কম্পিউটারের বেসিক শিক্ষা ও কম্পিউটারের বেসিক তথ্য সমূহ সম্পর্কে জেনে নিন
আপনাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলে পোস্টে থাকছে, কম্পিউটারের বেসিক শিক্ষা ও কম্পিউটারের বেসিক তথ্য সমূহ সম্পর্কে সম্পূর্ণ বিস্তারিত বিষয়। এই বিষয়ে আপনাদের জানাতেই মূলত আজকের এই আর্টিকেল পোস্ট।
আপনি যদি আমাদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত থাকেন তাহলে, কম্পিউটারের বেসিক শিক্ষা ও কম্পিউটারের বেসিক তথ্য সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আপনি এই আর্টিকেল পোস্টটি সম্পূর্ণ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আশা করছি আপনি কম্পিউটারের বেসিক শিক্ষা ও তথ্য সমূহ সম্পর্কে একটি ভাল ধারণা পেয়ে যাবেন।
পোস্ট সূচিপত্র ঃ কম্পিউটারের বেসিক শিক্ষা ও কম্পিউটারের বেসিক তথ্য সমূহ
- কম্পিউটারের বেসিক শিক্ষা ও কম্পিউটারের বেসিক তথ্য সমূহ
- কম্পিউটারের ইতিহাস
- কম্পিউটার পরিচিতি
- বর্তমান আধুনিক কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য
- কম্পিউটারের হার্ডওয়ারের পরিচিতি
- কম্পিউটারের সফটওয়্যার কি
- কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের পরিচয়
- কম্পিউটার কি
- কম্পিউটার শিক্ষা
- কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব
- কম্পিউটার শিক্ষা ব্যবস্থা
- লেখকের শেষ কথা
কম্পিউটারের বেসিক শিক্ষা ও কম্পিউটারের বেসিক তথ্য সমূহ
মানব জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে কম্পিউটার। তাই কম্পিউটারের বেসিক শিক্ষা ও কম্পিউটারের বেসিক তথ্য সমূহ বিস্তারিত জানুন। যুগে যুগে বিজ্ঞান মানুষের হাতে তুলে দিয়েছে অভাবনীয় সব আবিষ্কার। এইসব আবিষ্কার মানুষের জীবনযাত্রাকে ক্রমান্বয়ে সহজ থেকে সহজতর করে তুলেছে।
এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিস্ময়কর এবং কার্যক্ষমতা সম্পন্ন আবিষ্কার হলো কম্পিউটার। বিংশ শতাব্দীতে আবিষ্কৃত এ যন্ত্রটিকে যন্ত্র মস্তিষ্ক বলাটা অনেকাংশেই সঙ্গত। বহুমুখী ও বিচিত্র কর্মদক্ষতার অধিকারী, দ্রুত গতি সম্পন্ন এই যন্ত্রটি সময়ের অপচয় নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি মানুষের কার্যক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধিতেও সহায়ক।
শক্তিশালী এ যন্ত্রটির ব্যবহার অপেক্ষাকৃত সহজ, ফলে এটি অতি দ্রুত মানবজীবনের একটি অপরিহার্য অংশে পরিণত হয়েছে। তাই মানব জীবনের এই অপরিহার্য জিনিসটিকে যদি সঠিক ব্যবহার করতে চায় তাহলে অবশ্যই আমাদের কম্পিউটারের বেসিক শিক্ষা ও কম্পিউটারের বেসিক তথ্য সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা অত্যন্ত আবশ্যক।
কম্পিউটারের ইতিহাস
