার সময়ের জনপ্রিয় কিছু সিস্টেম সফটওয়্যার হল লিনাক্স, ম্যাকএস, উইন্ডোজ ইত্যাদি।
এপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর পরিচিতিঃ বিভিন্ন রকম ব্যবহারিক সমস্যা সমাধান করা বা বিভিন্ন রকম তথ্য-উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের জন্য ব্যবহৃত প্রোগ্রামকে এপ্লিকেশন সফটওয়্যার বলে। এসব অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর মাধ্যমে আপনি প্রয়োজনমতো বিভিন্ন রকম কাজ করতে পারবেন।
যেমন- মাইক্রোসফট এর মাধ্যমে আপনি লেখালেখির কাজ করতে পারবেন, মিডিয়া প্লেয়ারের মাধ্যমে আপনি ভিডিও দেখতে ও গান শুনতে পারবেন, এডোবি ফটোশপের মাধ্যমে আপনি ছবি এডিটের কাজ করতে পারবেন, এবং অটোক্যাড দিয়ে আপনি বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন করতে পারবেন।
ডেস্কটপ কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের পরিচয়ঃ কম্পিউটার ও ল্যাপটপের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে যন্ত্রাংশের বিষয়ের দিকটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভাবে দেখা উচিত। কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সম্পর্কে জানাটাও কম্পিউটারের বেসিক নলেজ এর মধ্যে পড়ে থাকে।
ডেস্কটপ কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ গুলোর মধ্যে রয়েছেঃ -
- মাদারবোর্ড
- হার্ডডিস্ক ড্রাইভ
- পাওয়ার সাপ্লাই
- প্রসেসর
- র্যাম
- রম
- গ্রাফিক্স কার্ড
- সাউন্ড কার্ড
- মনিটর
- কিবোর্ড ও মাউস
- স্পিকার
- প্রিন্টার
- স্ক্যানার
মাদারবোর্ডঃ ডেস্কটপ কম্পিউটারের মাদারবোর্ডে সকল যন্ত্রাংশ পরস্পরের সাথে সংযুক্ত করা হয়।
হার্ডডিস্ক ড্রাইভঃ কম্পিউটার হার্ডডিস্ক ড্রাইভে ডাটা সংরক্ষণ করা হয়। এটা কেন্দ্রীয় তথ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা। রিড এবং রাইট দুইটাই করা যায়।
পাওয়ার সাপ্লাইঃ ডেস্কটপ কম্পিউটারের পাওয়ার সাপ্লাই বক্স সকল যন্ত্রাংশে প্রয়োজন মত বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে। আপনারা মনে রাখবেন সকল যন্ত্রাংশ সমান ভাবে পাওয়ার নেয় না। তাই পাওয়ার সাপ্লাই বক্স প্রয়োজন অনুসারে পাওয়ার দিয়ে থাকে কম্পিউটারে।
প্রসেসরঃ কম্পিউটারের প্রসেসর হল একটি কম্পিউটারের প্রধান চালিকাশক্তি। এটি মাদারবোর্ডের মাঝখানে থাকে। সকল ডাটা এখানে প্রসেসিং করা হয়। এর প্রধান কাজ হল যে কোন ডাটাকে প্রসেস বা প্রক্রিয়াজাত করণের মাধ্যমে কাজের উপযোগী করে তোলে।
আপনি একটি ডেস্কটপ কম্পিউটারের জন্য যত উন্নত মানের ভালো প্রসেসর কিনবেন, তত ভাল স্পিড পাবেন। এটি একটি রকেটের গতির মত কাজ করে। প্রসেসরের স্পিড যত বেশি হবে, তত বেশি স্পিডেই কম্পিউটারের যেকোনো কাজ দ্রুতগতি ভাবে সম্পন্ন হবে।