কম্পিউটারের বেসিক শিক্ষা ও কম্পিউটারের বেসিক তথ্য সমূহের মধ্যে প্রথমেই কম্পিউটারের ইতিহাস সম্পর্কে জানাবো বা আলোচনা করব। ইতিহাসের পূর্ববর্তী যুগে গণনার যন্ত্র উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রচেষ্টাকে কম্পিউটার ইতিহাস হিসেবে ধরা হয়। প্রাচীনকালে মানুষ একসময় সংখা বোঝানোর জন্য ঝিনুক, নুরী, দড়ির গিট ইত্যাদি ব্যবহার করত।
পরবর্তী গণনার কাজে বিভিন্ন কৌশল ও যন্ত্র ব্যবহার করে থাকলেও অ্যাবাকাস নামক একটি প্রাচীন গণনা যন্ত্রকেই কম্পিউটারের ইতিহাসে প্রথম যন্ত্র হিসেবে ধরা হয়। এটি আবিষ্কৃত হয় খ্রিস্টপূর্ব ২৪০০ সালে ব্যাবিলনে। পরবর্তীতে ফরাসি বিজ্ঞানী ব্লেইজ প্যাসকেল (Basic pascal) ১৬৪২ সালে সর্বপ্রথম যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর আবিষ্কার করেন।
অনেক বিবর্তনের মধ্য দিয়ে উনিশ শতকের গোড়ার দিকে চার্লস ব্যাবেজ, এমন একটি গণনা যন্ত্র আবিষ্কার করেন যেটি কেবলমাত্র যান্ত্রিকভাবে, মানুষের সহায়তা ছাড়াই গাণিতিক হিসাব করতে পারে।এর নাম দিয়েছিলেন ডিফারেন্স ইঞ্জিন। এই যন্ত্র নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে তিনি আরো উন্নত সার্বজনীন একটি যন্ত্রের ধারণা লাভ করেন।
যদিও প্রয়োজনীয় যন্ত্রের অভাবে ব্যাবেজ তার গবেষণালব্ধ ধারণাটিকে বাস্তবে রূপ দিয়ে যেতে পারেননি। তবে তার পরিকল্পিত গণনাযন্ত্রটিই পরবর্তীকালে আধুনিক কম্পিউটারের ধারণা দিয়েছে। মূলত আধুনিক কম্পিউটারের সূত্রপাত ঘটেছে ১৮৩৩ সালে।
কম্পিউটার পরিচিতি
কম্পিউটারের বেসিক শিক্ষা ও কম্পিউটারের বেসিক তথ্য সমূহ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে সম্পূর্ণ আর্টিকেল পোস্টে। কম্পিউটারের বাংলা অর্থ হলো গণনার যন্ত্র বা মেশিন। কম্পিউটার হল এক ধরনের সাধারণ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত একটা যন্ত্র। এই বৈদ্যুতিক যন্ত্র বা ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস এক ধরনের সাধারণ ডিজিটাল সার্কিট্রি নিয়ে তৈরি।
একটি পরিবর্তনশীল প্রোগ্রামের নির্দেশাবলী অনুসারে গণক যন্ত্র বাইনারি আকারে তথ্য সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়াকরণ করে থাকে। এই ইলেকট্রনিক ডিভাইসের সাহায্যে আমরা গণনা করতে পারি, গান শুনতে পারি, অডিও ভিডিও ফাইল চালাতে পারি, কোন জটিল হিসেবের কাজ করতে পারি।
কম্পিউটার হলো তথ্য সংরক্ষণ করার একটা নির্ভরযোগ্য মাধ্যম। আর এই কম্পিউটার বৈদ্যুতিক সংকেত হিসাবে তথ্য গ্রহণ করে থাকে। কম্পিউটারের একটি সুপরিচিত প্রোগ্রাম ভাষা বা ল্যাঙ্গুয়েজ হল বাইনারি (০,১ সংখ্যা দিয়ে গঠিত ভাষা)।
কম্পিউটারের ডিভাইস দুই ভাগে বিভক্ত। একটি হলো ইনপুট ডিভাইস এবং আরেকটি আউটপুট ডিভাইস।
১। ইনপুট ডিভাইস
২। আউটপুট ডিভাইস
ইনপুট ডিভাইসঃ যার মাধ্যমে কম্পিউটার ডেটা গ্রহণ করে সেগুলোকে ইনপুট ডিভাইস বলে যেমন, পেনড্রাইভ, মেমোরি কার্ড, সিডি ড্রাইভ, ইউ এস বি ড্রাইভ ইত্যাদি।
আউটপুট ডিভাইসঃ আমাদের ইনপুট কৃত তথ্য কম্পিউটার প্রসেসিং এর মাধ্যমে যে রেজাল্ট আমাদেরকে দেয় তাকে আউটপুট ডিভাইস বলে যেমন, মনিটর, প্রিন্টার, স্পিকার, ইত্যাদি।
বর্তমান আধুনিক কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য
কম্পিউটারের বেসিক শিক্ষা ও কম্পিউটারের বেসিক তথ্য সমূহ জেনে নিন। এই বিষয়ে আলোচনা করেছি সম্পূর্ণ আর্টিকেল পোস্টে। এবার আলোচনা করব বর্তমান আধুনিক কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। একটি কম্পিউটার যন্ত্র সংক্রিয়ভাবে মুহূর্তের মধ্যে জটিল গণনার ফল প্রকাশ করতে সক্ষম।
একটি কম্পিউটারের মেমোরি বা স্টোরেজ ক্ষমতা অনেক বেশি এবং একে অবশ্যই বাড়ানো বা কমানো যায়। এ যন্ত্রটি নির্ভুলভাবে কাজ করে। কম্পিউটার সাধারণত দুইটা জিনিসের মাধ্যমে কাজ করে- হার্ডওয়ার এবং সফটওয়্যার।
কম্পিউটারের হার্ডওয়ারের পরিচিতি
কম্পিউটারের বেসিক শিক্ষা ও কম্পিউটারের বেসিক তথ্য সমূহের মধ্যে জেনে নিন কম্পিউটারের হার্ডওয়ারের পরিচিতি সম্পর্কে। একটি পার্সোনাল কম্পিউটার বা ডেস্কটপ কম্পিউটারে যে সমস্ত যন্ত্র থাকে সেগুলোর মধ্যে সিপিইউ ক্যাসিং, কীবোর্ড, মাউস, মনিটর, স্পিকার এ সকল যন্ত্রগুলো আমরা চোখের সামনে দেখতে পাই।
এছাড়া সিপিইউ ক্যাসিং এর ভেতরে অন্যান্য অনেক যন্ত্রপাতি থাকে, যেমন প্রসেসর, র্যাম, হার্ডডিক্স, মাদারবোর্ড গ্রাফিক্স কার্ড।
কম্পিউটারের সফটওয়্যার কি?
কম্পিউটারের বেসিক শিক্ষা ও কম্পিউটারের বেসিক তথ্য সমূহ জেনে নিন। এই বিষয়ে উপরোক্ত আলোচনায় বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে। এবার জেনে নিন কম্পিউটারের সফটওয়্যার কি?
কম্পিউটারের সফটওয়্যার হল প্রোগ্রাম অথবা কতগুলো প্রোগ্রাম সমষ্টি যা কম্পিউটারের হার্ডওয়ার ও ব্যবহারকারীর মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে হার্ডয়্যার কে কার্যক্ষম করে তাকে সফটওয়্যার বলা হয় । সফটওয়্যার আবার দুই ধরনের হয়ে থাকে-
১। সিস্টেম সফটওয়্যার
২। অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার
১। সিস্টেম সফটওয়্যারঃ সিস্টেম সফটওয়্যার হল এমন কিছু প্রোগ্রাম যা কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশকে একত্রিত করে কাজের সময় রক্ষা করে ব্যবহারকারীকে কাজের পরিবেশ প্রদান করে। এখনকার সময়ের জনপ্রিয় কিছু সিস্টেম সফটওয়্যার এর নাম- লিনাক্স, ম্যাক্সএস, উইন্ডোজ ইত্যাদি।
২। এপ্লিকেশন সফটওয়্যারঃ অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার হল অন্যরকম ব্যবহারিক সমস্যা সমাধান করা বা বিভিন্ন রকম তথ্য উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের জন্য ব্যবহৃত প্রোগ্রাম। অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর মাধ্যমে আপনি প্রয়োজন মতো বিভিন্ন রকম কাজ করতে পারবেন।