র্যামঃ কম্পিউটারের র্যাম অস্থায়ী মেমোরি। কাজের সময় যতটুকু প্রয়োজন হয়, ঠিক ততটুকুই ব্যবহার করা হয়। একটি কম্পিউটারের র্যাম এর মূল কাজ হল, কম্পিউটার চলমান অবস্থায় প্রসেসরকে বারংবার তার কাজের কথা মনে করে দেয়া। কম্পিউটারের র্যাম এর সাইজ যত বেশি বড় হয়, তত বেশি স্মৃতি ধারণ করে রাখতে পারে।
মূলত এই কারণেই র্যাম যত বেশি বড় হয়, কম্পিউটারে যেকোনো কাজ তত বেশি রকেটের স্পিডে করতে পারে। কারণ কম্পিউটারের র্যাম একসাথে অনেকগুলো কাজ মনে রাখে এবং প্রসেসরকে বারবার তা মনে করিয়ে দেয়, ফলে প্রসেসরও খুব দ্রুত গতিতে কাজগুলো করতে সক্ষম হয়। তবে কম্পিউটারের মূল কাজটা কিন্তু প্রসেসরই করে থাকে।
রমঃ কম্পিউটারের রম হচ্ছে রিড অনলি মেমোরি যা কম্পিউটারের স্থায়ী মেমোরি হিসেবে পরিচিত। কম্পিউটারের স্মৃতিতে কিছু প্রোগ্রাম এবং ডকুমেন্ট এমনভাবে দেওয়া হয়ে থাকে যা আমরা কোন ভাবেই রি রাইট, ডিলিট বা কিছু করতে পারি না।
কম্পিউটারের সেই স্মৃতিকেই মূলত বলা হয় রম বা রিড অনলি মেমরি। এটাও ডাটা স্টোরেজের জন্য, তবে এটি রিড অনলি মেমরি। শুধু রিড করা যায় রাইট করা যায় না।
গ্রাফিক্স কার্ডঃ কম্পিউটারের মাদারবোর্ডের সাথে মনিটরের কানেক্টিভিটি করে গ্রাফিক্স কার্ড। কম্পিউটারের সকল গ্রাফিক্যাল কাজ করে থাকে এই গ্রাফিক্স কার্ড। তবে এর ক্যাপাসিটি ভিন্নতা রয়েছে কখনো কম বা বেশি হয়ে থাকে। কম্পিউটারের গ্রাফিক্স কার্ড দ্বারা আপনার মনিটরের যাবতীয় আউটপুটকে সুন্দরভাবে দেখাবে।
অর্থাৎ আপনার কম্পিউটারের পিসিতে যত ভাল মানের গ্রাফিক্স কার্ড লাগাবেন, তত বেশি আপনার কম্পিউটারের মনিটর চকচকে সুন্দর ভাবে দেখাবে আপনার সামনে। এবার আসুন জানি, গ্রাফিক্স কার্ড পিসিতে কেন এবং কারা বেশি ব্যবহার করে থাকে।
কম্পিউটারের পিসিতে গ্রাফিক্স কার্ড তারাই বেশি ব্যবহার করে থাকে। যারা মূলত গ্রাফিক্সের কাজ করে এবং হাই কোয়ালিটি রেজুলেশনের গেম খেলে গ্রাফিক্স কার্ড তারাই বেশি ব্যবহার করে থাকে।
সাউন্ড কার্ডঃ একটি কম্পিউটারে সাউন্ড কার্ডের কাজ হল কম্পিউটারের স্পিকারের সাথে মাদারবোর্ডের কানেক্টিভিটি তৈরি করা। কম্পিউটারের স্পিকারের সাউন্ড প্রসেসের কাজ তৈরি করে দেয় সাউন্ড কার্ড। তবে আপনি কম্পিউটারের পিসিতে যত বেশি ভালো মানের সাউন্ড কার্ড লাগাবেন। তত বেশি ভালো মানের সাউন্ড ইফেক্ট পাবেন।
মনিটরঃ কম্পিউটারের মনিটর হলো একটি আউটপুট ডিভাইস। যা ব্যবহারকারী এখানে তার মনিটরের সাহায্যে আউটপুট দেখতে পাই। তবে একটি কম্পিউটারের কাজ করার ক্ষমতার সাথে মনিটরের কোন সম্পর্ক নেই। অর্থাৎ মনিটর ছাড়াই কম্পিউটার তার নিজের কাজ সম্পূর্ণভাবে পরিচালনা করতে পারে।
তবে একজন ব্যবহারকারী তার সুবিধার জন্য ও সঠিকভাবে মনিটরিং করার জন্য একটি মনিটরের প্রয়োজন হয়ে থাকে। যা আমরা কম্পিউটারের মধ্যে যাবতীয় আউটপুট মূলত মনিটরের মাধ্যমে দেখতে পাই।
কিবোর্ড ও মাউসঃ কম্পিউটারের কিবোর্ড ও মাউস এটা একটি ইনপুট ডিভাইস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারী এই ডিভাইস এর মাধ্যমে তথ্য ইনপুট দিয়ে থাকে। একটি কম্পিউটারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইনপুট হার্ডওয়ার হলো কিবোর্ড। একটি কম্পিউটারকে বিভিন্ন ইন্সট্রাকশন দিয়ে থাকি।
আমরা টাইপ করি কিবোর্ড এর মাধ্যমেই। কম্পিউটার সে অনুযায়ী কাজ করে থাকে। কম্পিউটারের আরেকটি কিবোর্ডের মতোই গুরুত্বপূর্ণ ইনপুট হার্ডওয়ার হল মাউস। কিবোর্ড যেমন টাইপ করার মাধ্যমে কম্পিউটারকে ইন্সট্রাকশন দিয়ে থাকে।
তেমনি একটা কম্পিউটারে মাউস দিয়ে ক্লিক করার মাধ্যমে যাবতীয় ইন্সট্রাকশন দেওয়া হয় মাউস দিয়ে। এছাড়াও কম্পিউটারের টুকিটাকি আরো অন্যান্য বেশ কিছু যন্ত্রাংশ রয়েছে, যা দিয়ে আপনি বিভিন্ন কার্য সম্পাদনার ক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারবেন।
স্পিকারঃ কম্পিউটারে এটা একটি আউটপুট ডিভাইস হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যা কম্পিউটার ব্যবহারকারী কম্পিউটারের যাবতীয় আউটপুট শব্দ শুনতে পাই।
প্রিন্টারঃ কম্পিউটারের আউটপুট ডিভাইস হিসেবে ব্যবহার করা হয় প্রিন্টার। এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের আউটপুট কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। এবার আসুন জানি প্রিন্টার কি ও প্রিন্টার কি কাজে ব্যবহার করা হয়। যে হার্ডওয়্যার আউটপুট ডিভাইস যা হার্ড কপি তৈরি করতে এবং কম্পিউটার থেকে ডাটা বা আউটপুট গ্রহণ করে কাগজে তথ্য হস্তান্তর করে তাকে প্রিন্টার বলে।
প্রিন্টার এমন এক ধরনের হার্ডওয়ার ডিভাইস যার দ্বারা কম্পিউটার স্ক্রিনে যে আউটপুট প্রদর্শিত হয় সেইগুলো কাগজের ওপর ছাপাতে পারি। যে জিনিসগুলো আমরা প্রিন্টারের মাধ্যমে কাগজের ওপর প্রিন্ট করতে পারি। সেগুলো হলো যেকোনো ধরনের নথি যেমন টেক্সট, ফাইল, ছবি, ডকুমেন্ট ইত্যাদি।
স্ক্যানারঃ একটি কম্পিউটারের স্ক্যানার হলো এমন এক ধরনের হার্ডওয়ার ইলেকট্রনিক যা ইনপুট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যেটির সাহায্যে যেকোনো ডাটা স্ক্যান করে নিয়ে যেতে পারি কম্পিউটারে। অর্থাৎ এটির সাহায্যে যেকোন ডকুমেন্ট, লেখা বা ফটো স্ক্যান করতে পারি এবং সেগুলোকে ডিজিটাল ফরম্যাটে রূপান্তরিত করতে পারি।
ডেস্কটপ কম্পিউটার এর সুবিধা