যেমন মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এপ্লিকেশন এর মাধ্যমে আপনি লেখালেখির কাজ করতে পারবেন, মিডিয়া প্লেয়ারের মাধ্যমে আপনি ভিডিও দেখতে ও গান শুনতে পারবেন, এডোবি ফটোশপের মাধ্যমে আপনি ছবি এডিটিং এর কাজ করতে পারবেন।
কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের পরিচয়
কম্পিউটারের বেসিক শিক্ষা ও কম্পিউটারের বেসিক তথ্য সমূহ জেনে নিন। এই বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই বিষয়টি জানার পাশাপাশি আপনাদের জেনে রাখা উচিত কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের পরিচয় সম্পর্কে।
কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের পরিচয় সম্পর্কে জানাটাও কম্পিউটার বেসিক নলেজ এর মধ্যে পড়ে থাকে কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ গুলোর মধ্যে রয়েছে-
- হার্ডডিক্স ড্রাইভ
- প্রসেসর
- মাদারবোর্ড
- সাউন্ড কার্ড
- গ্রাফিক্স কার্ড
- র্যাম
- রম
- পাওয়ার সাপ্লাই
- স্পিকার
- মনিটর
- কিবোর্ড ও মাউস
- প্রিন্টার ও স্ক্যানার
হার্ড ডিস্ক ড্রাইভঃ হার্ডডিস্ক ড্রাইভ হলো একটি কেন্দ্রীয় তথ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা এতে ডাটা সংরক্ষণ করা হয়।
প্রসেসরঃ প্রসেসর হলো প্রসেসিং ইউনিট। যেখানে সকল ডাটা এখানে প্রসেসিং করা হয়।
মাদারবোর্ডঃ এখানে সকল যন্ত্রাংশ পরস্পরের সাথে সংযুক্ত করা হয়।
সাউন্ড কার্ডঃ সাউন্ড কার্ড স্পিকারের সাথে মাদারবোর্ডের কানেক্টিভিটি তৈরি করে থাকে।
গ্রাফিক্স কার্ডঃ মাদারবোর্ডের সাথে মনিটরের কানেক্টিভিটি করে থাকে গ্রাফিক্স কার্ড।
র্যামঃ র্যাম হল একটি অস্থায়ী মেমোরি। কাজের সময় যতটুকু প্রয়োজন হয় ঠিক ততটুকুই ব্যবহার করা যায়।
রমঃ এটি একটি স্থায়ী মেমোরি ডাটা স্টোরেজ এর জন্য এটি রিড অনলি মেমোরি শুধু রিট করা যায় রাইট করা যায় না।
পাওয়ার সাপ্লাইঃ পাওয়ার সাপ্লাই বক্স সকল যন্ত্রাংশকে প্রয়োজন মত বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে। সকল যন্ত্রাংশ সমান পাওয়ার নেয় না। পাওয়ার সাপ্লাই বক্স তাই প্রয়োজন অনুসারে পাওয়ার সাপ্লাই করে থাকে।
স্পিকারঃ এটা একটি আউটপুট ডিভাইস ব্যবহারকারী এখানে তার আউটপুট শুনতে পায়।
মনিটরঃ এটিও একটি আউটপুট ডিভাইসের মধ্যে পড়ে। ব্যবহারকারী এখানে তার আউটপুট দেখতে পায়।
কিবোর্ড ও মাউসঃ কিবোর্ড ও মাউস একটি ইনপুট ডিভাইস। এই ডিভাইসটির মাধ্যমে ব্যবহারকারী তার তথ্য ইনপুট করে থাকে।
প্রিন্টার ও স্ক্যানারঃ এটা একটি আউটপুট ডিভাইস স্ক্যানার এই ডিভাইসের মাধ্যমে আউটপুট নিয়ে থাকে।
কম্পিউটার কি?