কম্পিউটার ও ল্যাপটপের মধ্যে পার্থক্য বলতে ডেস্কটপ কম্পিউটারের যেমন সুবিধা আছে তেমন অসুবিধাও আছে। তেমনি আবার ল্যাপটপেরও সুবিধা অসুবিধা আছে। মানব জীবনে নিত্য প্রয়োজনে কম্পিউটারের প্রয়োজনীয়তা অন্যতম। প্রয়োজনীয়তার দিক থেকেও কম্পিউটারের বিশেষ কিছু সুবিধা রয়েছে।
কম্পিউটার প্রযুক্তির কারণে মানুষের জীবনযাত্রা অতি সহজতর হয়েছে। কম্পিউটারের সুবিধার মধ্যে একটি বড় সুবিধা হল এটি একসঙ্গে অনেকগুলো কাজ করতে পারে। এবং সেই সাথে কম্পিউটার একদম নির্ভুল ভাবে কাজ করে থাকে। ফলে সময় এবং পরিশ্রম দুটোই কম ব্যয় হয়।
কম্পিউটারের আরো একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা রয়েছে যেটি হল কম্পিউটার দ্বারা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সকল ধরনের অনলাইন ও অফলাইন কোর্স, ফ্রিল্যান্সিং, ও আউটসোর্সিং কাজ করা যায়। কম্পিউটারের আরেকটি সুবিধার মধ্যে রয়েছে দ্রুত গতিতে কাজ সম্পূর্ণ করা। কম্পিউটার দ্রুত গতিতে কাজ করে ফলে আমাদের কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি করে।
কম্পিউটার এক ন্যানো সেকেন্ডেরও কম সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করে থাকে। কম্পিউটার মাত্র কয়েক সেকেন্ডে কয়েক হাজার কাজ কমপ্লিট করে থাকে। গাণিতিক কোন কাজ মানুষের দ্বারা করতে গেলে অনেক সময় ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু কম্পিউটারের মাধ্যমে গাণিতিক কাজ নির্ভুলভাবে কম সময়ে দ্রুত করা যায়।
কম্পিউটারের ধারণক্ষমতা অনেক বেশি এটি একটি সুবিধার মধ্যে পড়ে। কম্পিউটার অনেক বেশি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন হওয়ায় একসঙ্গে অনেকগুলো ডেটা সংরক্ষণ করে রাখা যায়। চুরি হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না। ফলে কম্পিউটারে অন্যান্য ক্ষেত্র থেকে ডাটা অনেক বেশি সুরক্ষিত থাকে। ডেস্কটপ কম্পিউটার ল্যাপটপের থেকে কম মূল্যে ক্রয় করা সম্ভব হয়।
ফলে বর্তমান সময়ে কম্পিউটার ক্রয় করার ক্ষমতা একজন সাধারণ মানুষেরও আওতায় চলে এসেছে। কম্পিউটার ব্যবহারের ফলে একটি প্রতিষ্ঠানের কাজের চাপ কমে এসেছে। কারণ যে কাজ কয়েক সংখ্যক লোক মিলে করে সেটি কম্পিউটার নিজে একাই সম্পন্ন করতে পারে। কম্পিউটারের আরেকটি বড় সুবিধা হিসেবে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে থাকে।
এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে থাকা ব্যক্তির সাথে দ্রুত সময়ের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে থাকে। এছাড়াও একটি প্রতিষ্ঠানের একটি কাজ সম্পন্ন করতে অনেকগুলো নথিপত্রের প্রয়োজন হয়ে থাকে। কিন্তু কম্পিউটার প্রযুক্তির জন্য এ সকল নথিপত্র কোন প্রয়োজন পড়ে না।