কম্পিউটারের বেসিক শিক্ষা ও কম্পিউটারের বেসিক তথ্য সমূহ জেনে নিন এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে সম্পূর্ণ পোস্টে। এবার আপনাদের মাঝে আলোচনা করব কম্পিউটার কি সেই সম্পর্কে। কম্পিউটার বলতে এমন একটি ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রকে বোঝা যায় যা অগণিত উপাত্ত গ্রহণ করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিশ্লেষণ করে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত দিতে পারে।
(কম্পিউটার) শব্দটি ইংরেজি এবং এর অর্থ হলো (গণকযন্ত্র)। কম্পিউটার হিসাবের যন্ত্র হিসেবে যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ জাতীয় অংক কষতে পারে। এছাড়া তথ্যাদির বিশ্লেষণ ও তুলনা করা এবং সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এ যন্ত্রটির। গণিত যুক্তি ও সিদ্ধান্তমূলক কাজের সঙ্গে কম্পিউটারের সংযোগ।
কাজের গতি বিশুদ্ধতা ও নির্ভরশীলতার দিক থেকে কম্পিউটারের ক্ষমতা মানুষের চেয়ে অনেক বেশি উন্নত। বর্তমান জীবন একান্তভাবেই বিজ্ঞান নির্ভর। বিজ্ঞানের আবিষ্কার ও উদ্ভাবন জীবনের প্রতি ক্ষেত্রেই মানুষের নানা প্রয়োজন মেটাচ্ছে। কেবল তাই নয়, বিজ্ঞান মানুষের দৃষ্টিভাঙ্গিতেও আমূল পরিবর্তন এনেছে।
বিজ্ঞান শুধু মানুষের দৈনন্দিন জীবনকেই সমৃদ্ধ করেনি, তার চিন্তাজগৎকেও প্রভাবিত করেছে। উন্নতির দিকে নিয়ে গেছে মানবসভ্যতাকে। এই উন্নতির মূলে কাজ করেছে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতি। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বৈচিত্র্যপূর্ণ কাজে-কর্মে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে তথ্য প্রযুক্তির এক পরম বিস্ময়কর আবিষ্কার কম্পিউটার।
মানুষের সুখ-স্বাচ্ছন্দে, প্রয়োজনীয় কাজে-কর্মে, বিনোদনসহ সকল ক্ষেত্রেই কম্পিউটার অতুলনীয় সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। যান্ত্রিক সভ্যতার চালিকাশক্তি হিসেবে কম্পিউটার আজ ঘরে ঘরে স্থান করে নিয়েছে। কম্পিউটারের উপযোগিতা ও প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে, এর ব্যাপক ব্যবহার এখন সর্বজন স্বীকৃত।
আধুনিক কম্পিউটার হলো এমন একটি যন্ত্র যা অসংখ্য তথ্য (Data) গ্রহণ ও ধারণ করতে পারে এবং সুনির্দিষ্ট নির্দেশ অনুসরণ করে উপাত্তগুলোকে গাণিতিকভাবে বিশ্লেষণ এবং যুক্তিমূলক প্রক্রিয়ায় কাজে লাগাতে পারে। সেই সাথে প্রোগ্রাম ঠিক করে দিলে নিজে নিজে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশ করতে পারে।
Computer শব্দটি গ্রিক শব্দ Compute থেকে এসেছে। আক্ষরিক অর্থে Compute শব্দটির মানে হল হিসাব বা গণনা করা। সে ক্ষেত্রে Computer শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র। তবে বর্তমানে কম্পিউটারকে শুধুমাত্র গণনাকারি যন্ত্র বলা যায় না। আধুনিক কম্পিউটার একই সাথে তথ্য-উপাত্ত গ্রহণ, গণনা, বিশ্লেষণ সহ সকল ধরনের কাজ করতে পারে।
কম্পিউটার শিক্ষা
কম্পিউটারের বেসিক শিক্ষা ও কম্পিউটারের বেসিক তথ্য সমূহ জেনে নিন এ বিষয়টি সম্পর্কে জানার আগ্রহ অনেকেরই রয়েছে। তাই জেনে নিন কম্পিউটার শিক্ষা সম্পর্কিত কিছু তথ্য। আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতির অন্যান্য বাহন হচ্ছে আজকের কম্পিউটার। উন্নত বিশ্বে কম্পিউটার ব্যবহার ছাড়া শিক্ষা ব্যবস্থা কল্পনা করা যায় না।
এর মাধ্যমে অতি অল্প সময় প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা যায় এবং জ্ঞান বিজ্ঞানের রাজ্যে বিচরণ করা সহজ হয়ে গেছে। প্রকাশনা শিল্পে বিপ্লব ঘটিয়েছে কম্পিউটার। যে কারণে জ্ঞানচর্চার অন্যতম উপকরণ বই ঠিক সময়ে আমাদের হাতে পৌঁছে। বইয়ের বিষয়াবলি এখন কম্পিউটারের ডিস্কে জমা রাখা যাচ্ছে।
কিবোর্ডের বোতাম টিপলে এখন বিশ্বের সমস্ত জ্ঞান ভান্ডার আমাদের সামনে মনিটরের পর্দায় ভেসে উঠছে। কম্পিউটারের সাহায্যে যেকোনো বিষয় এখন হাতের কাছে অবস্থান করে মানুষের জ্ঞান ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করছে।