কম্পিউটার স্টোরেজ সংরক্ষণ ক্ষমতা অনেক বেশি হওয়ায় একসঙ্গে অনেকগুলো ডকুমেন্ট আলাদা আলাদা নাম দিয়ে সংরক্ষণ করে রাখা যায়। ফলে আগে যে কাগজ-কলমে হিসাব নিকাশের নথিপত্র গুলো খুঁজে পেতে সমস্যা হতো। এখন কম্পিউটার প্রযুক্তি থাকায় এ সকল সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না।
ডেস্কটপ কম্পিউটার এর অসুবিধা
কম্পিউটার ও ল্যাপটপের মধ্যে পার্থক্য বলতে ডেস্কটপ কম্পিউটারের যেমন সুবিধা আছে তেমন অসুবিধাও আছে। প্রিয় পাঠক আপনারা জেনেছেন উপরে ডেস্কটপ কম্পিউটারের সুবিধা সম্পর্কে। এবার আপনাদের জানাবো ডেস্কটপ কম্পিউটার এর অসুবিধা সম্পর্কে। কম্পিউটারের সুবিধার পাশাপাশি অনেকগুলো অসুবিধা লক্ষ্য করা যায়।
কম্পিউটারের অসুবিধার মধ্যে একটি বড় অসুবিধা হলো কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে যাওয়া। আগে যে কাজে অনেক সংখ্যক লোকের প্রয়োজন হতো সেখানে এখন খুব অল্প সংখ্যক লোকের মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করা যাচ্ছে। ফলে অনেক মানুষ তার কাজ হারাচ্ছে। ভাইরাস এবং হ্যাকিং এর মত একটি বড় অসুবিধা রয়েছে।
কম্পিউটারের মধ্যে ইন্টারনেটের ব্যবহার হয়ে থাকে হলে ভাইরাস ঢোকার সম্ভাবনাও বেশি থাকে। যার কারণে হ্যাকিং এর মধ্য দিয়ে তথ্য চুরির মত সমস্যাটি দেখা যায়। ফলে কম্পিউটারে থাকা সমস্ত ডাটা চুরির ভয় থেকে থাকে। সাইবার ক্রাইমের ব্যাপারটিও এখন খুব বেশি লক্ষ্য করা যায়।
কম্পিউটারের জন্য অনলাইনের মাধ্যমে প্রচুর ক্রাইম ও জালিয়াতি এর সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। এছাড়াও ডেক্সটপ কম্পিউটার সহজে যেখানে সেখানে বহন করা সম্ভব হয় না। কম্পিউটারের মধ্যে সময় নষ্টের ব্যাপারটাও চলে আসে। অনেক মানুষ আছে যারা শুধু বিনোদনের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকে।
অর্থাৎ ভিডিও, গেম, অ্যাপ্লিকেশন এগুলোর মাধ্যমে সময় নষ্ট করে থাকে। বেশিরভাগ মানুষের কাছে কম্পিউটার কোন ব্যাপার নয়। কিন্তু কম্পিউটার ব্যয়বহুল হওয়ায়। এমন কিছু মানুষ আছে যাদের সাধ্যের বাইরে যে কারণে তারা পুরনো নিয়মে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ডেক্সটপ এর আরেকটি বড় অসুবিধা হলো বিদ্যুৎ ছাড়া ব্যবহার করা যায় না।
ল্যাপটপ কি
কম্পিউটার ও ল্যাপটপের মধ্যে পার্থক্য কি বিস্তারিত জেনে নিন। এই বিষয়টি জানার পাশাপাশি এবার জেনে নিন ল্যাপটপ কি? ল্যাপটপ হল কোলের ওপরে রেখে কাজ করা যায় এমন ছোট কম্পিউটারকে ল্যাপটপ বলে। ল্যাপটপ কম্পিউটার টি নোটবুক বা পাওয়ার বুক ইত্যাদি নামেও পরিচিত।
ল্যাপটপ হল ব্রিফকেস বা ছোট আকৃতির, সহজেই যেখানে সেখানে বহনযোগ্য একটি ছোট কম্পিউটার। তাই যে কোন স্থানে তাৎক্ষণিকভাবে রেখে এর দ্বারা কাজ করা সম্ভব হয়। ১৯৮১ সালে এপসম কোম্পানি সর্বপ্রথম ল্যাপটপ চালু করেন।
ল্যাপটপের যন্ত্রাংশ
কম্পিউটার ও ল্যাপটপের মধ্যে পার্থক্য কি বিস্তারিত আলোচনা করেছি সম্পূর্ণ আর্টিকেল পোস্টে। এবার আপনাদের মাঝে আলোচনা করব ল্যাপটপের যন্ত্রাংশ সম্পর্কে বিস্তারিত।
সাধারণভাবে একটি ল্যাপটপে একটি টাচপ্যাড, ওয়েবক্যাম, মাউস এবং স্পিকার সহ বিভিন্ন আউটপুট ও ইনপুট ডিভাইস সহ সম্পন্ন হয়ে থাকে। এছাড়াও একটি ল্যাপটপে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রাংশ থাকে তার মধ্যে রয়েছে -
- হার্ড ড্রাইভ
- প্রসেসর
- গ্রাফিক্স কার্ড
- ডিসপ্লে
- মেমোরি
- ব্যাটারি
- কিবোর্ড এবং টাচপ্যাড
হার্ড ড্রাইভঃ ল্যাপটপের মধ্যেকার হার্ড ড্রাইভ হলো দীর্ঘমেয়াদি স্টোরেজ। এটি ল্যাপটপের সমস্ত ডাটা সংরক্ষণ করে যেমন ফাইল, অ্যাপ্লিকেশন, প্রোগ্রাম। একটি ল্যাপটপে হার্ড ড্রাইভ যত বড় হবে তত বেশি ডাটা সংরক্ষণ ধারণ ক্ষমতা বেশি থাকবে।
প্রসেসরঃ প্রসেসর হল CPU যার পূর্ণ রূপ (central processing unit) হলো ল্যাপটপের মস্তিষ্ক।ল্যাপটপের সকল প্রক্রিয়াকরণের কাজ সম্পন্ন করে থাকে ল্যাপটপের সিপিইউ। প্রসেসর যত উন্নত হবে ল্যাপটপ তত দ্রুত কাজ করবে।
গ্রাফিক্স কার্ডঃ ল্যাপটপের স্ক্রিনে ছবির রেন্ডার করার জন্য গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করা হয়। একটি ল্যাপটপের গ্রাফিক্স কার্ড যত ভাল হবে ছবি রেন্ডার বা ভিজ্যুয়াল পারফরম্যান্স তত ভালো হবে।
ডিসপ্লেঃ ল্যাপটপের স্কিন ডিসপ্লে নামে পরিচিত। ডিসপ্লের আকার এবং রেজুলেশন ভিজ্যুয়াল গুলি কতটা পরিষ্কার তীক্ষ্ণ হবে তা নির্ধারণ করে ।
মেমোরিঃ ল্যাপটপের স্বল্প মেয়াদী স্টোরেজ হল র্যাম বা মেমরি। একটি ল্যাপটপের মেমরি বা র্যাম যত বেশি হবে ডাটা সঞ্চয় ধারণ ক্ষমতা তত বেশি হবে।
ব্যাটারিঃ ল্যাপটপকে শক্তি দিয়ে থাকে ব্যাটারি। ব্যাটারি যত বড় হবে চার্জের ধারন ক্ষমতা তত বেশি হবে। এবং ল্যাপটপ একবার চার্জে তত বেশিক্ষণ সময় ধরে চলবে।
কিবোর্ড এবং টাচপ্যাডঃ কিবোর্ড এবং টাচ প্যাড হল ল্যাপটপের ইনপুট ডিভাইস কিবোর্ড ব্যবহার করা হয় লেখা টাইপ করার জন্য আর টাচপ্যাড ব্যবহার করা হয় স্কিন কার্সার সরাতে বা সোয়াইপ করতে। এবং স্কিনের আইটেম সিলেক্ট করতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ল্যাপটপ এর সুবিধা
কম্পিউটার ও ল্যাপটপের মধ্যে পার্থক্য বলতে ডেস্কটপ কম্পিউটারের যেমন সুবিধা আছে তেমন অসুবিধাও আছে। তেমনি আবার ল্যাপটপেরও সুবিধা অসুবিধা আছে। প্রিয় পাঠক আপনি উপরোক্ত আলোচনায় জেনেছেন ডেস্কটপ কম্পিউটারের সুবিধা সম্পর্কে। এবার আপনি জেনে নিন ল্যাপটপ এর সুবিধা সম্পর্কে।
- ল্যাপটপ সাইজের ছোট হওয়ায় যেখানে সেখানে সহজেই স্থানান্তর করা যায়।
- ল্যাপটপে বিল্ট ইন ব্যাটারি রয়েছে যার কারনে বিদ্যুৎ ছাড়াও এটি অনেকক্ষণ সময় ধরে ব্যবহার করা যায়।