এটি যেমন গ্রন্থাগারের ভূমিকা পালন করছে, যে কোন শিক্ষনীয় বিষয়কে চোখের সামনে পাচ্ছি । পৃথিবীর সমস্ত গ্রন্থাগার এখন আমাদের ঘরেই যেন অবস্থান করছে।
কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব
বর্তমান সময় কম্পিউটারের যুগ। তাই কম্পিউটারের বেসিক শিক্ষা ও কম্পিউটারের বেসিক তথ্য সমূহ জানা অত্যান্ত আবশ্যক। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে দেশকে উন্নতির দিকে এগিয়ে নিতে হলে কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব অপরিহার্য। তাই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে প্রতিটি শিক্ষিত ব্যক্তিকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নেওয়া উচিত।
কম্পিউটার শিক্ষার মাধ্যমে দেশে কল্যাণ সাধন করা সম্ভব হয়। প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কম্পিউটারের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। কম্পিউটার শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এছাড়া জনস্বার্থে কম্পিউটারের ব্যবহার উল্লেখ রয়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রেও কম্পিউটার ব্যবহার হয়ে থাকে। কম্পিউটারের কার্যক্ষেত্র সম্প্রসারণের সঙ্গে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনশক্তির চাহিদাও বাড়ছে। তাই কম্পিউটারের বেসিক শিক্ষা ও কম্পিউটারের বেসিক তথ্য সমূহ ব্যাপক সম্প্রসারণ অত্যাবশক।
কম্পিউটার শিক্ষা ব্যবস্থা
কম্পিউটারের বেসিক শিক্ষা ও কম্পিউটারের বেসিক তথ্য মানুষের দৈনন্দিন জীবনে কাজকর্ম থেকে শুরু করে অফিস আদালত কলকারখানা প্রভৃতি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে কম্পিউটার। এখনকার দিনের চাহিদা অনুযায়ী কম্পিউটার শিক্ষাকে মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছে দিতে ব্যাপক ব্যবস্থাপনা দরকার।
একটি জাতির দক্ষ জনশক্তি যখন কাজে নিয়োজিত থাকে তখন জাতি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়। বর্তমান সময়ে কম্পিউটার শিক্ষাকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এখন আমাদের দেশেও বিদ্যালয় পর্যায়ে পৌঁছে গেছে কম্পিউটার শিক্ষা। কম্পিউটার শিক্ষাকে শুধু মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না।
উচ্চমাধ্যমিক এমন কি বিশ্ববিদ্যালয় মান পর্যন্ত চালু রাখা দরকার। বর্তমান বিশ্বের অবস্থান থেকে এটাই বোঝা যায় যে বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত কম্পিউটার শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হলে তা জাতির জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে। তাই সকলেরই কম্পিউটারের বেসিক শিক্ষা ও কম্পিউটারের বেসিক তথ্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেওয়া উচিত।
লেখক এর শেষ কথা
উপরোক্ত আলোচনায় কম্পিউটারের বেসিক শিক্ষা ও কম্পিউটারের বেসিক তথ্য সমূহ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে বোঝানো হয়েছে। আশা করছি, আমার এই আর্টিকেলটি আপনি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং এই বিষয় সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা পেয়ে গেছেন।
আপনার যদি এই আর্টিকেল পোস্টটি ভাল লেগে থাকে, তাহলে আপনার পরিচিত আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করে দেবেন। এই সমস্ত আরো গুরুত্বপূর্ণ সুন্দর সুন্দর তথ্যমূলক আর্টিকেল পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন
সবশেষে বলব কম্পিউটারের বেসিক শিক্ষা ও কম্পিউটারের বেসিক তথ্য সমূহ এই আর্টিকেল পোস্টটি আপনার কেমন লেগেছে মন্তব্য করে জানাবেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ !
ডিজিটাল মার্কেটিং আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্টে রিভিউ করা হয়।
comment url