- ল্যাপটপে অতিরিক্ত কোন স্পিকার, পিসি, মাউস, কিবোর্ড এর প্রয়োজন পড়ে না।
- ল্যাপটপে ভিডিও কলে কথা বলার জন্য অতিরিক্ত কোন ক্যামেরা ও মাইক্রোফোনের প্রয়োজন পড়ে না।
- ল্যাপটপ ছোট হওয়ায় যে কোন জায়গায় ব্যবহার করা যায় খুব সহজেই।
- ল্যাপটপের মাউস এর পরিবর্তে টাচপ্যাড ব্যবহার করা হয়।
ল্যাপটপ এর অসুবিধা
কম্পিউটার ও ল্যাপটপের মধ্যে পার্থক্য কি বিস্তারিত জেনে নিন। এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে সম্পূর্ণ আর্টিকেল পোস্টে। চলুন এবার আপনি জেনে নিন ল্যাপটপের অসুবিধা সম্পর্কে। ডেক্সটপ কম্পিউটারের ক্ষেত্রে কোন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা সহজে প্রতিস্থাপন করা যায়।
এদিকে ল্যাপটপের কোন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা সহজে খুঁজে পাওয়া যায় না। ফলে এগুলোর দামও তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি হয়ে থাকে। ডেক্সটপ পিসির চেয়ে তুলনামূলক ভাবে সাধারণ মানের ল্যাপটপের ক্ষমতা কম হয়ে থাকে। আর ডেক্সটপের সমান ক্ষমতা-সম্পন্ন ল্যাপটপের দাম অনেক বেশি।
তাই দামের দিক থেকে তুলনা করলে দেখা যায়। ডেক্সটপ এর চেয়ে ল্যাপটপের দাম তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। ডেক্সটপ পিসির আকৃতি বড় হওয়ায় এক স্থানে রাখা হয়। অপরদিকে ল্যাপটপ আকৃতিতে ছোট হওয়ায় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সহজেই বহন করা যায়।
যে কারণে হাত থেকে পড়ে সহজে ভেঙে যেতে পারে। ল্যাপটপে খুচরা যন্ত্রাংশ খুঁজে পাওয়া অনেক কঠিন এবং তার দামও অনেক বেশি।
আমাদের শেষ মন্তব্য
উপরোক্ত আলোচনায় বিস্তারিতভাবে বোঝানো হয়েছে, কম্পিউটার ও ল্যাপটপের মধ্যে পার্থক্য কি ? এই বিষয় সম্পর্কে। আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন। তাহলে আশা করছি, কম্পিউটার ও ল্যাপটপের মধ্যে পার্থক্য কি ? এই বিষয় সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা পেয়ে গেছেন।
তাই আপনি, এই সমস্ত আরো গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্যমূলক আর্টিকেল পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন। আপনার যদি এই আর্টিকেল পোস্টটি ভাল লেগে থাকে, তাহলে আপনার পরিচিত আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করে দেবেন।
সবশেষে বলব কম্পিউটার ও ল্যাপটপের মধ্যে পার্থক্য কি ? এই আর্টিকেল পোস্টটি আপনার কেমন লেগেছে মন্তব্য করে জানাবেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ !
ডিজিটাল মার্কেটিং আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্টে রিভিউ করা হয়।
comment url